|
|
|
|
গোয়ালতোড়ে শুরু তিন দিনের কৃষি মেলা
নিজস্ব সংবাদাতা • ঘাটাল |
গত বছরের মতো এ বারেও ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হল মাটি, কৃষি, উদ্যানপালন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মেলা। কৃষি দফতরের উদ্যোগে গোটা রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ২৯টি ব্লকেও এই মেলা হবে। এ বার এই মেলা হচ্ছে তিন দিনের। গত বছর এক দিনই মেলার আয়োজন হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ঝাড়গ্রাম ব্লকে শুক্রবার মেলা শেষ হয়েছে। আবার গোয়ালতোড় ব্লকে এ দিন মেলার উদ্বোধন হয়েছে। মেলায় প্রতিদিনই সেমিনার ও নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে।
গত বছর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছায় সরকারি উদ্যোগে এই মেলা শুরু হয়। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, ২১ জানুয়ারির মধ্যে জেলার সর্বত্র মেলা শেষ করতে হবে। ফলে একই দিনে একাধিক ব্লকে মেলা চলবে। সাধারণত ব্লকের সদর শহর এবং ব্লক চত্বরে দুপুর দু’টো থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মেলাগুলি হবে। সাধারণ মানুষের কাছে বিভিন্ন দফতরের সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রচারের মঞ্চ হিসেবে মেলাকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও সেমিনারে বিভিন্ন আধুনিক চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করবেন।
কৃষি দফতরের সহ-অধিকর্তা (তথ্য) দুলাল দাস আধিকারী বলেন, “সেমিনারে কোন মাটিতে কী চাষ করা উচিত, বিকল্প চাষের বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোচনা হবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নানবিধ তথ্য চাষিদের সামনে তুলে ধরা হবে। মেলায় প্রতি ব্লকের দু’জন কৃষককে পুরস্কার দেওয়া হবে।” অন্য দিকে, জেলা উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক রনজয় দত্ত বলেন, “ফুল ও ফল চাষে সরকারি ভাবে যে ভর্তুকি পাওয়া যায় মেলায় সে বিষয়ে প্রচারে জোর দেওয়া হবে। ভর্তুকি পেতে হলে কী করতে হবে তাও তাঁদের জানান হবে।” তিনি আরও জানান, জৈব সারের কারখানা এবং পুকুর খননের জন্যও সরকারি ভাবে টাকা পাওয়া যায় সে বিষয়েও প্রচার হবে। তাছাড়াও চাষিদের পেঁয়াজ চাষে উৎসাহ দেওয়ার জন্যও মেলায় উদ্যোগ নেওয়া হবে। পেঁয়াজ চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশি। তাই বিভিন্ন সেমিনারে পেঁয়াজ চাষের আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে চাষিদের সম্যক ধারণা দেওয়া হবে। উপ-মৎস্য অধিকর্তা (পশ্চিমাঞ্চল) উৎপল সর বলেন, “মেলায় চাষিদের বিভিন্ন চাষে উৎসাহ দেওয়া এবং কম সময়ে কোন জলে কি মাছ চাষ করলে চাষিরা লাভ পাবেন-তা জানানোই আমাদের লক্ষ্য।” |
|
|
|
|
|