দলের আরও ১৩ জন বিধায়ককে পরিষদীয় সচিবের দায়িত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার সৈয়দ নৌসর আলি কক্ষে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীই তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করালেন। নতুন এই ১৩ জন নিযুক্ত হওয়ায় রাজ্যে পরিষদীয় সচিবের সংখ্যা বেড়ে হল ২৬। রাজ্য মন্ত্রিসভায় সদস্যসংখ্যার সর্বোচ্চ সীমা এখন পূর্ণ। লোকসভা ভোটের আগে শাসক দলের আরও বেশি নেতা-বিধায়ককে পদে ঠাঁই দেওয়ার জন্য তাই পরিষদীয় সচিবের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে রাজনৈতিক শিবিরের ব্যাখ্যা।
আগের দফায় যাঁরা পরিষদীয় সচিব নিযুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে শশী পাঁজা সম্প্রতি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। শশীর ছেড়ে যাওয়া জায়গা পূরণ করার পাশাপাশিই আরও ১২ জনকে নতুন পরিষদীয় সচিব হিসাবে শপথ পাঠ করানো হয়েছে এ দিন। আপাতত নতুন পরিষদীয় সচিবদের যা দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী হুগলির তপন দাশগুপ্ত শ্রম, হাওড়ার নির্মল মাজি বিদ্যুৎ ও ‘আয়ুষ’ দফতর, উত্তর ২৪ পরগনার শীলভদ্র দত্ত উদ্যান, হাওড়ার পুলক রায় প্রাথমিক শিক্ষা ও মিড-ডে মিল, নদিয়ার নীলিমা নাগ সমাজকল্যাণ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফিরদৌসি বেগম ও পূর্ব মেদিনীপুরের ফিরোজা বিবি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, মুর্শিদাবাদের চাঁদ মহম্মদ পশুপালন, বর্ধমানের উজ্জ্বল প্রামাণিক অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন, বাঁকুড়ার শুভাশিস বটব্যাল কৃষি, পশ্চিম মেদিনীপুরের শঙ্কর দলুই সেচ, জলপাইগুড়ির উইলসন চ্যাম্প্রামারি আদিবাসী উন্নয়ন এবং বীরভূমের মনিরুল ইসলাম পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব পেলেন। |
শুক্রবার পরিষদীয় সচিবদের শপথ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সুমন বল্লভ। |
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কংগ্রেস সমর্থকদের ‘মুণ্ডু’ আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মনিরুল। পরিষদীয় সচিব হওয়ায় রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ছাড়তে হয়েছে ফিরদৌসিকে।
তার জায়গায় আপাতত ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাবেন কাউন্সিলর অমিতাভ চৌধুরী।
প্রথমে ছোট মন্ত্রিসভার কথা বলা হলেও কালক্রমে তার বহর বেড়েছে। এ বার এত জন বিধায়ককে পরিষদীয় সচিব পদে নিয়োগ করার প্রয়োজন সম্পর্কে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বর্তমান সরকার যে গতিতে উন্নয়ন কাজ করছে, তার সঙ্গে তাল রাখার মতো আধিকারিকের অভাব রয়েছে। আধিকারিকদের এই অপ্রতুলতা মেটাতেই পরিষদীয় সচিবদের নিয়োগ করা হল।” নতুন নিযুক্তদের অধিকাংশই তরুণ। পার্থবাবুর কথায়, “সার্বিক উন্নয়নে ঝাঁপাতে তরুণদেরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।” দফতরে বসে না থেকে তাঁদের বেশি করে গ্রামে গ্রামে ঘুরতে হবে বলে পার্থবাবু জানান। |