টুকরো খবর
কেশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম ২
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে কেশপুরের দামোদরচকে। রবিবার সকালে আচমকাই সংঘর্ষে দু’জন গুরুতর জখম হন। জখম দুই তৃণমূল কর্মী মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূল অবশ্য ঘটনাটিকে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বলে মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, এটি পারিবারিক গোলমাল। দলের কেশপুর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পান বলেন, “দামোদরচকে পারিবারিক গোলমাল থেকে একটি ঘটনা ঘটেছে।” তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায়েরও মন্তব্য, “কেশপুরের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ঘটনাটি পারিবারিক বলেই শুনেছি। আর বিস্তারিত জানি না। খোঁজখবর নিচ্ছি।” কেশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ নতুন কোনও ঘটনা নয়। রাজ্যে পালাবদলের পর মাঝেমধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মধ্যে কেশপুরই একমাত্র ব্লক, যেখানে গত আড়াই বছরে চার-চার বার ব্লক সভাপতি বদল করতে হয়েছে তৃণমূলকে। আগে দলের ব্লক সভাপতি ছিলেন তপন চক্রবর্তী। পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে তিনি ওই পদ থেকে অব্যাহতি চান। মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন। অব্যাহতিপত্রই পদত্যাগপত্র হিসেবে গ্রহণ করে নেতৃত্ব পাঁচ দিন আগে নতুন ব্লক সভাপতি হিসেবে সঞ্জয় পানকে নিযুক্ত করেন। কিন্তু, রবিবারের ঘটনা থেকে স্পষ্ট, এরপরেও গোষ্ঠী সংঘর্ষে লাগাম পড়ছে না। যে দু’জন জখম হয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের নাম শেখ সৈয়ব আলি এবং শেখ ফারুক আলি। দু’জনেই দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত। সৈয়ব আলির হাত-পায়ের আঙুলে গুরুতর চোট রয়েছে। অন্যদিকে, ফারুক আলির কপালে চোট রয়েছে। টাঙ্গি নিয়ে এঁদের উপর চড়াও হয় একদল লোক। ফারুকের কথায়, “সকালে খেজুরবনি গিয়েছিলাম। ফেরার পথে আমার উপর হামলা হয়।”

শুরু সবলা মেলা
স্থানীয় সম্পদকে ব্যবহার করে গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করা না হলে গ্রামীণ অর্থনীতি এগোবে না। আর গ্রাম না এগোলে দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। শনিবার বিকেলে কাঁথি অরবিন্দ স্টেডিয়ামে ‘জেলা সবলা মেলা ২০১৩’র উদ্বোধন করে এই মন্তব্য করেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। কাঁথি পুরসভার ব্যবস্থাপনায় রাজ্য সরকারের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে অরবিন্দ স্টেডিয়ামে আয়োজিত সাতদিনের সবলা মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী। অনুষ্ঠানে শিশিরবাবু বলেন, “নিজেদের উন্নতির জন্য মহিলাদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পাশাপাশি বড় শিল্পপতিরা যাতে ক্ষুদ্রশিল্পের কোনও ক্ষতি করতে না পারে সেনিয়েও জনপ্রতিনিধিদের সজাগ থাকতে হবে।” উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, জেলা সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, অতিরিক্ত জেলাশাসক সাগর সিংহ, মহকুমাশাসক সরিৎ ভট্টাচার্য, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামুদ হোসেন-সহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরা।

নকআউট ফুটবলে জয়ী শিলাবতী
শনিবার ঘাটাল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে চার দলীয় দিন-রাতের নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুল মাঠে। এ দিন এই খেলার উদ্বোধন করেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন পরিষদীয় সচিব (সেচ) শঙ্কর দোলই, মহকুমাশাসক অদীপ রায়, আজিজুর রহমান, চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান উদয়শঙ্কর সিংহরায়-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ঘাটাল শহরে আগে ফুটবলের বেশ চর্চা ছিল। এখন তাতে ভাটা পড়েছে। ওই সংগঠনের উদ্যোগে ফুটবলে আকর্ষণ ফেরাতে ১৪ বছর ধরে দিন-রাতের ফুটবল খেলা হয়ে আসছে। সংগঠনের সভাপতি আজিজুরবাবু বলেন, “এই ঘাটাল শহরেই খেলে মইদুল ইসলাম-সহ বড় বড় ফুটবল খেলোয়াড়রা কলকাতা-সহ অন্যত্র দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। এখন ফুটবলের প্রতি যুবকদের সেই টান নেই। তাই আমাদের এই উদ্যোগ।” সংগঠনের পক্ষে মহম্মদ ইলিয়াস জানান, আরামবাগ ক্লাব, সাগরপুর, মূলগ্রাম ও ঘাটালের শিলাবতী ক্লাব এই খেলায় যোগ দিয়েছিল। ফাইনালে শিলাবতী ১-০ গোলে সাগরপুরকে হারায়।

ভলিবলে জয়ী উত্তর ২৪ পরগনা
পঞ্চদশ আন্তঃজেলা মহিলা ভলিবল প্রতিযোগিতায় জিতল উত্তর চব্বিশ পরগনা। দ্বিতীয় হয়েছে দক্ষিণ কলকাতা, তৃতীয় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা। ফাইনালে ২৫-১৫, ২৬-১৬ ও ২৬-২৪ পয়েন্টে দক্ষিণ কলকাতাকে হারিয়ে জয়ী হয় উত্তর চব্বিশ পরগনা। সেরা স্ট্রাইকার নির্বাচিত হয় জয়ী দলের তমালী পাল। প্রতিযোগিতায় সেরা হয় দক্ষিণ কলকাতার তিয়াশা পাল। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় ও পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালনায় তিন দিন ধরে চলা এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল রাজ্যের ১৬টি জেলা। মহিষাদল রাজবাড়ির শোলবাড়ি ময়দানে নক আউট পর্যায়ের দিনরাত্রির এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা ছিল রবিবার।

বিবেকানন্দ নিয়ে পুতুল নাটক
স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী ও বাণী নিয়ে পুতুল নাটক প্রদর্শনী হল হলদিয়ায়। রবিবার হলদিয়া টাউনশিপের বি ডি ঘোষ প্রেক্ষাগৃহে দিল্লি রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে ও হলদিয়া টাউনশিপ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবায়তনের সহযোগিতায় পুতুল নাটক প্রদর্শন করেন রাজস্থানের উদয়পুরের ভারতীয় লোককলা মণ্ডল নামের একটি সংস্থা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চণ্ডীপুর রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী গণদেবানন্দ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তমলুক রামকৃষ্ণ মঠের স্বামী বিনিশ্চয়ানন্দ, হলদিয়ার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ মণ্ডল প্রমুখ। সেবায়তনের সহ সভাপতি দুর্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ সারা ভারতে এমন ১৩০টি প্রদর্শনীর হচ্ছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.