মর্গ থেকে দেহ বদলের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে নানা অভিযোগ ছিলই। এ বার হাসপাতালের মর্গে দেহবদলের অভিযোগ উঠল। ময়নার এক বধূর বাড়ির লোকেদের দাবি, মর্গ থেকে তাঁদের মেয়ের দেহ ডেবরায় নিয়ে চলে গিয়েছে অন্য এক বধূর বাড়ির লোকেরা। যদিও তাঁরা কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি। ডেবরায় ওই পরিবারও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিষক্রিয়ায় অসুস্থ পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার চাকদহ গ্রামের বধূ সুজাতা আদককে (২১) তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে তিনি মারা যান। অন্য দিকে ময়না থানার বাকচা গ্রামের বধূ নীলিমা বর্মনকে (২৮) শুক্রবার বিকেলে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান। দুই বধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছিল। শনিবার বিকেলে জেলা হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহ দু’টির ময়নাতদন্ত করা হয়। মর্গে পাশাপাশিই রাখা ছিল দুই বধূর মৃতদেহ। শনিবার বিকেলে পাঁশকুড়ার বধূ সুজাতা আদকের মৃতদেহ নেওয়ার জন্য এসেছিল তাঁর শ্বশুর ও বাপের বাড়ির লোকজন। সন্ধ্যা নাগাদ সুজাতার বাবা পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার বৃন্দাবনপুর গ্রামের বাসিন্দা মুরারীমোহন দাস মর্গে গিয়ে সুজাতার দেহ শনাক্ত করেন। ডেবরায় নিয়ে গিয়ে রাতেই দেহটি সৎকার করা হয়।
ময়নার বাকচা গ্রামের বধূ নীলিমা বর্মণের শ্বশুর- বাপের বাড়ির লোকজনও শনিবার দেহ নিতে আসেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় নথিপত্র না আনায় মৃতদেহ পাননি তাঁরা। রবিবার নথিপত্র নিয়ে ফের জেলা হাসপাতালে মৃতদেহ নিতে আসেন নীলিমাদেবীর ভাই যুগল বিজলি ও দেওর সুরেশ বর্মন-সহ প্রতিবেশীরা। তাঁদের দাবি, জেলা হাসপাতালের মর্গে যে দেহটি রয়েছে, তা নীলিমাদেবীর নয়। যুগলবাবুর অভিযোগ, “মর্গে এদিন মাত্র একজন মহিলার মৃতদেহ ছিল। শনাক্ত করতে গিয়ে বিুঝ ওই দেহ বোন নীলিমার নয়। আমাদের অনুমান গতকাল যে বধূর দেহ ডেবরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা বোনের।” যুগলবাবু ও সুরেশবাবুর অভিযোগ, “নিয়মনুযায়ী হাসপাতালের মর্গে থাকা মৃতদেহের সঙ্গে তাঁর নাম লেখা একটি স্টিকার সাঁটা থাকার কথা। এ ক্ষেত্রে কিছু ছিল না।” পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের সুপার ত্রিদিবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পাঁশকুড়ার বধূর মৃতদেহ তাঁর বাবা নিজে শনাক্ত করে নিয়ে গিয়েছেন। এই সংক্রান্ত নথিপত্র আমাদের কাছে আছে। তবে দেহবদল নিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি।”
তবে, সুজাতার ভাই ঝন্টু দাস দেহবদলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমি আমার বোনকে চিনতে পারব না, এটা হয় নাকি। আমিও ছিলাম ওখানে। বোনের দেহ গ্রামে নিয়ে এসে রাতেই সৎকার করা হয়। দেহবদলের প্রশ্নই ওঠে না।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.