পার্ক স্ট্রিটে আলো কত দিন
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বর্ষবরণের পরেও পার্ক স্ট্রিটের আলোকসজ্জা রেখে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে শুক্রবার দিনভর দোটানায় ছিল পুর-প্রশাসন। যদিও ওই রাস্তায় আলোকসজ্জার মূল দায়িত্বে রয়েছে পর্যটন দফতর। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। প্রথমে ঠিক হয়, ২ জানুয়ারি পর্যন্ত আলো থাকবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছা, ওই রাস্তায় আলোকসজ্জা আপাতত থাকুক। ক্রিসমাস উপলক্ষে পার্ক স্ট্রিটে কার্নিভালের উদ্বোধনের পরে তা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু লিখিত নির্দেশ না থাকায় সমস্যা দেখা দেয় বলে পুরসভা সূত্রের খবর। পরে পর্যটন দফতর সূত্রে জানানো হয়, আরও ৪-৫ দিন ওই আলোকসজ্জা থাকবে। পরে কী হবে, তা নিয়ে সরকারের অনুমতি চাওয়া হবে। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, সিইএসসি-র সঙ্গে পুরসভার কথা হয়েছিল, ২ জানুয়ারি পর্যন্ত আলোকসজ্জার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে। সেই সময়সীমা পেরোতেই টনক নড়ে পুর-প্রশাসনের। সংযোগ কাটা হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েন সিইএসসি কর্তৃপক্ষও। পরে পর্যটন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি আপাতত সামাল দেওয়া হয়েছে।
|
শহরে তিনটি চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ জন গ্রেফতার হল। পুলিশ জানায়, ৩ ডিসেম্বর তিন যুবক কসবার এক বাড়িতে ঢুকে এক বৃদ্ধার হাত-পা বেঁধে গয়না, মোবাইল ও টাকা নিয়ে পালায়। ঘটনায় জড়িত দুই অভিযুক্তকে শুক্রবার দমদম স্টেশনের কাছ থেকে ধরা হয়। ধৃতদের নাম অভিজিৎ দে ও ত্রিনাথ মণ্ডল। তাদের জেরা করে লুঠের মাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। খোঁজ চলছে তৃতীয় দুষ্কৃতীর। ধৃতেরা ওই বৃদ্ধার পরিচিত বলে জানায় পুলিশ। এ দিকে, বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুরে চোরাই গয়না বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়ল বুধিয়া দাস ওরফে বিজয় নামে এক যুবক। পুলিশ জানায়, ২৫ ডিসেম্বর বেহালায় এক ফাঁকা বাড়িতে তালা ভেঙে টাকা-গয়না লুঠ করে পালায় পেশায় মিস্ত্রি বিজয় এবং তার এক সঙ্গী। বৃহস্পতিবার গয়না বিক্রি করতে গেলে দোকানদারের সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশে জানান। অন্য দিকে, ২২ নভেম্বর এন্টালি থানার কামারডাঙা রেল কোয়ার্টার্স থেকে টাকা ও গয়না চুরি যায়। পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার মহম্মদ আবিদ ও শেখ সোনুকে ট্যাংরা থেকে ধরা হয়। শুক্রবার আদালতে ধৃতদের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত হয়।
|
বাড়ি রং করতে গিয়ে ছ’তলা থেকে পড়ে গুরুতর জখম হলেন এক ঠিকা শ্রমিক। বেসরকারি নয়, বিধাননগরে খোদ রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের নগরায়ণ ভবনে ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার দুপুরে। আহতের নাম আরিজুল শেখ (২৫)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রঙের কৌটো বাঁশে ঝোলাতে গিয়ে পা হড়কে পড়ে যান আরিজুল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর কোমরে, পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। যদিও শুক্রবার রাত পর্যন্ত এ ঘটনায় পুলিশে গাফিলতির অভিযোগ জমা পড়েনি। পুলিশ জানায়, আরিজুলের মাথায় হেলমেট ছিল না। সেখানেই সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। অভিযোগ, শ্রমিকদের জন্য নানা ব্যবস্থা করছে সরকার। তবে খোদ সরকারি দফতরেই কী ভাবে সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া এই কাজ চলছে? কেন এত দিন দফতরের আধিকারিকেরা পদক্ষেপ করেননি? তৃণমূলের সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “কোথাও গাফিলতি থাকলে সরকার নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু শ্রমিকদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গাফিলতি বরদাস্ত করা যায় না।” এ দিকে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সুরক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে ওই শ্রমিকের যাবতীয় চিকিৎসা করানো হচ্ছে।” প্রশ্ন উঠেছে, নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে থানায় অভিযোগ করা হল না কেন? জবাবে পুরমন্ত্রী জানান, বিষয়টি দেখা হচ্ছে। অভিযোগ জানানো হবে।
|
ট্যাংরা এলাকায় বছর আষ্টেকের এক বালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় তরুণ দাস এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি কুলিয়া ট্যাংরায়। অভিযোগ, সন্ধ্যায় তরুণ প্রতিবেশীর মেয়ের উপরে নির্যাতন চালাচ্ছিল। এক বাসিন্দা শ্লীলতাহানির বিষয়টি দেখতে পান। তাঁর হইচইয়ে লোকজন জড়ো হয়ে যুবকটিকে পুলিশে দেন। |