|
|
|
|
ওসির দশ বছরের জেল
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
৪ জানুয়ারি |
ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত এক পুলিশ অফিসারকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল অসমের নলবাড়ি আদালত। এরই পাশাপাশি, এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মেঘালয়ের এক ওসি ও দুই এসআইকে গ্রেফতার ও সাসপেন্ড করা হয়েছে।
অসমের ঘটনাটির শুরু ২০১০ সালে। পুলিশ জানায়, ২০১০ সালের জুলাই মাসে বাক্সা জেলার আনন্দবাজার ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ওসি সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে নলবাড়িতে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে, সাইদুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের প্রমাণ পায়। তার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ে। কয়েক দফা শুনানির পর, আজ নলবাড়ির অতিরিক্ত মুখ্য জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুর রহমানকে দোষী স্যব্যস্ত করে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
অন্য দিকে, গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে পশ্চিম গারো হিলের বাসিন্দা এক কিশোরী তার কাকার সঙ্গে ওয়াডাঙা এলাকা দিয়ে অটোয় ফিরছিল। অভিযোগ, চাঁদমারি পুলিশ বিটের সেকেন্ড ওসি বাঙ্কারলেং খারসানো ও শিলং জেলা এগজিকিউটিভ ফোর্সের দুই প্রোবেশনারি এসআই অটো থামায়। কিশোরীর কাকাকে জঙ্গি তকমা দিয়ে তারা পেটাতে থাকে। ইতিমধ্যে খারসানো অটোর ভিতরেই কিশোরীর শ্লীলতাহানি করতে থাকেন। কাকা-ভাইঝির চিৎকারে আশপাশের মানুষ জড়ো হয়ে যায়। বেগতিক দেখে তিন পুলিশ ওই কিশোরী ও তার কাকাকে পুলিশের গাড়িতে থানায় নিয়ে যায়। কিশোরীর অভিযোগ, সেখানে তাদের দিয়ে জোর করে কিছু কাগজে সই করানো হয়। বৃহস্পতিবার পুরো ঘটনাটি জানিয়ে ওই কিশোরী ও তার কাকা তুরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পশ্চিম গারো হিলের এসপি মুকেশকুমার সিংহ বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই সেকেন্ড ওসি ও দুই এসআই সিলভেস্টার চাইন ও রোনাল্ড নোংরামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা তাদের সাসপেন্ডও করেছি।” |
|
|
|
|
|