‘হোয়াইটওয়াশ’ করো আর দর্শকদের বিদ্রুপের হাত থেকে বাঁচো। সিডনিতে পঞ্চম অ্যাসেজ টেস্টে নামার আগে এটাই সহজ অঙ্ক এখন অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্টেন মাইকেল ক্লার্কের সামনে। তিন বছর আগে এই মাঠেই ইংল্যান্ডের দুরন্ত পারফরম্যান্সে বেজায় চাপে ছিল অস্ট্রেলিয়া। টিমের উপর হতাশ অস্ট্রেলীয় সমর্থকদের সব রাগ গিয়ে পড়ে ক্লার্কের উপর। রিকি পন্টিংয়ের চোট থাকায় সেই টেস্টে অধিনায়কের দায়িত্ব ছিল ক্লার্কের কাঁধে। তাই ক্লার্ককেই সবচেয়ে বেশি বিদ্রুপে নাজেহাল করে ছেড়েছিল সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত সে বার সিরিজ ৩-১ জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
এ বার অবশ্য পরিস্থিতি একেবারে উল্টো। প্রথম টেস্ট থেকেই ইংল্যান্ডের উপর চাপ রাখতে সফল অস্ট্রেলিয়া। চলতি সিরিজে ৩৮১ রান, ২১৮ রান, ১৫০ রান আর আট উইকেটে চার টেস্ট জয়ে সেই দাপট এতটাই স্পষ্ট যে, অনেকেই মনে করছেন তৃতীয় অস্ট্রেলীয় ক্যাপ্টেন হিসেবে ক্লার্কের ইংল্যান্ডকে ৫-০ হারানো এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
সিরিজে ক্যাপ্টেন ক্লার্কের অন্যতম সেরা অস্ত্র পেসার মিচেল জনসনের গলায় যদিও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কিছুটা সতকর্তাও রয়েছে। “আমরা এই টেস্টটাকে ফাইনালের মতো দেখছি। জানি জিততে এখনও প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। শেষ টেস্টে ওরা হারতে চাইবে না। ইংল্যান্ড মরিয়া লড়াই করবে উঠে দাঁড়ানোর,” বলেন জনসন।
অনেকে অবশ্য সদ্য শেষ হওয়া বছরে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড যে ভাবে অ্যাসেজে অস্ট্রেলিয়াকে বিধ্বস্ত করেছিল, তার তুলনা টেনে এখনও অ্যালিস্টার কুকদের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছেন। তবে ইংল্যান্ডের সেই দলের দুই সদস্যই যে এই টিমে নেই। ব্যাটসম্যান জোনাথন ট্রট আর স্পিনার গ্রেম সোয়ান। মানসিক সমস্যায় দেশে ফিরে গিয়েছেন ট্রট আর সিরিজের মাঝে অবসর নিয়ে ফেলেছেন সোয়ান। প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক নাসের হুসেন আবার বলেছেন, “কুকদের যদি শেষ টেস্টে প্রেরণার প্রয়োজন হয় তা হলে একটা কথা বলতে পারি, মানুষ কিন্তু ০-৫ সিরিজ হারগুলোই মনে রাখে, ১-৪ নয়।”
সিডনি টেস্টে ক্যানসারের বিরুদ্ধে চিকিৎসার সমর্থনে গোটা টেস্টেই বিশেষ ভাবে তৈরি গোলাপি টুপি ও জার্সি পরবেন ক্লার্করা। |