|
|
|
|
শনিবারের নিবন্ধ |
বাঙালি কবির মৃত্যু |
এই দুঃসংবাদ কি তাড়া করবে নতুন বছরেও? নাকি মরে যেতে
যেতেও বেঁচে উঠবেন কবিরা?
প্রশ্ন তুললেন সুবোধ সরকার। |
নতুন বছরে বাঙালি কবির সামনে কোনও আদর্শ নেই। মাছভাত আছে। কোনও বিপ্লব নেই। বিস্ফোরণ আছে। কোনও সর্বনাশ নেই। কিন্তু টোম্যাটো সস আছে। ইংরেজ সাহিত্য-সমালোচক হার্বার্ড রিড বলেছিলেন,‘কবিতা হল সত্যিকারের সস। ওটা না থাকলে সভ্যতার খাবার প্লেটটাকে সহ্য করা যায় না।’
তবে কি বাঙালি কবির মৃত্যু এবং পুনর্জন্ম একসঙ্গে ঝুলে আছে? |
কবিতাই কেউ পড়ে না |
কবিরা খুব বিচিত্র হয়! আজীবন কমিউনিস্ট পাবলো নেরুদা শ্রীলঙ্কায় যখন কূটনীতিক হিসেবে ছিলেন, তখন তাঁর বাড়িতে কাজ করতে আসা তামিল পরিচারিকাকে খুব ভাল লেগে যায়। তাঁর বিখ্যাত আত্মজীবনী পড়লেই জানা যায় জল কত দূর গড়িয়েছিল। লোরকা ছিলেন বিপ্লবী, আমেরিকা তাঁকে খুন করে। সমকামী অ্যালেন গিনসবার্গ এবং তাঁর ‘গে’ পার্টনার পিটার অরলভস্কি দু’জনেই ভিয়েতনামের জন্য হোয়াইট হাউজের পতন চেয়েছিলেন। ব্রডস্কি সোভিয়েত ইউনিয়নের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দেশ ছেড়ে আমেরিকায় গিয়ে লিখলেন। এ সবের তুলনায় বাঙালি কবিরা বড্ড ছাপোষা। তাঁরা দেশ ছেড়ে যেতে পারেন না। বড় জোর এ ওঁর নাম কেটে দিয়ে তুরীয় সুখ অনুভব করেন। জনান্তিকে ‘আমরা-ওরা’ করেন। তিন জন বাঙালি মানেই এক জন কবি। কী ঝামেলা! তিনজন বাঙালি যুবক কোথাও আড্ডা মারছে দেখলেই মনে হবে ওঁদের একজনের পকেটে কবিতা আছে। তবে এটা আগে ছিল। এখন আর সেই দুর্নাম বাঙালির নেই। বাঙালি ছেলেমেয়েরা এখন আর চিঠি লেখে না, টেক্সট করে। কবিতা কোট করে না, আপলোড করে। সে যুগ এখন অস্তাচলে।
আমার ছেলে এখন একুশ। ইংরেজি সাহিত্যের ভাল ছাত্র। কিন্তু সে বাংলা পড়ে না। সে কোনও দিন আমার কবিতা পড়বে না।
আমার এক ছাত্রী গিটার বাজায়। রাত তিনটে পর্যন্ত অনলাইন থাকে। দিনের বেলা হাতে কিন্ডল। ই-বুকই তার লাইব্রেরি। সেও বাংলা কবিতা পড়ে না। বাংলা কবিতার ইংরেজি অনুবাদ পেলে উল্টে পাল্টে দেখে। আমার সহ-অধ্যাপকের ছেলে, তার কোনও বই পড়ার দরকার পড়ে না। ‘জেস্টর’ পড়েই তার কাজ চলে যায়।
এরাই মেজরিটি। এরাই এখনকার ছেলেমেয়ে। বাংলা কবিতা এখন মাথাভাঙা কিংবা কাকদ্বীপে পড়া হয়। |
|
ছবি: কৌশিক সরকার। |
সংবাদ মাধ্যম, মমতার জনসভা, আর বাংলা মদের ঠেক |
বাংলা ভাষা বেঁচে আছে এই তিনটে জায়গায়। তা হলে কি বাংলা ভাষার মৃত্যু আসন্ন? ভাষা যদি মরে যায় লিখব কীসে? তিন বছর আগে আন্দামানে একটা ভাষার মৃত্যু হল। ভাষাটার নাম বোয়া। তার লাস্ট সারভাইভিং স্পিকার বো মারা যাওয়ার পরে সেই ভাষা বলার মতো কেউ থাকল না। ভাষার মৃত্যু হয়। কিন্তু জন্ম হয় না। এরকম খারাপ অবস্থা বাংলা ভাষার কখনও হবে না। কী দেখে বুঝলেন হবে না? কেননা ‘ইন্ডিয়া’ থেকে বাংলা হারিয়ে গেলেও, বাংলাদেশ থেকে হারাবে না।
তা হলে কি ইন্ডিয়ার বাঙালি কবিরা শুধু বাংলাদেশের জন্য কবিতা লিখবেন? কী হাল হবে সেদিন? নাকি বাঙালি কবিরা আর বাংলায় লিখবেন না? ইংরেজিতে লিখবেন?
সেই ট্র্যাজিক কৌতুক ইতিমধ্যেই ইশারা দিতে শুরু করেছে। যারা সমঝদার তাদের কাছে ইশারাই যথেষ্ট।
বাংলা কবিতা লিখতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লাগে না
বাংলাতেই বাংলা ভাষার বধ্যভূমি তৈরি হয়েছে। দেশ-বিদেশ ধরে পঁচিশ কোটি বাঙালি। ইউনেস্কোর হিসেবে ভূমণ্ডলে বাংলা হল পঞ্চম ভাষা। এত লোক বাংলা জানে। কিন্তু ইউনেস্কো এটা জানে না যে এত লোক বাংলা পড়তে পারে না, লিখতে পারে না, বলতেও পারে না ভাল। অথচ তাদের মাতৃভাষা বাংলা।
তেরা ক্যায়া হোগা রে বাংলা কবিতা? সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন কবিদের গুপ্তসমিতি থাকে। তারা লুকিয়ে লুকিয়ে কবিতা পড়ে, কবিতা লেখে, কবি সম্মেলন করে। তা না হয় করল। কিন্তু খাবে কী? প্রতিটা গুপ্ত কাল্টকে খেয়েপরে বাঁচতে হয়। তার একটা লাইফলাইন থাকে। নেই নেই করেও তার একটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকে। যদি সেটা না থাকে তবে লাদেনের আমেরিকা বিরোধী আন্দোলনও মারা যায়, নকশাল আন্দোলনও চাপা পড়ে যায়। থ্যাঙ্ক গড, বাংলা কবিতা লিখতে কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লাগে না। সাদা কাগজ, কালো কালি এটুকু পেলেই বাজিমাত। এত কম খরচে আর কোনও শিল্পচর্চা করা যায় না। একটু বড় হৃদয় লাগে। একটু মাথা।
২০১৪ কেমন যাবে কবিদের
আমি গনৎকার নই। একজন বন্ধু জ্যোতিষীকে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, “এ বছর বাঙালি কবিদের পকেটে টাকা আসবে। একজন জ্ঞানপীঠ পাবেন। একজন জমি পাবেন। পাঁচজন কবি বিদেশ যাবেন। ছন্দ-মিল বেড়ে যাবে কবিতায়। এক ঝাঁক নতুন কবি ঢুকে পড়বেন সার্কিটে। একজনার পুনর্বিবাহ হবে। আর এক জনের কিছুতেই বিয়ে হবে না।”
আমি বললাম, বাংলা কবিতার কী হবে?
জ্যোতিষী বললেন, ‘‘সেটার হদিশ আমার শাস্ত্রে নেই।” আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম তা হলে ছন্দ-মিল নিয়ে কী করে বললেন? ওটা কি শাস্ত্রে লেখা আছে? “তা লেখা নেই। তবে ওটা আমার অভিজ্ঞতা থেকে বললাম,” বললেন জ্যোতিষী। আমি জিজ্ঞাসা করলাম তার মানে কী? বাংলা কবিতা নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা আছে নাকি? জ্যোতিষী একটা চোখ খুলে বললেন, “প্রভু, পাঁচ বছর আগে আমরও একটা কবিতার বই বেরিয়েছিল।”
বাংলা কবিতার এ কী হাল? জ্যোতিষীও কবিতা লেখে! |
যিনি মায়াকভস্কি দিয়ে গেলেন, তিনি গ্রেনেড বার্স্ট করে মারা গেলেন |
বাংলা কবিতা যাঁরা লিখেছেন আমি তাঁদের পেন্নাম করি। তাঁরা এটা না জেনেই লিখেছেন যে তাঁরা আসলে এক একজন জীবিত টাইটান। তাঁরা এটা জেনেই লিখতে এসেছেন তাঁরা মধ্যরাতের জোছনায় দাঁড়িয়ে থাকা নিয়তির সামনে ঘাড় গুঁজে বসে লিখে চলেছেন। দেবী নিয়তি মাঝে মাঝে এক বাটি খাবার, এক ঘটি জল এগিয়ে দিচ্ছেন। এই ঘটিবাটিই হল বাংলা কবিতার একটা লাইফলাইন। লড়াইটা চালু রেখে চলে গিয়েছেন সুনীল-শক্তি-বিনয়। লড়াইটা অসমাপ্ত রেখে গিয়েছেন মল্লিকা-জয়দেব। লড়াইটা এখনও শেষ করেননি, মাটি কামড়ে দাঁড়িয়ে আছেন নীরেন্দ্রনাথ-শঙ্খ-অলোকরঞ্জন-নবনীতা-শরৎ-উৎপল। টর্চ নিয়ে দৌড়োনোর ছেলেমেয়েরা এসে গিয়েছে। পৌলমী-শ্রীজাত-বিভাস, রাহুল-সংযুক্তা, কৃষ্ণা-সুতপা, বিনায়ক-অংশুমান, রূপক-চিরঞ্জীব-যশোধরা, মন্দাক্রান্তা-সম্রাজ্ঞী, রাকা-হিমালয়-অরিত্র-কৌশিকী। নতুন সময়ের মুখ উঠে আসছে একে একে। অনেকের মুখ থেকে কুয়াশা সরেনি। কিন্তু তাঁরা এসে দাঁড়িয়েছেন নিয়তির সামনে। তাঁদের প্রত্যেকের মাথার ওপর ডিমোক্লিসের খড়্গ ঝুলে আছে। লিখে যেতে হবে, বাংলাকে বাঁচানোর জন্য লিখে যেতে হবে। না লিখলে খড়্গ নেমে আসবে। লিখলেও খড়্গ নেমে আসবে। কেউ কেউ উপন্যাসে সরে গেলেও বারবার ফিরে আসছেন কবিতায়। পেটের জন্য কেউ কেউ গান লিখতে চলে গেলেও খুঁটি ছেড়ে যাবেন না আমি জানি। বাংলায় জাভেদ আখতারকে দরকার নেই। দরকার জিন্স পড়া রামপ্রসাদ সেন, দরকার আরও দুটো কবীর সুমন। আমি যখন লিখতে এলাম, সত্তর দশক, এসে গিয়েছেন ভাস্কর-দেবারতি, জয়-বীতশোক, দেবদাস-নির্মল, শ্যামলকান্তি-মৃদুল। ব্লুপ্রিন্ট রেডি, গ্রাম দিয়ে শহর ঘিরতে হবে। পিকিং রেডিও থেকে কৃষ্ণনগরের কথা বলা হচ্ছে, আমার এক খুড়তুতো দাদা যিনি সকালে আমাকে মায়াকভস্কি দিয়ে গেলেন, সেই সকালেই গ্রেনেড বার্স্ট করে মারা গেলেন কৃষ্ণনগরের নেদের পাড়ায়। মা তাঁর জন্য ভাত রান্না করে বসেছিলেন। তখন মোবাইল ছিল না। মা বসেই ছিলেন। আজও সেই দাদা আমার পিঠের কাছে এসে দাঁড়ান যখন আমি লিখতে বসি। |
কবিদের আড্ডা, কবিদের গান |
কবিদের আড্ডা আর নেই। সুনীলদার বাড়িতে হত। কফি হাউসে আগে তুলকালাম হত। লিটল ম্যাগে একটা ছাপা নিয়ে পাল্টা ছাপা হত আরও দশটা লেখা। কফি হাউসে বিপ্লব হত। এখন সেটা হয় ফেসবুকে। ফেসবুক আসলে একটা পোস্টকলোনিয়াল উঠোন। ছবি টাঙাতে পয়সা লাগে না। কবিতা ছাপাতেও খরচ নেই। ফেসবুক একটা ভাল মরীচিকা। কিন্তু কবিতাকে যে বড্ড খেলো করে দেয় সেটা অনেকেই বোঝেন না। পাঁচ মিনিটের মধ্যে পাঁচ হাজার লোক জানান দেয় তারা একটা কবিতাকে ‘লাইক’ করেছে। কিন্তু কবিতাকে ‘লাইক’ করা যায় না। প্রকৃত ভাল কবিতা হাতে নিলে হাত পুড়ে যায়। আমাকে বহু লোক জিজ্ঞাসা করে ‘গান লেখো না কেন?’ যেহেতু আমার অনুজ শ্রীজাত-সহ অনেকেই গান লিখছে, আমি বলি সব কাজ সবাই পারে না, আমার জাভেদ আখতার হওয়ার কোনও কারুবাসনা নেই, তিনি একজন ফার্স্ট রেট গীতিকার। থার্ড রেট কবি। আসলে কবি ছিলেন কাইফি আজমি, ওঁর শ্বশুরমশাই। অতুলপ্রসাদ হতে পারব না, রজনীকান্ত হওয়ার মতো নরম ইগোলেস মন নেই, নজরুল হওয়ার মতো প্যাশন নেই, রবীন্দ্রনাথ একমাত্র লোক পৃথিবীতে (রবার্ট বার্নসকে মনে রেখেও বলছি) যিনি সব চেয়ে বেশি গান লিখেছেন। যে গানগুলো তাঁর কবিতার থেকে উৎকৃষ্ট, কিন্তু তাঁকে কেউ গীতিকার বলে না, বলে কবি। এরকম একটা ঘটনা কিন্তু আর কোথাও দ্বিতীয়বার ঘটেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো তরুণ কবি অংশুমান কর-কে জিজ্ঞাসা করলাম, গান লিখবে? বলল, ‘হ্যাঁ, লিখতেই পারি।’ বিনায়ককে জিজ্ঞাসা করলাম, লিখবে? উত্তর ‘চেষ্টা করতে পারি।’ মন্দাক্রান্তা বলল, ‘পারি যদি গল্পটা নিয়ে আগে বসা যায়।’ শক্তিদা-সুনীলদাদের ঘোর আপত্তি ছিল গান লেখায়। সুনীলদা আমাকে বলেছিলেন (আজ আর প্রমাণ দিতে পারব না), “আরে গান থেকে কবিতাকে আলাদা করব বলেই তো জীবনটা কবিতার জন্য বাজি ধরেছিলাম।” আমাদের সময়ে কেউ গান লেখেননি। কিন্তু এখন তরুণ কবিরা অনেকেই গান লিখতে চাইছে। সেটা কি লক্ষ্মীলাভের সম্ভাবনা দেখে? |
বিদেশে কী হয় |
গ্রিসে আমি যে বার আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম, সেখানে একটা বিরাট ঘরে আমাদের চোদ্দো জন কবি-লেখক-স্কলারকে ঢুকিয়ে দিয়ে বলা হল, ‘‘কথা বলো। বিষয় ‘ডেমোক্র্যাসি।’’’ সান মুন লেক সিটি নামে একটা শহর আছে পাহাড়ের মাথায়। তাইওয়ানের তাইপেয়ি থেকে যেতে হয়। সেখানে আমি কপর্দকহীন হয়ে পৌঁছেছিলাম। আমার সব টাকা চুরি হয়ে গিয়েছিল। রবীন্দ্রসদনের মতো বড় একটা হলে সবাই কবিতা পড়ছিল, আমাকেও পড়তে ডাকল। কিন্তু যেই শুনল আমার সব চুরি হয়ে গেছে, তখন আমাকে, বিশেষ করে জাপানিরা আমার একটা করে কবিতা শুনল আর দু’ হাত ভরে ইয়েন ছুড়ে দিতে লাগল। জীবনে প্রথম ও শেষ আমি মুজরো গ্রহণ করলাম। তাও বেনারস কিংবা লখনউতে নয়, তাইওয়ানে। |
কবির বাড়ি আগ্নেয়গিরির ওপর |
তবে আগ্নেয়গিরির ওপর যে আবাসন, সেখানেও একটা বাগান আছে। সেই সুন্দর বাগানে একটা রোগা, প্যাংলা, ফর্সা দৈত্য থাকে। সে নিজে ভাল কবি ছিল বলে অন্য কোনও কবিকে সহ্য করতে পারে না, খুব হিংসুটে। অনুজ, অগ্রজ সবার নাম কেটে দেয়। তার জন্যেই কি বাগানে এখন কোল্ডওয়েভ চলেছে? ফুল ফুটছে না, পাখি ডাকছে না? বাংলা ভাষাকে বাঁচানোর কথা কবিদের। তারাই তো আসলে ‘আনঅ্যাকনলেজড লেজিসলেটরস।’ কিন্তু এ কী বুরা হাল হল কবিদের? তাদের হাতে কোনও বিপ্লব নেই। আদর্শ বা ইডিওলজি, যা না থাকলে কবি হওয়া যায় না তাও দেখছি না। ‘এই একটু আসছি’ বলে কোথায় যে গেল! তবে মনে হয় কবিদের এখন ‘হাইবারনেশন’ চলেছে। ঘুম থেকে উঠেই খোলস ছাড়বে, তার পর তাদের পুনর্জন্ম হবে।
কবিরা মন্দিরে পড়ে থাকতেন এক সময়। এক সময় খালাসিটোলাতে পড়ে থাকতেন। এখন ফেসবুকে পড়ে আছেন। বাংলা কবিতা চিরদিন শতজল ঝরনার ধ্বনি। এখনও তার একশোটা জানলা। আরও একশোটা জানলা খুলে যাক। পাখি আসুক। নতুন কবিরা আসুক। তারা আমার সহোদর, সহোদরা। তারা আমার আবাসন। সকালবেলার রোদ্দুর এসে পড়ুক।
বাংলা ভাষা আবার বুক ভরে অক্সিজেন নিক। যেন তাকে মৃত্যুর অধিক মনে করতে পারি। |
|
|
|
|
|