এক কিশোরের পায়ে বিঁধে যাওয়া ধারালো বর্শা অস্ত্রোপচার করে বের করা হল হুড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যেও আহত কিশোরকে অন্যত্র স্থানান্তর না করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে যে কাজ করেছেন তার প্রশংসা করেছেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা।
বিশাল মুর্মু নামের ওই কিশোরের বাড়ি স্থানীয় শামুকগড়িয়া গ্রামে। তার বাবা রামকৃষ্ণ মুর্মুর কথায়, “বর্শাটা বাড়িতেই ছিল। শুক্রবার বন্ধুদের সঙ্গে ছেলে বর্শাটা নিয়ে ধানখেতে মেঠো ইঁদুর শিকার করতে গিয়েছিল। ছুটতে গিয়ে কী ভাবে হাতে ধরে থাকা বর্শাটা ওর পায়ে গেঁথে যায়। বিএমওএইচ দেবশঙ্কর হাঁসদার কথায়, “ওর ডান পায়ের উপরে লোহার বর্শা বিঁধেছিল। খুব রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। বর্শাটা এমন ভাবে তৈরি যে টেনে বের করতে গেলে অনেকখানি জায়গার মাংস ছিঁড়ে বেরিয়ে আসত। তাই খুব সাবধানতা অবলম্বন করে ক্ষতের জায়গায় স্থানীয় ভাবে অসাড় করে বর্শাটি বের করা হয়।” |
অস্ত্রোপচারের আগে।—নিজস্ব চিত্র। |
এ রকম ক্ষেত্রে সাধারণত অনেক ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জেলা হাসপাতালে রোগীকে স্থানান্তর করে দেওয়া হয়। এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাই হুড়া বিপিএইচসি-র এই কর্মীদের কাজে খুশি বাসিন্দারা। রোগীদের রেফার না করে সম্প্রতি বঙ্গ চিকিৎসক সম্মান প্রাপ্ত পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক পবন মণ্ডল ওই ঘটনার কথা শুনে বলেন, “সকলেই এ ভাবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করলে মানুষজন স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন।”
পুরুলিয়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিরিখে এটা তো দৃষ্টান্ত। কেন না সদর হাসপাতালে যে রকম পরিকাঠামো রয়েছে, বিপিএইচসিতে তেমনটা নেই। তবু এ ভাবে সকলেই দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এলে সদর হাসপাতালের উপরে চাপ কমবে।” |