রাজ্যে দৃষ্টিহীনদের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক রেটিং সম্পন্ন দাবা প্রতিযোগিতা হল নবদ্বীপে। বেঙ্গল চেস অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ব্লাইন্ড এবং নবদ্বীপ এপিসি ব্লাইন্ড স্কুলের যৌথ উদ্যোগে ডিসেম্বরের শেষ পাঁচ দিন হয় ন্যাশনাল ওপেন ফিডে রেটিং চেস টুর্নামেন্ট ফর দ্য ব্লাইন্ড। সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় দেড়শো নানা বয়সের দৃষ্টিহীন দাবাড়ু তাতে যোগ দেন। দৃষ্টিহীনেরা দাবা খেলেন বিশেষ ধরনের ব্রেইল বোর্ডে। যেখানে প্রতিটি ঘুঁটির জন্য আলাদা খোপ থাকে। হাতের স্পর্শ দিয়ে কোন ঘুঁটি খেলার মধ্যে কখন কোন ঘরে রয়েছে, তা বুঝে নেন দাবাড়ুরা। সঙ্গে থাকেন সহকারীও। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া বলেন, “দৃষ্টিহীন হলেও, এখানে যাঁরা খেলবেন, আন্তর্জাতিক রেটিং পাবেন।” |
বেঙ্গল চেস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অতনু লাহিড়ী বলেন, “আমরা কখনও ভাবিনি যে কেবল দৃষ্টিহীন দাবাড়ুদের জন্য আলাদা রেটেড টুর্নামেন্ট হতে পারে। কলকাতার বাইরে শেষ রেটেড টুর্নামেন্ট ১৯৯৪-৯৫ সালে হলদিয়ায়। তা-ও ওপেন টুর্নামেন্ট।” তাঁরা জানান, দেশে ৬৭ জন দৃষ্টিহীন আন্তর্জাতিক রেটেড দাবাড়ু আছেন। জনা তিরিশ নবদ্বীপে এসেছিলেন। সাড়ে আট পয়েন্ট পেয়ে যুগ্ম প্রথম ওড়িশার দুই ভাই প্রাচুর্যকুমার (রেটিং ১৬৬৫) ও সৌন্দর্যকুমার প্রধান (রেটিং ১৬৮৪)। দ্বিতীয় মহারাষ্ট্রের সামন্ত মিলিন্দ (রেটিং ১৬১৪), তৃতীয় কেরলের এইচ জি নবীন (রেটিং ১৪৫৯)। বাংলার শঙ্কর চক্রবর্তী (রেটিং ১৫৪২) নবম এবং যুধাজিৎ দে (রেটিং ১৫৪২) দ্বাদশ স্থান পেয়েছেন। |