|
|
|
|
সৌন্দর্যায়ন শিকেয়, চলছে চাপানউতোর
কৌশিক ঘোষ |
বাগবাজার থেকে শুরু করে চিৎপুর লকগেট রোড এবং বিটি রোডের সংযোগস্থল পর্যন্ত বিস্তৃত লকগেট উড়ালপুলের নীচের জবরদখল সরিয়ে সৌন্দর্যায়নের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু কে করবে এই কাজ? এ নিয়েই চলছে চাপান-উতোর।
কলকাতা পুরসভার বক্তব্য, উড়ালপুলের নীচের জমির মালিক হুগলি রিভারব্রিজ কমিশনার্স (এইচআরবিসি)। সুতরাং সৌন্দর্যায়নের কাজ তারাই করবে। অন্য দিকে, এইচআরবিসি-র এক আধিকারিক জানান, যে কোনও সংস্থা এইচআরবিসি-র অনুমতি সাপেক্ষে সৌন্দর্যায়ন করতে পারে। তবে, এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “এইচআরবিসি-র তৈরি এই সেতুর নীচের অংশে জবরদখল রয়েছে। এইচআরবিসি কর্তৃপক্ষ যদি চান তাঁরাই তাঁদের জমিতে সৌন্দর্যায়ন করতে পারেন। ইতিমধ্যেই তাঁরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সৌন্দর্যায়ন করেছেন। পুরসভার কাছে এই মুহূর্তে এই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ নেই।” |
|
এমনই অবস্থা। |
এইচআরবিসি-র ভাইস চেয়ারম্যান সাধন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই সেতুর নীচে সৌন্দর্যায়নের কোনও পরিকল্পনা আপাতত এইচআরবিসি-র নেই। এ ছাড়া, এমন কোনও নিয়ম নেই যে এইচআরবিসি-র জায়গায় অন্য কোনও সংস্থা সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প করতে পারবে না। তবে, এই জায়গার সৌন্দর্যায়নের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না।” ২০০৪-এ এইচআরবিসি কর্তৃপক্ষ প্রায় ৯০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই উড়ালপুল তৈরি করেন। বাগবাজার থেকে দ্রুত বিটি রোডের সঙ্গে সংযোগরক্ষা করতেই এই উড়ালপুল তৈরি করা হয়। এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এইচআরবিসি-রই।
এই উড়ালপুলের নীচে অনেক দিন ধরেই বাজার বসে। তৈরি হয়েছে ঝুপড়িও। ফলে, সেতুর আশপাশে পড়ে থাকে আবর্জনার স্তূপ। স্থানীয় কাউন্সিলর সুমন সিংহ বলেন, “যে যেখান থেকে পারছে উড়ালপুলের ফাঁকা জায়গা দখল করছে, বাজারও বসছে। এই অংশের সৌন্দর্যায়ন হলে সমস্যা মিটবে। এই জায়গা ছাড়া খালধারেও জবরদখলের জন্য সৌন্দর্যায়ন আটকে রয়েছে। এইচআরবিসি এখানে যদি একটি ওয়ার্ড অফিস তৈরিরও অনুমতি দিত পুরসভাকে, তা হলেও এই সমস্যার কিছুটা সমাধান হত। কিন্তু এইচআরবিসি সেই ব্যাপারে কোনও অনুমতি দেয়নি।” যদিও এই অভিযোগ সম্পর্কে এইচআরবিসি কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেননি। পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, গত পুরবোর্ডের আমলেই পুরসভা উড়ালপুলের নীচে সৌন্দর্যায়নের জন্য বাগান তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। |
|
পুরকর্তৃপক্ষই বা এই জবরদখলকারীদের এখান থেকে উচ্ছেদ করেননি কেন?
স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান তরুণ সাহা বলেন, “অনেক আগে এক বার এখানে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল পুরসভা। আবারও জায়গা জবরদখল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এইচআরবিসি যদি সৌন্দর্যায়নের জন্য কোনও বাগান বা পার্ক করে সে ক্ষেত্রে জায়গাটি পরিষ্কার থাকে। জবরদখলের আশঙ্কাও থাকে না।”
|
ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী। |
|
|
|
|
|