|
|
|
|
|
|
|
মনোরঞ্জন... |
|
দ্বিতীয় ইনিংসে সোনা |
হঠাৎ একদিন জীবনে নতুন বাঁক। নতুন আকাশে উড়ান।
লিখছেন সংযুক্তা বসু। |
চার্জার জিনিসটা যে এত কাজের মাস দুয়েক আগেও টের পাননি। এখন দিনে কম সে কম তিন বার ফোন চার্জে বসাতে হয়। অনেক অনুষ্ঠানের অনুরোধ নাকচ করে দিয়েও রিসিভ করতে হয় অন্তত দিনে একশোটা ফোন।
হঠাৎই লাইমলাইটে তিনি।
|
পল্লব ঘোষ |
মান্না দে প্রয়াত হওয়ার পর শ্রোতাদের যখনই তাঁর গান শুনতে ইচ্ছে করেছে ডাক পড়েছে পল্লব ঘোষের।
গত সাতাশ বছর ধরে গানের মঞ্চে গান গেয়ে যা না হয়েছে, তা হয়ে গেছে গত দু’ মাসে। আজ কলকাতা, তো কাল আসানসোল, পরশু ধানবাদ তো তার পর দিন নৈহাটি। মাসে কমপক্ষে পঁচিশটা অনুষ্ঠানে আসর মাত করছেন পল্লব। গাইছেন কখনও ‘হয়তো তোমারই জন্য’, কখনও ‘ইয়ারি হ্যায় ইমান মেরা’, ‘জিন্দেগি ক্যায়সি হ্যায় পহেলি’, কখনও বা মান্না দে-র শেষ বয়সের গান ‘আমায় একটু জায়গা দাও!’
পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই বয়সে এসে এই আচমকা উত্থানে পল্লব কিন্তু বিস্মিত নন। তিনি বলছেন, “অনেক দিন ধরেই মান্না দের গায়কিকেই বাংলা গানের সব চেয়ে বেশি ঠিকঠাক গায়কি বলে মনে হয়েছে। তাই তাঁর গান শুনে অনেক শিখেছি। শিখেছি বলেই শ্রোতারা আজ আমার কদর করছেন।”
একে কি বলবেন সবুরে মেওয়া ফলল? “আমি তো সবুর করিনি। গান গেয়েই চলেছিলাম। অপ্রাপ্তিও তো রয়ে গেল। আমার নিজস্ব গান দিয়ে মানুষ আমাকে এখনও চেনে না। সেটা যদি হয়, তা হলে বলব সবুরে মেওয়া ফলল।’’
অপূর্ণতা যেমন আছে, তেমনই সেকেন্ড ইনিংসে সোনা পাওয়ার মধ্যে পূর্ণতাও তো আছে।
আছে কী হয়-কী হয় দুরুদুরু বুকের কম্পন। |
সিংহের সঙ্গে শ্যুটিং করেও এত ভয় পাইনি |
মাত্র কয়েক দিন আগের কথা। তারিখ ২০ ডিসেম্বর। সন্ধে সাড়ে ছ’টা। ‘চাঁদের পাহাড়’য়ের প্রিমিয়ার।
আইনক্স অডিটোরিয়ামের বাইরে ভেঙে পড়ছে
|
কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় |
জনস্রোত। তুমুল ধাক্কাধাক্কি। তাঁদের মুখে চাপা উত্তেজনা। কী দেখতে চলেছেন তাঁরা? কেমন হবে ‘চাঁদের পাহাড়।’। কেমন হবে পনেরো কোটির বিনোদন? আর পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়? তিনিও ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে সমান টেনশনে। বললেন “ভয়ে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিল। সিংহের সামনে শ্যুটিং করেও এত ভয় লাগেনি। ক্ল্যাসিক সাহিত্য নিয়ে কাজ। বাঙালির প্রচুর আবেগ জড়িয়ে আছে। শেষ পর্যন্ত দর্শকদের যদি ভাল না লাগে!”
আর তার পর? বাকিটা আমজনতার জানা। ‘চাঁদের পাহাড়’য়ের সাফল্য মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বাংলা ছবির ইতিহাসের। |
কাট টু |
সাল ২০০৩। ঠিক দশ বছর আগে। এই কমলেশ্বর কোথায় দাঁড়িয়ে? নিস্তরঙ্গ জীবন। আইসিসিইউতে রুগিদের চিকিৎসা। বাড়ি ফিরে আসা। আবার হাসপাতালে যাওয়া। তারই মধ্যে ভেতরে ভেতরে তাড়া করছে তখন হাজার হাজার ওয়াটের স্বপ্ন। অভিনয়, সিনেমা, চিত্রনাট্য, লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন....। নানা মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যেই দুম করে চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে একদিন বিজ্ঞাপনের জগতে ঢুকে পড়া। রুগি, হাসপাতাল, যমে-মানুষে
|
অনীক দত্ত |
টানাটানির লড়াইয়ের বদলে শুরু হয় আর একটা নিঃশব্দ লড়াই। “বিজ্ঞাপনী ছবির প্রোডাকশন আর শ্যুটিংয়ের কাজ করতে গিয়েই প্রথম ছবি সম্পর্কে একটা প্র্যাকটিকাল ধারণা গড়ে উঠতে থাকে, ওই ভাবেই ব্যাট করার আগে পিচটাকে চিনতে শুরু করি,” বলছেন কমলেশ্বর।
বয়স যখন চুয়াল্লিশ, তখনই সেঞ্চুরির মুখ দেখলেন কমলেশ্বর। বললেন, “হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। এটা তো সেকেন্ড ইনিংসই। কিন্তু তার প্রস্তুতিও ছিল। ‘উড়ো চিঠি’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’ করেছি। তার আগে নাটক করেছি, চিত্রনাট্য লিখেছি, গান লিখেছি, এমনকী ডাক্তারিটাও মন দিয়েই করেছি।” কিন্তু কমলেশ্বর যা পারলেন, অনেক মানুষ দীর্ঘ অপেক্ষা আর পরিশ্রমে সেকেন্ড ইনিংসেও তা পারেন না। নিষ্ঠা থাকলেই কি যশ অর্জন করা যায়? “কত চিত্রনাট্য লিখেছি, যা ছবি হয়নি। প্রযোজক জোগাড় করতে হিমশিম খেয়েছি। কত মিথ্যে আশা পেয়ে ছুটে গেছি। আর আমার যত অবসাদের ভার বইত তখন আমার স্ত্রী। ডিপ্রেশন থেকে কিন্তু আশায় ফিরে আসতাম। মনে হত আগামী দিনে ঠিকই ছবি করতে পারব। স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রেখেছি।” বলছেন কমলেশ্বর।
সেকেন্ড ইনিংসের কেরামতির কথায় এসে পড়ে আর এক পরিচালকের কথাও। অনীক দত্ত। ফিফটি প্লাস বয়সে ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’য়ের মতো ছবি নিয়ে হঠাৎ ঝলমল করে উঠলেন। পরের ছবি ‘আশ্চর্য প্রদীপ’ কিন্তু ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’য়ের মতো সফল হল না। লোকে বলছে অনীক নাকি ‘ওয়ান ফিল্ম ওয়ান্ডার’ হয়েই থেকে যাবেন। “তাই এই সব দেখে বন্ধুবান্ধবের তোল্লাই, ফেস বুকে অজস্র কমেন্ট, এসএমএসে ভর্তি মোবাইল, কোনও কিছু দেখেই আমি উচ্ছ্বসিত হতে চাই না। সাফল্য, ব্যর্থতার অনিশ্চিত ওঠাপড়া অনেক দেখে নিয়েছি। কে বলতে পারে আমার পরের ছবিটা লোকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করল?” সোজাসাপ্টা জবাব কমলেশ্বরের। মানুষের জীবনে কখন যে কী ঘটে যায় কিছু বলা যায় না। ‘এক যে ছিল দেশ’ থেকে ‘আগন্তুক’, ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ থেকে ‘আবহমান’ এবং এই রকমই আরও কত ছবি! সব নিয়ে বাংলা ছবির দুনিয়ায় চূড়ান্ত সফল তাঁর যাত্রা। তবুও হঠাৎই যে ওয়ান ফাইন মর্নিং এল আজব একটা নতুন খবর। তা না হলে তেতাল্লিশ বছর বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার পর হঠাৎ হিন্দি ছবিতে অভিনয়ের অফার আসে!
সেটাই তো হল দীপঙ্কর দে-র ক্ষেত্রে। |
৬৯-এ প্রথম হিন্দি ছবি |
উনসত্তর বছর বয়সে এসে জীবনে প্রথম ‘ইয়াংগিস্তান’ নামে হিন্দি ছবিতে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আদলে একটা চরিত্রে অভিনয় করলেন দীপঙ্কর।
|
দীপঙ্কর দে |
“আমার ভাবতেই অবাক লাগছে। ইন্টারনেট ঘেঁটে নাকি পরিচালক-প্রযোজক আমার নাম খুঁজে পেয়েছেন। কী করে এটা হল জানি না,” বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে বলছেন তিনি। এটা তো একটা অপ্রত্যাশিত ব্রেক? “অবশ্যই একটা বিরাট ব্রেক। শুধুই বাংলা ছবিতে কাজ করে যাচ্ছিলাম। অনেক দিন মনে হচ্ছিল একটা নতুন কিছু করলে হয়। আশ্চর্য ভাবেই এসে গেল সুযোগটা। হিন্দি ছবিতে চোস্ত হিন্দি বললাম। বাসু ভগনানিও বেশ নামকরা প্রযোজক। শুনেছি মার্চ মাসে ছবিটা বিশ্বের পনেরোশো হলে একসঙ্গে রিলিজ করবে। মানে লোকের ভাল লাগুক বা খারাপ লাগুক আমাকে তাঁরা হিন্দি ছবিতে দেখবে, এটাই তো সব চেয়ে বড় কথা।”
ন্যূনতম দুটো করে নাটকের রিহার্সাল, একটা করে শো, খানিকটা ছবির শ্যুটিংএই ভাবে একেকটা দিনকে যে কী ভাবে ভাগ করেন অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার, তা তিনি নিজেই জানেন। কিংবা জানেন না। |
অবাক উত্থানের পরেও অটোয়, মেট্রোতে |
|
দেবশঙ্কর হালদার |
এই সাতচল্লিশ বছর বয়সে দেবশঙ্করের কাজের রুটিনে দম ফেলার সময় নেই। আপাতত তিনি একই সময়ে করছেন ‘নিঃসঙ্গ সম্রাট’, ‘কাল্লু মামা’, ‘ফুড়ুৎ’, ‘যদিদং’, ‘ঝড়ের পাখি’, ‘অয়দিপউস’ নাটক। সব মিলিয়ে তাঁর চব্বিশটা নাটক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চলছে এই সময়। দেবশঙ্করের কথা হল, “আমি এখন পর্যন্ত যা করতে পেরেছি তাকে এক কথায় বলা যায় চারটে খুঁটি জোগাড় করে তার ওপর একটা দরমার ছাউনি দেওয়া। যেখানে আমার পরিবার একটু নিশ্চিন্ত আশ্রয় পেয়েছে। হ্যাঁ, সারাটা দিন এক নাটকের মঞ্চ থেকে আরেক মহলা ঘরে ছুটে বেড়াই।”
সল্টলেক থেকে নাটকের রিহার্সাল দিয়ে অটো করে চলে আসেন শোভাবাজার। সেখানে মেট্রো ধরে রবীন্দ্রসদন স্টেশন। সেখান থেকে ধাঁ করে হেঁটেই অ্যাকাডেমি। “গাড়িতে বসে থেকে সময় নষ্ট করার সময় আমার নেই। কত লোক রাস্তায় বলেন, ‘আরে এ কী আপনি অটোয়?’ আমি বলি, অটোয় না উঠলে তো আপনার সঙ্গে দেখাই হত না। কিন্তু এটাও জানি এই সময়টা আমার থাকবে না। অন্য কেউ চলে আসবে, পরিস্থিতিটাই বদলে যাবে। এটাই নিয়ম,” বলছেন দেবশঙ্কর। ভাগ্যের এই রকমই সব ছক্কা পাঞ্জা খেলা জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল আর এক জনের চল্লিশ পেরোনোর পরে। অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেল প্রবচন। লাইফ বিগিনস অ্যাট ফর্টি। |
‘এক মিনিট’-এ বদলে গেল জীবন |
তিনি আকাশকুসুম স্বপ্নেও ভাবেননি এমন দিন আসবে!
মাঝরাত্তিরে ম্যাকাওতে আইফা পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। পুরস্কার-অনুষ্ঠান তখনও শেষ হয়নি। ও দিকে ঘড়িতে তখন রাত
|
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় |
দুটো। সস্ত্রীক ডিনার খেতে গিয়েছেন। এমন সময় পেছন থেকে কে যেন বলে উঠল “ নাইস টু সি ইউ হিয়ার।” মাথা ঘুরিয়ে দেখলেন, যে ভদ্রলোক এ কথা বলছেন তিনি অনুপম খের। আর যাঁকে বলা হচ্ছে তিনি শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। ছিয়ানব্বই সাল থেকে অভিনয় করে আসা শাশ্বতকে সারা ভারত চিনল মাত্র দশ মিনিটের একটা রোলে। আর সেই চরিত্রের একটা বিখ্যাত ডায়লগই ছিল মাত্র দুটো শব্দে। ‘এক মিনিট’। ‘কহানি’র বব বিশ্বাস। “বিশ্বাস করুন অনুপম খেরের মতো একজন এত বড় অভিনেতার আশীর্বাদ পাব, কিংবা পাশ থেকে এগিয়ে এসে অন্নু কপূরও অনেক শুভেচ্ছা জানাবেন, এ সব স্বপ্নেও ভাবিনি। বব বিশ্বাস যেন জীবনটাই বদলে দিল। আমার সঙ্গে আর যাঁরা মনোনয়ন পেয়েছিলেন মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো সব নাম। সঞ্জয় দত্ত, ঋষি কপূর, মিঠুন চক্রবর্তী। এইটুকুই তো অনেক!” তৃপ্তির সুরে বলেন শাশ্বত।
এই সাফল্যের রেশ ধরেই কি এল ঋত্বিক ঘটকের মতো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ? কিংবা ‘কেয়ার অফ স্যর’য়ের ‘স্যর’ চরিত্র? “বলতে পারেন বেটার লেট দ্যান নেভার। নায়ক হওয়ার মতো যে চেহারা নয় সেটা জেনে প্রথম থেকেই চরিত্রাভিনয়ের দিকে ঝুঁকেছিলাম। ‘এক আকাশের নীচে’ সিরিয়ালে দিনের পর দিন আকাশের চরিত্র করতাম। জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলাম। কিন্তু তখন কি জানতাম যে একদিন ‘বব বিশ্বাস’ করে আমাকে সারা ভারত চিনবে। অনেকে বলেন আমার স্বীকৃতি পাওয়া উচিত ছিল অনেক আগে। কিন্তু আমি ও ভাবে ভাবি না। যখন যাঁর সময় আসবে তখনই তো হবে। টেলিভিশনে আমরা শিল্পীরা অনেক ভাল কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তাই কোনও খেদ নেই,” উত্তরে বলেন শাশ্বত। |
পিনাকেতে লাগে টঙ্কার |
বিনোদনের জগতে অনেক পরে এসে বিখ্যাত হওয়ার উদাহরণ খুঁজতে একটু অতীতে ফিরলে যাঁর কথা খুব সহজেই মনে আসে তিনি পীযূষকান্তি সরকার।
|
পীযূষকান্তি সরকার |
সাতান্ন বছর বয়সে ব্যতিক্রমী গায়কির দৌলতে মানুষ তাঁকে চিনেছিল।
এখনও তাঁর গাওয়া ‘পিনাকেতে লাগে টঙ্কার’ শ্রুতিতে বাজে। কেন একজন মানুষ এত বয়সে গিয়ে পরিচিতি পেলেন? সারা জীবন তা হলে তিনি কী করলেন? এ সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তাঁর একান্ত ঘনিষ্ঠ গায়ক নচিকেতা বললেন,“পীযূষদা মানুষটাই ছিলেন ঠোঁটকাটা। স্পষ্টভাষী। গায়কিও ছিল সবার থেকে আলাদা। কিন্তু একেক জন শিল্পীর ক্ষেত্রে এমনই হয়, তাঁরা সময়ের অনেক পরে নজরে পড়েন। অথচ সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে থাকেন। তাই সমকাল তাঁদের চিনতে পারে না। পীযূষদার বেলাতেও তাই হয়েছিল। আমরা যখন বাংলা গান নতুন ভাবে গাইতে শুরু করলাম, তখনই পীযূষদার গানও লাইমলাইটে চলে এল,” এটাই নচিকেতার বিশ্লেষণ।
রাতের বেলা প্রদীপ জ্বালানোর আগে থাকে দিনের বেলায় সলতে পাকানোর প্রহর। সলতে না পাকিয়ে রাখলে প্রদীপ জ্বলবে কী করে?
শেষ কথা একটাই। সেকেন্ড ইনিংসে সোনা করতলগত করতে হলে, তার প্রস্তুতি ফার্স্ট ইনিংস থেকেই নিতে হয়।
কোন পথ দিয়ে যেতে হবে তার মানচিত্রটা যদি হাতে থাকে অনেক দুর্গম পাহাড়, ভয়ঙ্কর জঙ্গল, আদিগন্ত রুক্ষ মরুভূমি, কালান্তক শ্বাপদের ডেরা পেরিয়ে কখন যে কে পৌঁছে যাবে ‘চাঁদের পাহাড়’য়ে কেউ জানে না...! |
|
|
|
|
|