সবুজ বাঁচিয়ে উদ্যানেই জলাধার
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বিকল্প জায়গা না পাওয়ায় বাঁশদ্রোণীর প্রফুল্ল পার্কেই জলাধার ও বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পরে জলাধারের উপরে উদ্যান তৈরি হবে।
পার্কের মধ্যে জলাধার বা বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি করলে সবুজ নষ্ট হতে পারে। এই আশঙ্কায় বিকল্প জায়গা খোঁজা হয়েছিল। কিন্তু তা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত পার্কের মধ্যেই জলাধার ও বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের তৈরির প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। শোভনবাবু বলেন, “বিকল্প জায়গা না পাওয়ায় উদ্যানের একাংশেই বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পরে জালধারের উপরে উদ্যান তৈরি হবে। শহরের অনেক জায়গায় বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের জলাধারের উপর এই ধরনের উদ্যান তৈরির প্রকল্প করা হয়েছে।”
|
|
এখানেই তৈরি হবে জলাধার ও তার উপরে উদ্যান। |
পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “শহরে পানীয় জলের প্রয়োজনীয়তা সব সময় বেশি। সে কথা মাথায় রেখে উদ্যান বিভাগ এই প্রকল্পের অনুমতি দিয়েছে। উদ্যান বিভাগই জলাধারের উপরে সুদৃশ্য উদ্যান তৈরি করবে।”
এই প্রকল্পের মূল সমস্যা ছিল জমি। পুরসভা এই এলাকায় ফাঁকা জমি পাওয়ার জন্য সমীক্ষা চালায়। কিন্তু কোথাও ফাঁকা জমি না পাওয়ায় প্রফুল্ল পার্কের মধ্যেই এই প্রকল্পটি করার সিদ্ধান্ত হয়। তখন পার্কের সবুজ ধ্বংস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, প্রফুল্ল পার্ক এই এলাকার ফুসফুস। এখানে জলাধার এবং বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি হলে সবুজের ক্ষতি হতে পারে। তার পরে, পুরকর্তৃপক্ষ আলোচনা করে জলাধারের উপরেই পার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। |
|
স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের অনিতা করমজুমদার বলেন, “এই অঞ্চলে জলের সমস্যা রয়েছে। বিকল্প জায়গা না পাওয়ায় মাঠের একাংশে পুর আইন মোতাবেক এটি তৈরি হবে। সম্প্রতি মেয়র শিলান্যাসও করেছেন। তার পরে জলাধারের উপরে উদ্যান তৈরি হবে।” কলকাতা পুরসভা শহরের অনেক জায়গায় জলাধারের উপর উদ্যান তৈরি করেছে। তার মধ্যে, উল্লেখযোগ্য হল কালীঘাট, কসবা এবং সিরিটি।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, এই পার্কে যে জলাধার এবং বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি হবে সেখানে গার্ডেনরিচ থেকে জল আসবে। এই পাম্পিং স্টেশন থেকে প্রতি দিন ৩০ লক্ষ গ্যালন পানীয় জল সরবরাহ করা হবে।
এতে বাঁশদ্রোণী ও সংলগ্ন গড়িয়া এলাকার একাংশের বাসিন্দারা উপকৃত হবে। কয়েক দিনের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। আগামী দু’বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলেও পুরকর্তৃপক্ষের দাবি।
|
—নিজস্ব চিত্র। |
|