|
|
|
|
ফুটপাথে বাজার, যানজটে জেরবার সাবিত্রী সেতু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
গোটা ফুটপাথ জুড়ে বসে বাজার। কখনও তা উপছে নেমে আসে রাস্তায়। ক্রেতা-বিক্রেতা, পথচারী, সাইকেল-মোটর সাইকেল আরোহী, স্কুল ছাত্রী-কলেজ পড়ুয়া সব মিলিয়ে অফিসের ব্যস্ত সময়ে দক্ষযজ্ঞ বেধে যায় তমলুক শহরের বড় বাজারের কাছে শঙ্করআড়া খালের উপর সাবিত্রী সেতুতে। সম্প্রতি তা আরও বেড়েছে। কেননা, কিছুদিন আগে ২০০ মিটার দূরে সান্ত্বনাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের কাছে অন্য সেতুটির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। ফলে সাবিত্রী সেতুতে গাড়ির যাতাযাত বেড়েছে। তাতে তীব্র হয়েছে যানজট, বেড়েছে দুর্ভোগ।
তমলুকের পুরপ্রধান দেবিকা মাইতি মানছেন পুরবাসীর এই সমস্যার কথা। তিনি বলেন, “সাবিত্রী সেতুর দু’পাশে ফুটপাথ দখল করে দোকান বসায় যাতায়াতের অসুবিধা হয় জানি। পুরসভার তরফে এর আগে একবার ওই সেতুর ফুটপাথ দখল মুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ফের সেখানে দোকান বসছে।” শীঘ্রই ওই সেতুর দু’পাশের ফুটপাথ-সহ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে শীঘ্র পুরসভা অভিযানে নামবে বলে তিনি জানিয়েছেন। |
বন্ধ যান চলাচল। |
সাবিত্রী সেতুতে যানজট। |
|
কয়েক বছর আগে ওই সেতুর সংস্কার করে পুরসভার উদ্যোগে নামকরণ করা হয় ‘বীরাঙ্গনা সাবিত্রী সেতু’। পুরবাসীর অভিযোগ, পুরসভার নিষ্ক্রিয়তার জন্যই সাবিত্রী সেতুর দু’পাশে ব্যবসায়ীদের এত বাড়বাড়ন্ত। সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত সেতুর দু’পাশ দখল করে প্রায় ৩০-৪০টি সব্জি, ফুল-সহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের দোকান বসে। চলে অবাধে কেনাবেচা। তবে শুধু সেতুই নয়, বেহাল দশা শহরের রাস্তাঘাট ও নিকাশির। শহরের চার দিকে নতুন নতুন ঘরবাড়ি গজিয়ে উঠলেও পরিকল্পিত ভাবে রাস্তাঘাট ও নিকাশি গড়ে না ওঠায় নাজেহাল হন বাসিন্দারা। শহরের প্রবীন এক বাসিন্দার কথায়, “এক সময় পাঁশকুড়া থেকে হলদিয়ার দুর্গাচকগামী যাত্রীবাস চলাচল করত তমলুক শহরের ভিতরের প্রধান রাস্তা দিয়ে। এমনকী বড় বাজারের কাছে শঙ্করআড়া খালের কাঠের সেতু দিয়েও বাস চলত। রাস্তা যেভাবে সরু গলিতে পরিণত হয়েছে, তা এখন গল্প বলে মনে হবে!”
সাবিত্রী সেতুর প্রায় ২০০ মিটার পশ্চিমে তমলুকের সান্ত্বনাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের কাছে শঙ্করআড়া খালের উপর থাকা পাকা অন্য সেতুটি দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল থাকার পর সম্প্রতি সেচ দফতরের উদ্যোগে সেখানে সেতু সংস্কার শুরু হয়েছে। এর জেরে সপ্তাহ খানেক আগে ওই সেতুর দু’পাশে খুঁটি পুঁতে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই সেতু দিয়ে চলাচল করা অধিকাংশ যানবাহন সাবিত্রী সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করছে। চরমে উঠছে দুর্ভোগ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কৃষি-সেচ দফতরের কর্মাধক্ষ্য বুদ্ধদেব ভৌমিক সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, “নতুন সেতু তৈরিতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে। পড়ুয়াদের যাতায়াতের জন্য পুরানো সেতুর জায়গার আপাতত একটি কাঠের সেতু তৈরি করা হবে।”
যান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়ে তিনি পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
|
ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
|
|
|
|
|