|
|
|
|
তিন বছরে প্রকল্প শেষ, উদ্বোধন আজ
অশোক সেনগুপ্ত |
শেষ হল বজবজ পুরসভার নিকাশি প্রকল্পের কাজ। আজ এই প্রকল্পের উদ্বোধন। প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল বাম আমলে। কিন্তু অভিযোগ, সে কাজ চলছিল ঢিমেতালে। পুরসভায় পালাবদলের পরে বেড়েছে কাজের গতি। এই প্রকল্পটি জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিইউয়াল মিশন-এর (জেএনএনআরইউএম) অধীন।
বজবজে নিকাশি প্রকল্পের অনুমতি মিলেছিল প্রায় চার বছর আগে।
কিন্তু অভিযোগ, ২০১০-এর পুরভোটের আগে বাম পুরসভা কিছুই করে উঠতে পারেনি। তৎকালীন পুরবোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সিপিএমের শ্যামাচরণ গড়ের কথায়, “প্রকল্পের পরিকল্পনা, দিল্লিতে দৌড়ঝাঁপ সব আমাদেরই করা।
যে কোনও প্রকল্পের কাজে গতি আসতে সময় লাগে। এ ছাড়া, এই প্রকল্পের জন্য বেশ কিছু অঞ্চলের জবরদখল সরাতে হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, এ কাজে গোড়ার দিকে রাজনৈতিক বাধাও এসেছিল। |
|
চলছে নিকাশি প্রকল্পের কাজ। ছবি: অরুণ লোধ। |
কেএমডব্লিউএসএ-এর সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার প্রান্তিক রায় বলেন, “গোড়ার দিকে পুরসভা ম্যাচিং গ্রান্ট ঠিকমতো দিতে না পারায় কাজ ধীরে চলছিল।” বজবজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের গৌতম দাশগুপ্ত বলেন, “২০১০-এর মে মাসে পুরবোর্ডের দায়িত্ব পাওয়ার পরে প্রকল্পটি রূপায়ণে জোর দিয়েছিলাম। জবরদখল সরিয়ে, ঠিকমতো ম্যাচিং গ্রান্টের ব্যবস্থা করায় কাজে গতি আসে।”
কেএমডিএ-র প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের প্রধান অসীম পাল জানান, “প্রকল্পটি শেষ করতে সময় লাগল তিন বছর। খরচ হয়েছে ৩৪ কোটি টাকা। এতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার অঞ্চলের নিকাশি উপকৃত হবে।” প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার আগেই এর সুফল মিলতে শুরু
করেছে বলে দাবি করেন গৌতমবাবু। তিনি বলেন, “আগে নন্দনপুর,পোকপারি, কয়ালপাড়া, পাগমারি, ডিএন ঘোষ রোড, বাগানপাড়া প্রভৃতি অঞ্চলে অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে যেত। এ বার তা হয়নি। এই প্রকল্পে পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের ৫০ হাজার বাসিন্দা প্রত্যক্ষ ভাবে উপকৃত হবেন। পরোক্ষে উপকার পাবেন আরও তিন গুণ লোক।”
জেএনএনইউআরএম-এ কেন্দ্র এবং রাজ্য ৩৫ শতাংশ করে অর্থ দেয়। ৫ শতাংশ অর্থ দিতে হয় সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে। ২৫ শতাংশ দিত কেএমডিএ-র মতো প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা সংস্থা। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত হয়েছে, এই অংশও সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে দিতে হবে। কেএমডিএ-র চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার সুরেন্দ্র সিংহ বলেন, “সময়সীমা মেনে কাজ শেষ করার বিষয়ে আরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি দিল্লির বৈঠকে এ নিয়ে কথা হয়েছে।”
জেএনএনআরইউএম-এর অধীনে বারুইপুরেও চলছে নিকাশি উন্নয়নের কাজ। এই প্রকল্পটি ছাড়পত্র পায় গত বছরের এপ্রিল মাসে। সুরেন্দ্রবাবু বলেন, “এই প্রকল্পের জন্য ৬৪ কোটি ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। মূল বরাদ্দের প্রথম কিস্তি (২৫ শতাংশ) পাওয়া গিয়েছে।” বারুইপুর পুরসভার ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার অরিন্দম দত্ত বলেন, “বারুইপুরের ১৭টি ওয়ার্ডে প্রায় সব জায়গায় কাজ হবে। কাজ শুরু হয়েছে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। পরের পর্যায়ে কাজ হবে ১, ১২ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে।” কেএমডব্লিউএসএ সূত্রে খবর, মোট ৪০ কিলোমিটার অংশের মধ্যে ভূগর্ভে ১০ কিলোমিটার পাইপ বসবে। সবচেয়ে চওড়া পাইপের ব্যস ১৪০০ মিলিমিটার। |
|
|
|
|
|