এই মোদী-ঝড়ের মধ্যেও যদি কেউ মনে করেন যে, মোদী-মডেল ‘বহুত্ববাদী ধর্মনিরপেক্ষ উদার ভারতের’ পরিপন্থী (‘কাল না হোক, পরশু’, ৩১-১২) তা হলে তাঁর সঙ্গে নিশ্চয়ই বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু মোদীকে আটকাবার জন্য কেউ যখন প্রাণপণে কুযুক্তির অবতারণা করে যান (‘ইউ পি এ কেন হারল...’ ২৬-১২) তখন তাঁকে রবার্ট ব্রুসের সঙ্গে একাসনে বসানো ছাড়া বিশেষ কিছু করবার নেই।
নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে একটানা প্রায় বারো বছর ধরে একাধিক পিচকিরি নিয়ে কালি ছেটাতে প্রবৃত্ত হয়েছিল যে বাহিনী তার উত্সাহ ক্রমে ঢিলে থেকে ঢিলেতর হয়ে আসছে। মোদীকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক বৃহত্ অংশ ‘ট্রায়াল বাই মিডিয়া’ করে, তাঁকে সরাসরি মুসলমান খুনে দোষী সাব্যস্ত করেছিল, তারাও আজ স্তিমিত। শেষ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদীর নামে তথাকথিত মুসলমান-বিরোধিতার একমাত্র অভিযোগ (যা নীতীশ কুমার করেছেন) তা এসে ঠেকেছে এতে:“নরেন্দ্র মোদী দাঙ্গা দমনে যথেষ্ট ক্ষিপ্রতা দেখাননি”। কে না জানে, ‘যথেষ্ট’ ব্যাপারটি সাবজেক্টিভ, ব্যক্তিগত বিবেচনার ব্যাপার। |
গুজরাতে নাকি শুধু শহরের উন্নতি হয়েছে, গ্রামের উন্নতি হয়নি, শিশুরা অপুষ্টির শিকার— এই ধরনের ছিদ্রানুসন্ধান বেশ কিছু দিন চলেছিল। এগুলো পাবলিক খায়নি। শেষ পর্যন্ত ছিদ্রানুসন্ধান এসে ঠেকেছে এক মহিলার উপর আড়িপাতার অভিযোগে। ‘জনমুখী নীতির কি কোনও গ্রাহক নেই, সবাই বিনিয়োগের রমরমাই চাইছেন’— পড়ে ঢোক গিলতে হল। বিনিয়োগ কি জনবিরোধী? কিন্তু ‘আয়বৃদ্ধি পরিসংখ্যান মাত্র’! আবার বলছি, এই সব থেকে কী করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায় যে, মোদী জিতছেন না, অজ্ঞাত থেকে গেল।
তথাগত রায়। কলকাতা-৯১ |