অস্ট্রেলিয়ায় দুষ্কৃতী হামলায় আক্রান্ত ভারতীয় ছাত্রে মনরাজবেন্দ্রর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তবে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর দাদা যাদবেন্দ্র সিংহ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের তৎপরতার প্রশংসা করেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ভাইকে সারিয়ে তুলতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভীষণ ভাবে চেষ্টা করছেন। আর পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতারে যে ভাবে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট। যদিও ভাইকে সুস্থ করে তোলাই এখন আমাদের মূল চিন্তা।” ইতিমধ্যে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি তিন জন কিশোরকে অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মারধর ও ছিনতাইয়ের মামলা দায়ের হয়েছে। জেরা চলছে তাদের। ১৭ বছরের অভিযুক্তের জামিন নাকচ করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার একটি নাবালক আদালত।
গত রবিবার সন্ধ্যায় মেলবোর্নের প্রিন্সেস ব্রিজের কাছে বিরারাং মার পার্কের কাছে স্টেশনে দু’জন বন্ধুর সঙ্গে ট্রেনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ২০ বছরের মনরাজবেন্দ্র সিংহ। আট জন দুষ্কৃতী এসে হঠাৎই তাঁদের তিন জনকে মারতে শুরু করে। তাঁদের মধ্যে এক জন পালিয়ে যায়। বাকি দু’জনকে বেধড়ক লাথি-ঘুষি মারতে থাকে দুষ্কৃতীরা। লাঠি দিয়ে মেরে মনরাজবেন্দ্রের মাথাও ফাটিয়ে দেয় তারা। ঘটনার পরেই কোমায় চলে যান তিনি। বেশ কয়েক বছর ধরেই অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন জায়গায় হামলার শিকার হচ্ছে ভারতীয় ছাত্ররা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বর্ণবিদ্বেষই হামলার কারণ বলে জানা গিয়েছে। এ বারের ঘটনাও তেমন বলেই মনে করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালতে এক পুলিশ কর্তা বলেছেন, “প্রাথমিক সন্দেহে অনুমান, অভিযুক্তরা কেওয়াইআর (কিল ইওর রাইভ্যালস) নামের একটি দলের সদস্য। ওই দলটি বেছে বেছে ভারতীয়দেরই নিশানা করে।” |