|
|
|
|
পক্ষপাতের নালিশ, ব্লক অফিসে ক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর |
সিপিএমের দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতি বৈমাতৃসুলভ আচরণ করছে ব্লক প্রশাসন। এমনই অভিযোগ তুলে রঘুনাথপুর ১ ব্লকের সমস্ত পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সদস্যরা ওই ব্লক অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন। শুক্রবার কয়েক ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভের পরে তাঁরা বিডিওকে স্মারকলিপি দেন।
রঘুনাথপুর ১ ব্লক এলাকার সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এক মাত্র খাজুরা গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতেছে সিপিএম। এই ব্লকে সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন ৩১ জন। পঞ্চায়েত সমিতিতে রয়েছেন পাঁচ জন সদস্য। এ দিন দলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে প্রশাসন উন্নয়নের কাজে বেশি নজর দিচ্ছে। ওই ছ’টি পঞ্চায়েতে অর্থ বরাদ্দ করা হলেও বিরোধী দল পরিচালিত বলে বঞ্চিত করা হচ্ছে খাজুরা গ্রাম পঞ্চায়েতকে। এমনকী বিরোধী গ্রাম সংসদ সদস্যের এলাকাতেও বঞ্চনা করা হচ্ছে। |
|
রঘুনাথপুরে অবস্থান। —নিজস্ব চিত্র। |
সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য প্রদীপ রায়ের অভিযোগ, “প্রশাসনে দলতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তাই বিভিন্ন প্রকল্প থেকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে উন্নয়নের কাজে বাদ রাখা হচ্ছে খাজুরা গ্রাম পঞ্চায়েতকে। একই ঘটনা ঘটছে সিপিএম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়ার সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকা খরচের ক্ষেত্রেও। সাংসদ উন্নয়নে টাকা দিতে চাইলেও সেই পরিকল্পনায় ছাড়পত্র দিচ্ছে না প্রশাসন।”
রঘুনাথপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএমের দলনেতা তারাপদ দত্ত জানান, ইন্দিরা আবাস যোজনা, নিজ ভূমি নিজ গৃহের মতো প্রকল্প ও ত্রাণ বিতরণে তাঁদের পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রস্তাব মানা হচ্ছে না। বিরোধী সদস্য জিতেছেন বলে নতুনডি গ্রাম পঞ্চায়েতের হুড়রা গ্রামে ১০০ দিনের কাজ হওয়ার পরেও মজুরি পাচ্ছে না শ্রমিকরা। তাঁর দাবি, “গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সাধারণ সভাগুলিতে বিরোধী সদস্যদের ডাকাই হচ্ছে না। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত বিরোধীদের বাদ দিয়েই নেওয়া হচ্ছে।”
বিডিও সুনীতিকুমার গুছাইত বলেন, “সমস্ত এলাকা থেকে পঞ্চায়েত সদস্যদের পাঠানো প্রস্তাব বা পরিকল্পনাগুলি দ্রুততার সঙ্গে অনুমোদন করা হচ্ছে। স্থায়ী সমিতির সভায় সব সদস্যকে ডাকা হয়। হয়তো কোনও কোনও ক্ষেত্রে সদস্যরা সময় মতো চিঠি না পেয়ে থাকতে পারেন। তবে বঞ্চনার অভিযোগ ঠিক নয়।” তৃণমূলের রঘুনাথপুর ১ ব্লক সভাপতি প্রদীপ মাজির কটাক্ষ, “প্রশাসনে দলতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অভিযোগ সিপিএমের মুখে মানায় না। আগে ওদের দলের নেতাদের কথাতেই প্রশাসন চলত। এখন আমরা সাধারণ মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি বলেই এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।” |
|
|
|
|
|