|
|
|
|
জলাধার সংস্কারে পুর-উদ্যোগ
কৌশিক ঘোষ |
কসবার পুরনো ওভারহেড জলাধারটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। ডাক্তার জি এস বসু রোডের পুরনো জলাধারে ফাটল দেখা দিয়েছে। জলাধারের চার পাশের পাঁচিলেরও জরাজীর্ণ দশা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জলাধার-সহ পাঁচিল ভেঙে পড়তে পারে।
কসবা বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির আগে এই জলাধারই ছিল এলাকায় জল সরবরাহের একমাত্র ভরসা। কসবা বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির পরেও এলাকায় জলের সমস্যা কিছুটা কমলেও এই জলাধারের গুরুত্ব আজও রয়েছে।
পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এলাকায় লোকসংখ্যা দ্রুত বাড়ায় জলের চাহিদা বেড়েছে। এই জলাধারে বাড়তি জল ধরে রেখে সরবরাহ করলে সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। এই জলাধারের মেরামতির প্রয়োজন। পুরসভা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।” |
|
সংস্কার হবে এই জলাধারের। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য। |
পুরসভা সূত্রের খবর, ১৯৭৬-এ রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতর এলাকায় জল সরবরাহের জন্য এই জলাধারটি তৈরি করে। এই জলাধারের ক্ষমতা ১ লক্ষ ২৫ হাজার গ্যালন জল ধরে রাখার। কসবা বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির আগে এলাকায় এটিই ছিল জল সরবরাহের অন্যতম ভরসা। কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের ডিরেক্টর জনারেল বিভাস মাইতি জানান, গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ জল ওভারহেড জলাধারে তোলা হত। তার পর সেই জল সরবরাহ করা হত। কসবা বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির পরে গভীর নলকূপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার পরিবর্তে, কসবা বুস্টার পাম্পিং স্টেশন থেকে একটি লাইন এই জলাধারের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে। বর্তমানে কসবা বুস্টার পাম্পিং স্টেশন ও পুরনো জলাধার থেকে সমান ভাবে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল সরবরাহ করা হয়।
স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলর দীপু দাস বলেন, “বতর্মান পরিস্থিতিতে এলাকায় লোক সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কসবা বুস্টার পাম্পিং স্টেশন ছাড়াও এই ওভারহেড জলাধার ক্রমশ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ২০১১ থেকেই পুরসভাকে জলাধার সংস্কারের ব্যাপারে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তবে গত মাসে কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে এই ওভারহেড জলাধার সংস্কারের বিষটি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে।”
পুরসভার এক অধিকারিক জানান, এই জলাধার সুরক্ষিত রাখার জন্য মেরামতির প্রয়োজন। তবে প্রশ্ন ওঠে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে। এই ওভারহেড জলাধারটি নগরোন্নয়ন দফতরের তৈরি। পুরসভাকে অনেক দিন আগেই এই জলাধার হস্তান্তর করা হয়েছে। জল ধারণের জন্য সামান্য যে রক্ষণাবেক্ষণ করা দরকার তা পুরসভা বর্তমানে করে বলে তাঁদের দাবি। |
|
|
|
|
|