সবুজ দ্বীপ |
|
বিশেষত্ব: গঙ্গার মাঝে জেগে ওঠা চরে বিশাল চত্বর জুড়ে গাছগাছালি দিয়ে ঘেরা। শীতের মরসুমে পরিযায়ী পাখিও আসে। ছোটদের জন্য পার্ক আছে। দ্বীপটিকে ঘিরে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগাযোগের মাধ্যম: হাওড়া বা ব্যান্ডেল থেকে কাটোয়া লোকালে সোমড়া বাজার স্টেশন হয়ে। কলকাতা থেকে দিল্লি রোড বা জিটি রোড ধরে মগরা হয়ে অসম লিঙ্ক রোড ধরতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ঈশ্বরগুপ্ত সেতু পার হয়ে অসম লিঙ্ক রোড ধরতে হবে। সমস্যা: দ্বীপের ভিতরে জলের সমস্যা রয়েছে। সেখানে আলো পর্যাপ্ত নয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হতে পারে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: জেলাশাসক মনমীত নন্দা বলেন, “রাজ্য সরকার ওখানে প্রকল্প তৈরি করবে। গোটা পরিকাঠামো ঢেলে সাজা হবে।” |
|
গড় মান্দারণ |
|
বিশেষত্ব: খালের ধারে সবুজ ঘাসের গালিচা আর গাছগাছালিতে ঘেরা। মোগল আমলের দুর্গের ধ্বংসাবশেষে প্রাচীনত্বের আস্বাদ। ছোট ছোট টিলার পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে আমোদর নদ। কিছুটা দূরে কাজলা দিঘি এবং লক্ষ্মীজলা লেকে নৌ-বিহারের ব্যবস্থা রয়েছে। দেড় কিলোমিটার দূরে কামারপুকুর। সেখানে থাকার ব্যবস্থা আছে। কাছেই পূর্ত দফতরের বাংলো বা বেসরকারি লজেও ওঠা যাবে বাক্সপ্যাঁটরা নিয়ে। যোগাযোগের মাধ্যম: রেলপথে তারকেশ্বর বা আরামবাগ থেকে মেদিনীপুর অথবা হলদিয়াগামী বাসে গড় মান্দারন স্টপেজ। সমস্যা: পরিকাঠামো ভালই। তবে গড়ের নির্মাণকাজ ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি শেখ মেহবুব রহমান বলেন, “পিকনিক করতে যাতে অসুবিধা না হয়, সে জন্য যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আরও সুন্দর করে সাজানোর ভাবনা আছে।” |
|
চাঁদুর ফরেস্ট |
|
বিশেষত্ব: ১৫৩ একর এলাকা জুড়ে মূলত শাল, সেগুন, শিশু গাছের সারি। চড়াই, শালিখ, কাঠবেড়ালির খাসতালুক।
যোগাযোগের মাধ্যম: তারকেশ্বর অথবা আরামবাগ স্টেশনে নামতে হবে। দু’জায়গা থেকেই বাস মিলবে। সড়ক পথে বর্ধমান রোড ধরে ভাটার মোড়ে নেমে মিনিট কয়েক হাঁটলেই জঙ্গল শুরু।
সমস্যা: এক মাত্র সমস্যা পানীয় জলের সঙ্কট।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: আরামবাগ পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, জলের সমস্যা মেটাতে বন দফতরের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। |
|
নিউ দিঘা |
|
বিশেষত্ব: চন্দননগরে কাঠকুন্তি নদীর ধারে ২৫ বিঘে জমি নিয়ে পিকনিক স্পট। শিশু উদ্যানে টয় ট্রেন থেকে শুরু করে দোলনা, স্লিপার কি নেই! নৌকা বিহারেরও ব্যবস্থা আছে। রয়েছে থ্রি-ডি সিনেমা হল। বিশেষ ধরণের চশমা পড়ে সিনেমা দেখার মজা নিতে পারেন। যোগাযোগের মাধ্যম: কলকাতা থেকে দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। চন্দননগর স্টেশন থেকে অটো রিকশা চলে। কলকাতার দিক থেকে দিল্লি রোড ধরে ভদ্রেশ্বরের শ্বেতপুর মোড়ের বাঁ দিকের রাস্তায় মিনিট খানেকের পথ। সমস্যা: সাউন্ড সিস্টেমে প্রায়ই গোলোযোগ হয়। পর্যাপ্ত আলোর অভাব। রক্ষণাবেক্ষণের অভাব স্পষ্ট ছোটদের মনোরঞ্জনের জিনিসগুলিতে। নিজস্ব গাড়ি না থাকলে সন্ধ্যায় ফেরা মুশকিল। পর্যাপ্ত যানবাহন নেই। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: জেলা পরিষদের পূর্ত এবং পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “যত ক্ষণ না পার্ক বন্ধ হচ্ছে, তত ক্ষণ গাড়ি চলার কথা। তা যদি না হয়, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা করা হবে। সাউন্ড সিস্টেমের সমস্যা রয়েছে। তবে ভাল খবর হল, বক্সের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।” |
|
সুয়া খাল |
|
বিশেষত্ব: মগরায় দিল্লি রোডের ধারেই ১৫ বিঘে জমি নিয়ে এই বেড়ানোর জায়গা। মোটামুটি মানের ৪টি কটেজ আছে। রয়েছে তিনটি ময়ুর। শিশুউদ্যানে রয়েছে খেলাধুলোর হরেক সরঞ্জাম। বিশাল চত্বরে ব্যাট-বল বা ব্যাডমিন্টনের র্যাকেট হাতেও নেমে পড়া যায়। যোগাযোগের মাধ্যম: হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে ব্যান্ডেল অথবা আদিসপ্তগ্রাম স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে অটোরিকশা। সমস্যা: এক সময় প্রচুর লোক আসতেন জেলা পরিষদের অধীন এই পর্যটন কেন্দ্রে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই কেন্দ্র সম্পর্কে পর্যটকদের আগ্রহ ক্রমশ কমছে। ওয়াটার রাইড, ওয়াটার ল্যান্ড, টয়ট্রেন আছে। কিন্তু সেগুলি বন্ধ। পর্যাপ্ত আলো নেই। ট্রেন থেকে নেমে সুয়াখাল যাওয়ার গাড়ি পর্যাপ্ত নয়। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “এই পর্যটন কেন্দ্রকে ভাল ভাবে সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত যানবাহন চলাচলের ব্যাপারেও নজর দেওয়া হবে। |
|
(উত্তর ২৪ পরগনার লাগোয়া হুগলি জেলায় কিছু পর্যটনকেন্দ্রের হাল-হকিকত
জানালেন পীযূষ নন্দী, প্রকাশ পাল, তাপস ঘোষ, মোহন দাস, দীপঙ্কর দে) |