সাফাই করে এক জায়গায় জমা করা হচ্ছে আবর্জনা। কিন্তু সময়ে গাড়ি এসে তা তুলে না নিয়ে যাওয়ায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। যাতায়াত করতে গিয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত হচ্ছে বাসিন্দাদের। গাড়ি না আসায় বাধ্য হয়ে পুরকর্মীরা ময়লা ফেলে দিচ্ছেন কোথাও নিকাশি খালের মধ্যে, কোথাও বা মাঠের মধ্যে।
এমনই অবস্থা দেখা গেল উলুবেড়িয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলা বাজারে। দীর্ঘদিন পুরসভার গাড়ি না আসার ফলে বাজারে আবর্জনা জমছে। সেই আবর্জনা ফেলা হচ্ছে বাহিরতফা গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আবাদি খালে। এই খালটির উপরে নির্ভরশীল উলুবেড়িয়া পুর এলাকা এবং পঞ্চায়েতের ২০টি গ্রামের মানুষ। চাষাবাদের জন্যও ব্যবহার হয় এই জল। আবর্জনা ফেলার কারণে নিকাশি ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে, এমনই আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিমা দোয়ারি বলেন, “নিকাশি খালে আবর্জনা ফেলা বেআইনি। বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখছি।” |
পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডেও ছবিটা খুব একটা আলাদা নয়। বাজারপাড়ায় আবাসনের পাশে অথবা উলুবেড়িয়া স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশে স্তূপীকৃত হয়ে থাকছে জঞ্জাল। প্রাণ ওষ্ঠাগত রেলযাত্রীদের। কখনও আবার বেআইনি ভাবে জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেই জঞ্জাল। ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে চারিদিক। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিজেপির পাপিয়া মণ্ডল বলেন, “মূল রাস্তায় সাফাই হলেও ভেতরের রাস্তায় সাফাই অনিয়মিত। পুরসভার যথেষ্ট সংখ্যক কর্মী এবং গাড়ি না থাকাতেই এই সমস্যা।” কমবেশি একই অবস্থা পুরসভার অন্যান্য ওয়ার্ডেও।
পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমানে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কংগ্রেসের সাইদুর রহমান বলেন, “আমি চেয়ারম্যান হয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, উলুবেড়িয়া পুরসভাকে জঞ্জালমুক্ত করব। সে জন্য প্রায় ২০০ জন অস্থায়ী সাফাই কর্মী নিয়োগ করেছিলাম। পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের বাড়িতে দু’টি করে বালতি দিয়েছিলাম। সাফাইকর্মীরা নিয়মিত বাড়ি এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে জঞ্জাল সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলত। সমস্ত কাজই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার হয় না, তা মানতেই চাননি পুরসভার সাফাই বিভাগের আধিকারিক নিতাই শীল। তিনি বলেন, “হতেই পারে না। আমাদের গাড়ি প্রতিদিন যায়। তবে ঘটে থাকলে আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব।” |