|
|
|
|
কেএলও-কে জনবিচ্ছিন্ন করার ডাক দিল তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি ও কলকাতা |
কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও) ও তাদের সহযোগীদের জনবিচ্ছিন্ন করতে একগুচ্ছ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। শনিবার জলপাইগুড়িতে একাধিক দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে মুকুলবাবু ওই কর্মসূচির কথা জানিয়ে দেন। প্রথমত, গত ২৬ ডিসেম্বর যে বজরাপাড়ায় বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেই জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে দিনটি ‘শহিদ দিবস’ হিসেবে পালন করবে তৃণমূল। ফি বছর ২৬ ডিসেম্বর ওই ব্লকে নানা কর্মসূচি নেওয়া ছাড়াও বিস্ফোরণে যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের পাশেও থাকবেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। দ্বিতীয়ত, জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের প্রতিটি এলাকায় অশান্তির ষড়যন্ত্রে যুক্তদের জনবিচ্ছিন্ন করার আর্জি জানিয়ে মিটিং-মিছিল করবে তৃণমূল। মুকুলবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যে গোটা রাজ্যের সঙ্গে উত্তরবঙ্গেও উন্নয়নের জোয়ার এসেছে তাতে কোনও বাধা আসতে দেওয়া হবে না। উত্তরবঙ্গের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অশুভ শক্তিকে প্রতিরোধ করা হবে। জনবিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে ষড়যন্ত্রকারীদের।” |
জলপাইগুড়িতে মুকুল রায় ও গৌতম দেব। শনিবার।—নিজস্ব চিত্র। |
রাজনৈতিক ভাবে কেএলও-র মতো সংগঠনের মোকাবিলা শুধু নয়, প্রশাসনিক ভাবেও যে রাজ্য সরকার ষড়যন্ত্রে যুক্তদের চিহ্নিত করতে বদ্ধপরিকর সেটাও এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছে শাসক দল। সরকারি সূত্রের খবর, এ দিনই জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরের বজরাপাড়ার বিস্ফোরণের তদন্তভার রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি-র হাতে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।
বস্তুত, প্রশাসনিক ভাবে তো বটেই, রাজনৈতিক ভাবেও যে কেএলও ও তাদের সহযোগীদের রোখার সিদ্ধান্ত আগেই ঘোষণা করেছেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো মিটিং-মিছিলও শুরু হয়েছে উত্তরের নানা এলাকায়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব একাধিক এলাকায় শান্তি মিছিল, সভা করেছেন। শুক্রবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃণমূলের সভাতেও ভিড় উপচে পড়ে। তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার পর্যবেক্ষক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “কেএলও ও তাদের মদতদাতাদের জনবিচ্ছিন্ন করতে আমরা সবরকম প্রয়াস চালাব।” |
|
|
|
|
|