বাইপাস তৈরির জন্য জমি না মেলায় কালিয়াচকে চৌরঙ্গি মোড় সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দখল উচ্ছেদ করে চার লেনের রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই মাসেই প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার সমস্ত দখলদার উচ্ছেদ করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষর হাতে তুলে তা দেওয়া হবে। উচ্ছেদ অভিযানের সীমানা নির্ধারণ করে সেখানে খুঁটি পুঁতে দিয়ে গিয়েছে জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। ওই দফতরের আধিকারিক সঞ্জীব চাকী বলেন, “শীঘ্রই কালিয়াচকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। প্রথমে মাইকিং করে দখলদারদের সরতে বলা হবে। কেউ না সরলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। বেআইনি বাড়িও ভেঙে দেওয়া হবে।”
এই উদ্যোগে খুশি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। মালদহ ডিভিশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মহম্মদ সইফুল্লা এই প্রসঙ্গে বলেন, “কালিয়চাকের বাইপাসের জন্য জমি না মেলায় দুই দিকে চার লেনের কাজ থমকে গিয়েছে। প্রশাসন চৌরঙ্গির কাছে সমস্ত বেআইনি উচ্ছেদ করে জমি আমাদের হাতে তুলে চার লেনের রাস্তার কাজ শুরু করা হবে।”
কালিয়াচক শহরের মধ্যে দিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক চলে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, চৌরঙ্গি মোড়ের দুই দিকে জাতীয় সড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জবর দখল হয়ে রয়েছে। তৈরি করা হয়েছে হোটেল, দোকান, ঘোড়ার গাড়ি থেকে শুরু ছোটবড় গাড়ির একাধিক স্ট্যান্ড। রাস্তা সরু হয়ে গিয়েছে। এতে কালিয়াচকের চৌরঙ্গি মোড়ে তীব্র যানজট হয়। তাই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ চৌরঙ্গি মোড় এড়িয়ে কালিয়াচক বিডিও অফিসের পাশ দিয়ে তিন কিলোমিটার বাইপাস তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল। এর জন্য ২০ একর জমির প্রয়োজন। কিন্তু এলাকার বাসিন্দারা জমি দিতে রাজি না হওয়ায় কাজ শুরু করা হয়নি। ফলে জেলায় ৭২ কিমি জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ কালিয়াচকে থমকে গিয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, জমি না মেলায় জেলা প্রশাসন কালিয়াচকের চৌরঙ্গি মোড় লাগোয়া পুরাতন জাতীয় সড়কের উপর সমস্ত জবরদখল সরিয়ে চার লেন জাতীয় সড়ক তৈরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চৌরঙ্গি মোড়ের তিন কিলোমিটার রাস্তার দুই ধারে শতাধিক পাকা বাড়ি রয়েছে। সেগুলি অবৈধ ভাবে তৈরি বলে অভিযোগ।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্স। সংগঠনের সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, “কালিয়াচকের চৌরঙ্গি মোড়ের কাছে যানজটে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সকলকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। জবরদখল হটিয়ে রাস্তা তৈরির এই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে জেলাবাসী উপকৃত হবেন।” |