সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে মহম্মদবাজারের কাঁইজুলি হেমচন্দ্র হাইস্কুলে। সম্প্রতি এই স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক অবসর নিয়েছেন। ওই পদে নিয়োগের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক)-এর কাছে আবেদন করেছিলেন। স্কুল পরিদর্শকের অনুমতিক্রমে নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যায়। শুধু বাকি ছিল আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ নেওয়া। হঠাৎ পরিদর্শক চিঠি দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে হবে এবং জানতে চান, শেষ তিন বছরে স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কত? তাঁর এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ পরিচালন সমিতি। বিষয়টি ‘ডাইরেক্টর অফ স্কুল এডুকেশন’কে লিখিত ভাবে জানিয়েছে তারা।
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৯৩৪ সালে কাঁইজুলি হেমচন্দ্র হাইস্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ৩১ অক্টোবর সহকারি প্রধান শিক্ষক শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় অবসর নেন। তার দিন সাতেকের মধ্যে পরিচালন সমিতি সেই পদ পূরণের জন্য আবেদন করে। নির্দেশ পাওয়ার পরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই পদে আবেদনের শেষ দিন ছিল গত ১৪ ডিসেম্বর। ৩১ ডিসেম্বর পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এত কিছু হওয়ার পরে গত ১৯ ডিসেম্বর স্কুল পরিদর্শক ফের একটি চিঠি পাঠিয়ে, স্কুলে শেষ তিন বছরে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কত জানতে চেয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী কোনও উচ্চ বিদ্যালয়ে এক হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা থাকলে, সেই স্কুলে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে। কিন্তু এই স্কুলে ৯০২ জন পড়ুয়া রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠছে, নিয়োগের নির্দেশ দেওয়ার আগে স্কুল পরিদর্শক কেন এই বিষয় খতিয়ে দেখেননি? না কি স্কুল কর্তৃপক্ষই পড়ুয়ার সংখ্যা জানায়নি? প্রধান শিক্ষক সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, “আবেদন পত্রের সঙ্গে স্কুলের বর্তমান পড়ুয়ার সংখ্যা জানানো হয়েছিল। বিস্তারিত যা বলার পরিচালন সমিতির সম্পাদক বলবেন।” সম্পাদক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়ও দাবি করেন, “এলাকার অন্যতম প্রাচীন স্কুল এটি। নিয়ম অনুযায়ী বর্তমান পড়ুয়ার সংখ্যা কত, তাও জানানো হয়েছিল। তার পরে কী হল বুঝতে পারছি না।” স্কুল পরিদর্শক আনসার আলি মির্জার পাল্টা দাবি, “আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। সেই মতো নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে জানতে পেরে নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।” |