বারাবনি, জামুড়িয়া ও কাঁকসায় শুরু হল কৃষি মেলা। শনি ও রবিবার তিনটি মেলারই উদ্বোধন করেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক। রবিবার বারাবনির মেলায় ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। বারাবনির দোমহানি ফুটবল মাঠে এই মেলায় রয়েছে ৩৫টি স্টল। মেলায় এসে মলয় ঘটক জানান, শিল্পের পাশাপাশি কৃষিতেও সমান ভাবে এগিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। সেই কাজ দ্রুততার সঙ্গেই এগোচ্ছে। উদ্যোক্তারা জানান, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পশুপালন ও মাছচাষের বিভিন্ন কৌশল শেখানোর জন্য বিশেষজ্ঞেরা উপস্থিত থাকছেন এই উত্সবে। রয়েছে মাটি পরীক্ষার ব্যবস্থা। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কৃষি প্রকল্পগুলি সম্পর্কে জানানোর জন্য একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে এই মেলায়। |
জামুড়িয়ার বাহাদুরপুর মাঠে কৃষিমেলা।—নিজস্ব চিত্র। |
জামুড়িয়ার কৃষি মেলা শুরু হয়েছে বাহাদুরপুর মাঠে। রয়েছে ১২টি স্টল। প্রাণিসম্পদ দফতর, কৃষি ও শ্রম দফতরের স্টল রয়েছে এই মেলায়। ব্লকের কৃষকেরা তাঁদের পণ্য প্রদর্শনীর জন্য স্টলে সাজিয়েছেন। রবিবার মেলার শুরুর দিনে একই সঙ্গে মাছ চাষ, পশুপালন এবং কৃষিকাজের জন্য সাকড়ি গ্রামের সুনীল গড়াইয়ের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী। সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীরা নাচ -গান পরিবেশন করেন। আজ, সোমবার সন্ধ্যায় বাউল গানের আসর বসার কথা। শনিবার কাঁকসার সিলামপুরে ব্লক কৃষি মেলা হয়। কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা বাউড়ি, সদস্য পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। মাটি, উদ্যানপালন, মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের আধিকারিক ও বিশেষজ্ঞরাও ছিলেন। মেলায় বিজ্ঞানভিত্তিক মাটি পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল।
|
হিরাপুর থানা মাঠে শনিবার শুরু হল বার্নপুর উত্সব। উত্সবের সূচনা করেন আসানসোল রামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুখানন্দ মহারাজ। ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক, মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৩ বছরে পড়া মেলা চলবে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। থাকছে বইমেলা, পুষ্প প্রদর্শনী ও পড়ুয়াদের বিজ্ঞান প্রদর্শনী। আয়োজকরা জানান, এই মেলা পুরুষোত্তমপুর, ধেনুয়া, বিনোদবাঁধ, সৃর্যনগর, কালাঝরিয়া, হিরাপুরগ্রাম, নিউটাউন, সাঁতাগ্রামের মানুষের কাছেও বড় উত্সব। প্রতি সন্ধ্যায় থাকছে অনুষ্ঠান।
|
কুলটির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এক আদিবাসী পাড়ায় বিদ্যুদয়নের কাজ হল রবিবার। কুলটির বিধায়ক তথা পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় জানান, এই প্রকল্পে পুরসভা থেকে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি জানান, পুর এলাকার আরও কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুত্ নেই। সেখানেও শীঘ্র বিদ্যুত্ পৌঁছে দেওয়া হবে।
|
দুর্গাপুর
কল্পতরু উত্সব। মেলা ময়দান, গ্যামন ব্রিজ মোড়। বিকাল ৪টা।
উদ্যোগ : দুর্গাপুর সাংস্কৃতিক মেলা কমিটি।
বার্ষিক উত্সব। রাধাকৃষ্ণ পল্লী, বেনাচিতি। বিকাল চারটা। উদ্যোগ : দুর্গাপুর হরিসভা।
বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির। কল্পতরু মেলা ময়দান। উদ্যোগ : দুর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটি। |