শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে রবিবার খুলে গেল কাঁকুড়গাছির হাঁটাপথ। পথটিকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি পূর্ব কলকাতার দুই তৃণমূল বিধায়কের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। পথটি খুলে দেওয়ার জন্য এলাকার বাসিন্দারা সমিতি তৈরি করে থানা বিক্ষোভ, ঘেরাওয়ে যান। বিষয়টি গড়ায় মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত।
মানিকতলা মেন রোড ও ইউ সি ব্যানার্জি রোডের সংযোগস্থলে ৬৭ কাঁকুড়গাছি মেন রোডে একটি নতুন বাড়ি তৈরির সময় পথটি আটকে দেওয়া হয়। পথটি খুলে দেওয়ার জন্য এলাকায় তৈরি হয় ‘স্বাধিকার রক্ষা কমিটি’। এর নেতৃত্বে ছিলেন মানিকতলার বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। অভিযোগ ওঠে, বাড়িটির নির্মাতা মদত পাচ্ছেন সংলগ্ন বেলেঘাটার বিধায়ক ও মানিকতলার প্রাক্তন বিধায়ক পরেশ পালের কাছ থেকে। হাঁটাপথটি খুলে দেওয়ার দাবিতে ১ নভেম্বর বাসিন্দারা থানা ঘেরাও করেন। নির্মাতার দাবি, এতকাল লোকে যে পথ দিয়ে হাঁটছেন, সেটি তাঁর জমির অন্তর্গত।
এই পরিস্থিতিতে ১৯ নভেম্বর বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দেন। মুখ্যমন্ত্রী পুর-কমিশনার খলিল আহমেদকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। ‘স্বাধিকার রক্ষা কমিটি’-র নেতা তথা রাজ্য সরকারের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে রবিবার জানান, “এ দিন নির্মাতা হাঁটাপথটির অবরোধ খুলে দিয়েছেন।” পরেশ পাল বলেন, “এই পথ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক প্রচার চলছিল। আমিও নির্মাতাকে পথটি খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম।” নির্মাতার বক্তব্য, “এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না। আমি আশ্বাস দিয়েছিলাম, প্রাথমিক নির্মাণকাজ হয়ে গেলে পথটি চালু করে দেব।” |