বর্ধমান জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য শান্তি চালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলেন কালনার কাঁকুড়িয়ার তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ। তাঁকে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শান্তিবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় কালনা থানায় লিখিত অভিযোগে ওই কর্মাধ্যক্ষ জানান, এ দিন দুপুরে কাঁকুড়িয়ার রানিবন্ধ গ্রামে একটি রাস্তায় ফলক লাগানোর সময় শান্তিবাবু তাঁর উদ্দেশে গালিগালাজ করেন। এর পরে কাঁকুড়িয়ার পঞ্চায়েত অফিসে তিনি গিয়ে পৌঁছলে সেখানে শান্তিবাবু তাঁকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। তবে শান্তিবাবুর দাবি, “এ দিন রাস্তায় ফলক লাগানোর কথা ছিল। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমাকে ফোন করে ডেকেছিলেন। রাস্তার কাজ দেখে আমি কাঁকুড়িয়া পঞ্চায়েতে গেলে আমাকে চড় মারেন ওই কর্মাধ্যক্ষ।” এই ঘটনায় তৃণমূলের বর্ধমান (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথ বলেন, “রানিবন্ধের ঘটনাটি নিয়ে দলীয় স্তরে তদন্ত করা হবে। যদি ওই দু’জনের বিরুদ্ধে দলের ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁদের সাসপেন্ড করা হতে পারে।” কালনার এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।”
অন্য দিকে, শুক্রবার রাতে হুগলির দাদপুরে সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে ঢুকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে গ্রেফতার হয় শেখ মকবুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগকারিনী ও মকবুল দু’জনেই সাটিথানের হামিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ, সাটিথান পঞ্চায়েতের ওই সদস্যা যখন রাতে শৌচাগারে যাচ্ছিলেন, তখন বাড়িতে ঢুকে তাঁর শ্লীলতাহানি করে প্রতিবেশী মকবুল। আত্মরক্ষার জন্য ওই মহিলা মকবুলের যৌনাঙ্গে হাঁসুয়ার কোপ মারেন। মকবুলের চিৎকারে পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। সাটিথান পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মন্তেশ্বর সামন্তের সাহায্যে মকবুলকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মন্তেশ্বরবাবুর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি তৃণমূলের লোকজন নিয়ে সাংবাদিকদের তাড়া করেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে দাদপুর থানায় একটি হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মন্তেশ্বরবাবুর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। |