আজ ওরা মুক্ত। দৈনন্দিন বদ্ধ জীবনকে পাশ কাটিয়ে এ বছর নদিয়া জেলার বিবেক চেতনা উৎসবে যোগ দিলেন নগেন্দ্রনগর হোমের ১২ জন আবাসিক। দু’দিন ব্যাপী এই উৎসবের প্রথম দিনে, রবিবার সমবেত উদ্বোধনী সংগীত গাইলেন হোমের সাতজন মেয়ে, রবীন্দ্র নৃত্য ও আবৃত্তিও করলেন হোমের আবাসিকরা। মূলত পাচার ও নিখোঁজ হওয়া ১৮ বছরের কমবয়সী ২১ জন আবাসিক থাকেন নগেন্দ্রনগরের ওই হোমে। |
অনুষ্ঠানে হোমের আবাসিকরা। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য। |
এঁদের কারও বাড়ি নদিয়া জেলাতেই কারও বা ভিন রাজ্য বা পড়শি দেশ বাংলাদেশে। হোমে ঠাঁই হওয়া এই তরুণীদের দেখে সুপার রীনা পণ্ডিতের মনে হয়েছিল, এরাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারে। জেলা শিশু কল্যাণ কমিটির চেয়ারপার্সন রীনা মুখোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় শুরু হয় আবাসিকদের নাচ-গানের তালিম। শহরেরই বাসিন্দা সঙ্ঘমিত্রা সরকার তাঁদের নিয়ম করে গান শেখাতে থাকেন। অবশেষে এ দিন কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে বাঁধা মঞ্চে নাচ-গান-আবৃত্তি করল হোমের মেয়েরা। পড়শি এক যুবকের খপ্পরে পড়ে ওপার বাংলার হীরা আকতার চলে আসে এ পারে। গান করতে পেরে উৎফুল্ল হীরা সে বলে, ‘‘কোনও দিন ভাবিনি এ রকম একটা দিন আমার জীবনে আসবে। আজ আমার খুশির দিন।’’ |