|
|
|
|
আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে ফের বিদ্রোহের হুমকি
রাজীবাক্ষ রক্ষিত • গুয়াহাটি
৫ জানুয়ারি |
সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) প্রত্যাহারের দাবিতে ফের একজোট হলেন এক দশক আগে মণিপুরে ওই আন্দোলনে সামিল মহিলারা। তাঁদের হুঁশিয়ারি, আলোচনার অবকাশ আর নেই। প্রয়োজনে নয়াদিল্লিতে গিয়ে অভিযান চালাতেও সকলে প্রস্তুত।
২০০৪ সালের ১৫ জুলাই ইম্ফলের কাংলা দূর্গে ‘আফস্পা’ প্রত্যাহারের জন্য প্রতিবাদের চরম রূপ প্রত্যক্ষ করেছিল গোটা বিশ্ব। নগ্ন হয়ে ১২ জন মহিলা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আসাম রাইফেল্স-এর সদর দফতরের সামনে। তাঁদের বুকে ধরা পোস্টারে লেখা ছিল‘ইন্ডিয়ান আর্মি রেপ্ আস’, ‘ইন্ডিয়ান আর্মি টেক আওয়ার ফ্লেস’। আজ ইম্ফলে ফের সরব হলেন তাঁদেরই ৭ জন।
আন্দোলনকারী মহিলাদের বক্তব্য, “সে দিন প্রধানমন্ত্রীর কথায় বিশ্বাস করে আন্দোলন শেষ করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপরও বারবার ‘আফস্পা’ প্রত্যাহারের দাবি নাকচ করেছে কেন্দ্র। মনমোহন সিংহ নিজেও এ নিয়ে ব্যবস্থা নেননি।” ১৫ জুলাইয়ের সেই বিক্ষোভে সামিল এইচ টোম্বি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে ভরসা করেছিলাম। কিন্তু, আর নয়। বিদ্রোহের জন্য আমরা প্রস্তুত। গুলির সামনে বুক পেতে দিল্লিতে অভিযান করব। আফস্পা প্রত্যাহার করা না-হলে আন্দোলন থামবে না।”
মনিপুরের একটি মানবাধিকার সংগঠনের অধিকর্তা বাবলু লোইতংবাম বলেন, “মনমোহন সিংহ ও কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুরবাসীকে প্রতারণা করেছে। বিশ্বাসঘাতকতা আর সহ্য করা হবে না।” আজ মণিপুরের ২৫টি সংগঠন আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে বৈঠক করে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যৌথ কমিটি গঠন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে।
২০০৪ সালের জুলাইয়ে পূর্ব ইম্ফলের বাসিন্দা থংজাম মনোরমাকে আসাম রাইফেল্স-এর কয়েকজন জওয়ান বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। পরদিন তাঁর নগ্ন, ক্ষতবিক্ষত, গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া যায়। প্রতিবাদে আসাম রাইফেল্স-এর সদর দফতর, কাংলা দূর্গের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন টি রমণী, লোইতাম ইবেতোম্বি-সহ ১২ জন মহিলা। ওই ঘটনার দু’মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন মনমোহন সিংহ। ওই বছরই নভেম্বরে মনমোহন কাংলা দূর্গে গিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘আফস্পা’র মতো আইন প্রত্যাহার করে মানবিক আইন চালুর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। আন্দোলনকারী মহিলাদের বক্তব্য, এক দশক কেটে গেলেও প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি রাখেননি। এমনকী, মনোরমাকে যারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল, তাদের কারও শাস্তিও হয়নি। ‘আফস্পা’ প্রত্যাহারের জন্য ১৩ বছর ধরে অনশন আন্দোলন চালানো ইরম শর্মিলা চানু এখনও বন্দি। |
|
|
|
|
|