|
|
|
|
আকাশপথে মুখ্যমন্ত্রী, মহড়া হেলিকপ্টারের
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথমবার হেলিকপ্টারে জঙ্গলমহলে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বেলপাহাড়ি ও ঝাড়গ্রামে তারই মহড়া হল। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, জঙ্গলমহলে সক্রিয় হচ্ছে মাওবাদীরা। বিশেষত, এক সময়ের ধাত্রীভূমি বেলপাহাড়িতে মাওবাদীদের আনাগোনা বেড়েছে। এই পরিস্থতিতে আগামী ৭ জানুয়ারি আমলাশোলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে ‘দেখা করতে’ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া ওদলচুয়ার-আমলাশোল পাহাড়ি রাস্তাটি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় নিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে রাজি নয় পুলিশ-প্রশাসন। বিকল্প ‘নিরাপদ পথ’ও নেই। ফলে, এ বার আকাশপথেই আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। |
|
আমলাশোলে নামল হেলিকপ্টার। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন বেলপাহাড়ির দু’টি ও ঝাড়গ্রামের একটি জায়গায় পরীক্ষামূলক ভাবে হেলিকপ্টার নামে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে এ দিন আকাশপথে এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা (ডাইরেক্টর অফ সিরিউরিটি) বীরেন্দ্র ও রাজ্যের অ্যাডভাইজার অফ সিভিল এভিয়েশন রজত মজুমদার। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এদিন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) অরিন্দম দত্ত-ও আমলাশোল ও কদমডিহায় গিয়েছিলেন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরে সরাসরি কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে আমলাশোলে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আমলাশোল ও আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী প্রায় দেড় ঘণ্টা আমলাশোলে থাকবেন। এ জন্য আমলাশোল গ্রামের ফুটবল মাঠে একটি নিচু মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ওই দিন বিকেলে আমলাশোল থেকে আকাশপথে ঝাড়গ্রামে আসবেন মমতা। ঝাড়গ্রাম শহরের উপকণ্ঠে বাঁদরভুলায় জঙ্গলের মাঝে বন উন্নয়ন নিগমের প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্রে অথবা ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন। পরদিন ৮ জানুয়ারি, বুধবার দুপুর বারোটায় ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে এক প্রশাসনিক জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী সড়কপথে নেতাই গ্রামেও যেতে পারেন। তবে দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি। প্রশাসন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সফর সূচির পরিবর্তন হতে পারে। এ দিন বেলপাহাড়ির আমলাশোল প্রাথমিক স্কুল মাঠ ও কদমডিহা মাঠ এবং ঝাড়গ্রামের পুকুরিয়ার রাজপাড়া মাঠে হেলিকপ্টারের ‘ট্র্যায়াল ল্যান্ডিং’ হয়। |
|
|
|
|
|