এলাকায় নার্সারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত চাষিদের বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষের পরামর্শ দিলেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা। রবিবার বিকেলে পূর্বস্থলীতে কৃষি ও শিল্প মেলা উপলক্ষ্যে স্থানীয় চাষিদের নিয়ে একটি শিবির হয়। সেখানে বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষ ছাড়াও মিশ্র চাষ ও চাষের মাটি পরীক্ষার বিষয়েও আলোচনা করা হয়। এই মেলাটি শুরু হয়েছে শনিবার। চলবে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এ দিন ঘণ্টা তিনেক ধরে চলা কৃষি সংক্রান্ত আলোচনায় বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তপন মাইতি জানান, গোটা রাজ্য জুড়েই বর্ষাকালীন পেঁয়াজের ভাল বাজার রয়েছে। তাঁর পরামর্শ, পূর্বস্থলীর যে সব চাষি দীর্ঘদিন ধরেই নানা প্রজাতির ফুল ও ফলের চারা তৈরি করেন, তারা বর্ষাকালীন পেঁয়াজের চারা তৈরি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক দিক থেকেও তাঁরা উপকৃত হবেন। আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, বর্তমানে জেলায় শীতকালে যে পেঁয়াজ চাষ হয়, সেটা মূলত সুখসাগর প্রজাতির। কিন্তু বারবার একই প্রজাতির পেঁয়াজের চাষ হওয়ায় ফলনে কিছু ক্রুটি ধরা পড়ছে। তাই চাষিদের শীতকালীন পেঁয়াজ চাষের সময় পেঁয়াজের প্রজাতি তিন চার বছর অন্তর পাল্টানো প্রয়োজন। আলোচনা চলাকালীন মেড়তলার কিছু চাষি জানান, পাট চাষের সময় জমি থেকে শুঁয়োপোকার দল বাড়িতে চলে আসে। এই প্রসঙ্গে আলোচকরা বলেন, কয়েকটি মরা শুঁয়োপোকা হামানদিস্তেতে পিষে তারপর সেটা জলের সঙ্গে স্প্রে করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়াও পূর্বস্থলীর মাটিতে বিকল্প চাষ নিয়ে এ দিন আলোচনা হয়। এই সভায় অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা বরুণ হালদার, পার্থ ঘোষ ও পূর্বস্থলী ২ ব্লকের কৃষি আধিকারিক জনার্দন ভট্টাচার্য। আলোচনা শিবির ছাড়াও কৃষি ও শিল্প মেলা উপলক্ষ্যে বিশাল এলাকা জুড়ে ৫২টি স্টল করা হয়েছে। রয়েছে ফুল প্রদর্শনী, কৃষিজাত ফসলের প্রদর্শনী। মেলায় প্রাণি সম্পদ বিকাশ-সহ বেশ কিছু সরকারি দফতরের স্টলও রয়েছে। মঞ্চে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলা উপলক্ষ্যে বসেছে রকমারি জিনিসের দোকান ও নাগরদোলা। উত্সব কমিটির সভাপতি তথা পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মেলা উপলক্ষ্যে মাঠে প্রচুর মানুষ আসছেন। এই উত্সবে বাইরের শিল্পীদের সঙ্গে স্থানীয় শিল্পীদেরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।” রবিবার সন্ধ্যায় মেলায় আসেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক। |