কুলিকে বিধি না মেনে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে পিকনিক
বিধি অমান্য করে চড়া সুরে ‘সাউন্ড বক্স’ বাজিয়ে কুলিক পক্ষীনিবাসে দিনভর পিকনিক হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার নতুন বছরের প্রথম দিনে ওই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, পক্ষী নিবাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় মদের আসরও বসেছে। বন দফতরের অফিসার ও কর্মীদের একাংশের যোগসাজশেই ওই ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ। উত্তর দিনাজপুরের ডিএফও দ্বীপর্ণ দত্ত বলেন, “পিকনিক স্পটে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে পিকনিক করা-সহ মদের আসর বসানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও সাউন্ডবক্স বাজিয়ে মদের আসর বসিয়ে পিকনিক হয়েছে। বন দফতরের কর্মীদের নজরদারি সত্বেও কেনও এমন ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কোনও কর্মীর গাফিলতি ধরা পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে তাঁর দাবি, এ দিন দুপুরে বিষয়টি শোনার পরে তিনি পক্ষিনিবাসের রেঞ্জার সমীর দাসকে পাঠিয়ে পিকনিক স্পটের পর্যটকদের সাউন্ড বক্স বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে মদের আসরও হঠানোর ব্যবস্থা করেন।
সাউন্ডবক্স বাজিয়ে বনভোজন কুলিকে। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
পরিযায়ী পাখিদের অবাধ বিচরণের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য প্রায় পাঁচ বছর আগে পক্ষিনিবাসের সংরক্ষিত এলাকায় পিকনিক নিষিদ্ধ করে বন দফতর। তবে পর্যটকরা যাতে পিকনিক করার সুযোগ পান, সে জন্য তিন বছর আগে বন দফতরের উদ্যোগে পক্ষিনিবাসের অসংরক্ষিত প্রায় ২৫ বিঘা জমির উপর পিকনিক স্পট গড়ে তোলা হয়। পিকনিক স্পটের চারিদিকে কয়েকশো বড় বড় গাছ রয়েছে। সেখানে পর্যটকদের পানীয়জল, শৌচাগার ও বিশ্রামেরও ব্যবস্থা রয়েছে। পিকনিক স্পটে ঢোকার মুখেই একাধিক বোর্ড ও ফ্লেক্সে বন দফতরের তরফে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে পিকনিক পিকনিক করা ও মদের আসর বসানোর ব্যাপারে স্পষ্টভাবে নিষেধাজ্ঞার কথা লেখা রয়েছে। নিষেধ না মানলে জরিমানার ব্যবস্থাও রয়েছে। সকলে যাতে নিয়ম মেনে চলেন, তা দেখার জন্য তিনজন বনকর্মী রয়েছেন। রেঞ্জার সমীরবাবুর দাবি, “এদিন বনকর্মীরা পর্যটকদের সাউন্ড বক্স বাজিয়ে ও মদের আসর বসিয়ে পিকনিক করতে নিষেধ করলেও পর্যটকরা তা শোনেননি।”
এ দিন উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ-সহ বিহারের বিভিন্ন এলাকার হাজার দু’য়েক বাসিন্দা পিকনিক করতে যান। পরিবেশপ্রেমীদের অনেকেরই অভিযোগ, অন্তত শতাধিক সাউন্ড বক্স বাজানো হয়েছে। ৪০টিরও বেশি জায়গায় মদের আসর বসেছিল। পরিবেশপ্রেমী সংগঠন পিপল ফর অ্যানিম্যালের জেলা সম্পাদক গৌতম তান্তিয়ার অভিযোগ, “বন দফতরের নজরদারি অভাব ও গাফিলতির জেরেই এ দিন পর্যটকদের একাংশ সাউন্ডবক্স বাজিয়ে মদ ও জুয়ার আসর বসিয়ে পিকনিক করলেন। বিষয়টি দেখার পর শব্দদূষণ ঠেকাতে ও পরিযায়ী পাখিদের স্বার্থে আমরা বন দফতরের কর্তাদের উদ্যোগী হতে বলি। ভবিষ্যতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে বন দফতরের কর্তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করব।” পিপলস ফর অ্যানিম্যালস-এর সম্পাদক অজয় সাহার ক্ষোভ, “এই সব কারণেই গত দু’বছর ধরে পক্ষিনিবাসে পরিযায়ী পাখিদের সংখ্যা কমছে।” এ দিন মালদহের রতুয়া এলাকার এক হাইস্কুল শিক্ষক বন্ধুদের সঙ্গে পক্ষিনিবাসের পিকনিক স্পটে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “শুধু বিজ্ঞপ্তি আকারে নিষেধাজ্ঞা লিখে রাখলেই হবে না। তা কার্যকর করতে কর্তৃপক্ষকে আসরে নামতে হবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.