ডাম্পারের ধাক্কা, মৃত ছাত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইলামবাজার |
টিউশন থেকে বোনকে সাইকেলে চাপিয়ে বাড়ি ফিরছিল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। পথে বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল সোমনাথ পাল (১৫) নামে ওই ছাত্রের। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ ইলামবাজার ব্লকের জয়দেবে স্থানীয় রাধাবিনোদ মন্দিরের কাছে তিনটি রাস্তার সংযোগস্থলে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে পথ অবরোধ করেন। এমনকী, বাসিন্দাদের একাংশই তাড়া করে ডাম্পারটিকে আটকান। যদিও ডাম্পার চালক পালিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে. সোমনাথের বাড়ি ইলামবাজারের জনুবাজার গ্রামে। সে স্থানীয় জনুবাজার পীতাম্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছিল। এ দিন সকালে সোমনাথ জয়দেবে টিউশন থেকে বোনকে সাইকেলে চাপিয়ে বাড়ি ফিরছিল। তখনই সামনে থেকে ডাম্পারটি তাদের ধাক্কা মেরে চলে যায়। বোন ছিটকে দূরে পড়ে বেঁচে গেলেও ওই ভারি গাড়িটি সোমনাথের উপর দিয়েই চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এর পরেই ক্ষিপ্ত জনতা তাড়া করে ঘাতক গাড়িটিকে ধরে ফেলেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইলামবাজার থেকে জয়দেব এবং জয়দেব থেকে জয়দেব মোড় রাস্তায় পাথর বোঝাই বা খালি ডাম্পারগুলি দিনরাত এমন বেপরোয়া ভাবে যাতায়াত করে। কিন্তু তাদের উপরে প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রতিবাদে ওই বাসিন্দারা পথ অবরোধ করে ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
|
প্রতিবাদ মিছিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
রাজ্য জুড়ে নারী নির্যাতন, নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা বাড়ার প্রতিবাদে মিছিল করল গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি। রবিবার সন্ধ্যায় সংগঠনের বোলপুর-শান্তিনিকেতন শাখা বোলপুর লজ মোড় থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত একটি মৌনি মিছিল করে। মিছিলে পা মেলান এলাকার ছাত্রছাত্রী, কর্মী এবং বাসিন্দাদের একাংশ। সংগঠনের বোলপুর শান্তিনিকেতন শাখা সম্পাদক শৈলেন মিশ্রের অভিযোগ, “বেশ কিছু দিন ধরে রাজ্যবাসী বেশ উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, এই রাজ্যে নারী নিগ্রহ, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের অনীহাই অনেকটা দায়ী।” তাঁর দাবি, “এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে হয় মাওবাদী, নয় সিপিএম বা আরও কিছু বলে আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়ার অপচেষ্টা হচ্ছে।” সন্ধ্যায় তাঁরা চৌরাস্তায় মোমবাতিও জ্বালান। এ দিকে, একই দাবিতে শনিবার সন্ধ্যায় বোলপুর ব্লক ও শহর কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও একটি মিছিল বোলপুর শহর পরিক্রমা করে। দলের শ্রমিক, ছাত্র ও মহিলা সংগঠনের শতাধিক কর্মী তাতে পা মেলান।
|
স্কুলের ৭৫
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাজনগর |
ছুটির দিনে স্কুলে যেতে হচ্ছে বলে বিরক্তিও হল না কোনও পড়ুয়ার। অন্য দিনের মতো কাঁধে বই-খাতার ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাওয়া নয়। রবিবার দিনভর আনন্দে কাটানোর খুশিতে শীতের সকাল থেকেই হাজির তাঁতিপাড়া নবকিশোর বিদ্যানিকেতনের পড়ুয়ারা। কারণ, এ দিন থেকেই শুরু হল ওই স্কুলের ৭৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান। সকালে প্রভাতফেরি, শোভাযাত্রার পরে একে একে হল উদ্বোধনী সঙ্গীত, স্বাগত ভাষণ, স্কুলের প্রাক্তনীদের পুনর্মিলন, খাওয়াদাওয়া। তারপরে ফের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছিলেন এলাকার তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষ-সহ বিশিষ্ট জনেরা। প্রকাশিত হল বিদ্যালয়ের অনুপত্রিকা, ম্যাগাজিন এবং স্মারক। উদ্বোধন হল স্কুলের পড়ুয়াদের তৈরি বিজ্ঞান প্রদর্শনী। প্রধান শিক্ষক রামপ্রসাদ মণ্ডল বললেন, “১৯৩৯ সালে তাঁতিপাড়া গ্রামের তৎকালীন পোস্টমাস্টার মতিলাল দে এবং বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী মিহিরলাল চট্টোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এই স্কুলের পথ চলা শুরু। স্বাধীনতার পরে গ্রামের বাইরে নতুন করে গড়তে ১০ হাজার রুপোর মুদ্রা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন নবকিশোর দত্ত। তাঁর নামেই স্কুল।”
|
জয়ী দুবরাজপুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
৩২টি দলকে নিয়ে আয়োজিত সাতকেন্দুরি স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনালে ইসলামপুর স্পোর্টিং ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল দুবরাজপুর স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ওই প্রতিযোগিতা চলছিল। রবিবারের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ইসলামপুরের দলটি ১০৪ রান তোলে। ডিএসএ ১৩ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়ে সেই রান তুলে নেয়। আয়োজক ক্লাবের পক্ষে সম্পাদক চন্দন সামন্ত বলেন, “গত দশ বছর ধরে আমরা সীমিত ওভারের প্রতিযোগিতা আয়োজন করছি।” এ দিনই দুবরাজপুরে আরও দু’টি পৃথক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শুরু হল। প্রথমটির আয়োজক নায়কপাড়া স্পোর্টস ক্লাব। খেলা হচ্ছে দুবরাজপুর পুরসভার স্টেডিয়ামে। অন্যটি হচ্ছে সাদাইপুর থানা এলাকার বড়গুনসীমা গ্রামের ফুটবল মাঠে। আয়োজক স্থানীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কমিটি।
|
অধরা অভিযুক্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
বধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টায় অভিযুক্তেরা এখনও অধরা। নলহাটি থানার আমাইপুর গ্রামের ওই ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা পেরোলেও স্বামী-সহ অভিযুক্ত চারজনের কেউ-ই গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ অগ্নিদগ্ধ বধূর বাপের বাড়ির লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনার পরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অথচ পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না। পুলিশের দাবি, ঘটনার পরে অভিযুক্তেরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের ধরা যায়নি। তবে, অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। এ দিকে, অগ্নিদগ্ধ বধূ তনুজা বিবি এখনও রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
|
সারদা মায়ের ১৬১তম জন্ম দিবস উপলক্ষে রবিবার নানা অনুষ্ঠান হয়ে গেল সাঁইথিয়ার শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পাঠচক্রে। বিবেকানন্দকে নিয়ে একটি আলোচনাসভাও হয়। ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের স্বামী যোগসিদ্ধানন্দ এবং পাকুড় রামকৃষ্ণ সারদা সেবাশ্রমের সভাপতি স্বামী বাগীশানন্দপুরী। |