|
|
|
|
জমিরক্ষা আন্দোলনের সূচনা দিবস স্মরণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নন্দীগ্রাম |
নন্দীগ্রামে জমিরক্ষা আন্দোলনের সূচনা দিবস স্মরণে গড়চক্রবেড়িয়ার কাছে ভূতার মোড়ে সভা হল শুক্রবার। সভায় উপস্থিত সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নন্দীগ্রামের জমিরক্ষা আন্দোলনকারী শহিদদের স্মৃতিরক্ষা করতে আমরা শহিদ মিনার তৈরি করেছি। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানুক নিজেদের জন্মভিটে রক্ষা করতে গিয়ে গণহত্যা হয়েছিল এখানে। |
|
অনুষ্ঠানে শহিদ পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য ও উত্তরীয় তুলে
দিচ্ছেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
পঞ্জাবের জালিওয়ানাবাগে হত্যাকাণ্ডের জন্য ৯৪ বছর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সেখানে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এমন একটা দিন আসবে যেদিন নন্দীগ্রামে গণহত্যার জন্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু, লক্ষ্মণ শেঠরা এই শহিদ মিনারে এসে গলায়-গামছা দিয়ে, কান-নাক মলা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলবে আমরা ভুল করেছিলাম।” আগামী ৭ জানুয়ারি ভাঙ্গাবেড়ায় শহিদ মিনার উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে আসার আহ্বান জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “যাঁরা অন্য দল করেন, যাঁরা আমাদের মতের সঙ্গে একমত নন, হয়তো নানা কারণে আমাদের উপর রাগ, অভিমান করে আছেন, তাঁরাও আসুন। নন্দীগ্রামের শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আসুন। শুভেন্দু সভায় জানান, নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতিতে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর জন্য সোনাচূড়ায় আড়াই বিঘা জমি নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ মার্চ ওই শহিদ স্মারক হাসপাতালের কাজ শুরু হবে। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন আবু তাহের, শেখ সুফিয়ান, নন্দ পাত্র, আবদুস সামাদ প্রমুখ।
|
স্মৃতির মিনার
|
নন্দীগ্রামে জমিরক্ষা আন্দোলনের স্মৃতিতে তৈরি ১৩০ ফুট শহিদ মিনারের কাজ শেষ।
৭ জানুয়ারি উদ্বোধন। নন্দীগ্রামে জমিরক্ষা আন্দোলনের সূচনা দিবস (৩ জানুয়ারি)
স্মরণে
শুক্রবার ভূতার মোড়ের একটি সভায় শুভেন্দু অধিকারী তা জানিয়ে বলেন,
“উদ্বোধন
করবেন
জমিরক্ষা আন্দোলনের সময় নির্যাতিতা রাধারানি আড়ি।” তিনি জানান,
ভাঙ্গাবেড়ায়
সদ্য নির্মিত
ওই শহিদ মিনারে একটি সর্বধর্মের জন্য প্রার্থনা কক্ষ, অতিথি
নিবাস
ও দাতব্য চিকিৎসালয়
থাকছে। শহিদদের স্মৃতিতে সোনাচূড়ায় একটি পূর্ণাঙ্গ
হাসপাতাল তৈরির
পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস |
|
|
|
|
|
|