আলো দেখিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা আটকালেন দুই ট্র্যাকম্যান
বে স্টেশন ছেড়েছে ট্রেনটা। সামনের অন্ধকারের মধ্যে দূর থেকে লাল আলো দেখে ট্রেন থামিয়ে দিলেন চালক। জয়চণ্ডী পাহাড় স্টেশনের কাছে বৃহস্পতিবার রাতে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে এ ভাবেই রক্ষা পেলেন দক্ষিণ বিহার এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। সৌজন্যে রেলের দুই ট্র্যাকম্যান। রেল লাইনে ফাটল দেখতে পেয়ে তাঁরাই লাল আলো দেখিয়ে ট্রেনটি থামানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আদ্রার ডিআরএম অরবিন্দ মিত্তল বলেন, “ওই দুই ট্র্যাকম্যানের নজরদারির জন্যই লাইনে ফাটলের ঘটনাটি নজরে আসে। তাঁরা তৎপর না হলে দুর্ঘটনা ঘটার যথেষ্ট সম্ভবনা ছিল। ওই দুই ট্র্যাকম্যানকে রেলের তরফে পুরস্কৃত করা হবে।”
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে আদ্রা ডিভিশনের আদ্রা-আসানসোল শাখায় বেড়ো স্টেশন থেকে রেল লাইন ধরে টহল দিচ্ছিলেন দুই ট্র্যাকম্যান সুমন্ত সারথি কর ও মানিক মাজি। তাঁরা জয়চণ্ডীপাহাড় স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। রাত পৌনে ১১টা নাগাদ জয়চণ্ডীপাহাড় স্টেশনের অদূরে লাইনে বড় মাপের ফাটল দেখতে পান তাঁরা। ওই দুই ট্র্যাকম্যানের কথায়, “ফাটলটি যখন নজরে আসে, ততক্ষণে দুর্গ থেকে পটনাগামী দক্ষিণ বিহার এক্সপ্রেস স্টেশন ছেড়ে এ দিকেই আসতে শুরু করেছে। লাইনের ফাটলে ট্রেনের চাকা উঠলেই বিপদ হয়ে যাবে বুঝে সঙ্গে সঙ্গে আমরা লাল আলো দেখিয়ে ট্রেনটি থামানোর ইঙ্গিত করতে থাকি। ট্রেনটি ফাটলের আগেই থেমে যাওয়ায় বিপদ এড়ানো গিয়েছে।” পরে তাঁরা স্টেশন ম্যানেজারকে ঘটনার কথা জানান।
জয়চণ্ডী পাহাড়ের স্টেশন ম্যানেজার পঞ্চানন মান্ডি বলেন, “স্টেশন থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে আপ লাইনে ফাটল দেখা যায়। ওই লাইন ধরে ট্রেনটি গেলে কামরাগুলি লাইনচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। খবর পাওয়ার পরেই ট্রেনটিকে ফের স্টেশনে ফিরিয়ে আনা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পরে অন্য লাইন দিয়ে ট্রেনটিকে লুপ লাইন থেকে মেন লাইনে পাঠানো হয়।” মাঝরাতে বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া ওই ট্রেনের যাত্রীরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন।
বস্তুত শীতের সময়ে রাতের দিকে তাপমাত্রার বড় রকমের হেরফের হওয়ায় রেল লাইনে ফাটল হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। তাই এই সময়ে রাতে ট্র্যাকম্যানদের বিশেষ টহল করতে বলা হয়। আদ্রা ডিভিশনের এক পদস্থ কর্তা জানান, বেশি রাতের প্রচণ্ড ঠান্ডায় লাইন ধরে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে ট্র্যাকম্যানরা টহল দেন। বেশ কষ্টসাধ্য কাজ হলেও ওই দুই ট্র্যাকম্যান তাঁদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করায় দুঘর্র্টনা এড়ানো গিয়েছে। রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.