বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ অনুষ্ঠানের প্রায় শেষ লগ্নে পুলিসের সঙ্গে গোলমালে জড়ালেন সাংবাদিক এবং চিত্র-সাংবাদিকেরা। রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর একসঙ্গে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। বচসা থেকে ক্রমে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। পুলিসের মারে কয়েক জন সাংবাদিক ও চিত্র-সাংবাদিক গুরুতর আহত হন বলে অভিযোগ। এ দিনই সন্ধ্যায় প্রহৃত দুই সাংবাদিক নবান্ন থানায় হাওড়া পুলিসের দুই কর্তা-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
এর আগে রাজ্যপাল নবান্ন থেকে বেরনোর সময়ও তাঁর কাছে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ জানান সাংবাদিকেরা। রাজ্যপাল মুখ্যসচিব ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশে কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের সচিব তথা অনুষ্ঠানের মুখ্য আয়োজক অজিতরঞ্জন বর্ধনও সাংবাদিকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন।
নবান্নর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দেখে কলকাতা পুলিস। বাইরের ভার হাওড়া পুলিসের উপর। এ দিনের ঘটনা যেখানে ঘটে তা নবান্ন ভবনের বাইরের চত্বর। হাওড়ার পুলিস কমিশনার অজেয় রানাডে বলেন, “দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ দিন পুরস্কার প্রাপক সরকারি কর্মীদের সঙ্গে ছবি তুলতে মঞ্চ থেকে নীচে নেমে আসেন রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী সে সময়ে চিত্র-সাংবাদিকদের সামনে আসার জন্য অনুরোধ করেন। অভিযোগ, সে সময়েই হাওড়া পুলিশের এক অফিসার পথ আটকান। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষীরা ডেকে নেওয়ায় অনেক চিত্র-সাংবাদিকই তত ক্ষণে মঞ্চের সামনে পৌঁছে গিয়েছেন। বাকিরা আটকা পড়ে যান। সেখান থেকেই গোলমালের সূত্রপাত। |