শালবনিতে হাতি, রেলকে সতর্ক করল বন দফতর
হাতির দল শালবনি ও সংলগ্ন অঞ্চলে রয়েছে। তাই মেদিনীপুর-আদ্রা রুটে রেলকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করল বন দফতর।
গত কয়েক দিন ধরেই শালবনির বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল। রেললাইনের অদূরেই জঙ্গল। সেই জঙ্গলেই ঘোরাফেরা করছে হাতির দল। যে কোনও সময়ে এক বা একাধিক হাতি লাইনের কাছে আসতে পারে। তখন দুর্ঘটনা ঘটবে। ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেশি রাতেই। বন দফতর সূত্রে খবর, হাতির দল যে শালবনি ও তার আশপাশের এলাকায় রয়েছে, তা রেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সমস্ত রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে। মেদিনীপুরের ডিএফও বিজয় সালিমঠ বলেন, “হাতির দল যে কোনও সময়ে রেললাইনের কাছে আসতে পারে। ইতিমধ্যে এ নিয়ে রেলকে সতর্ক করা হয়েছে।” খড়্গপুরের ডিআরএম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রেল সতর্ক রয়েছে। এ ক্ষেত্রে যা যা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেওয়া হয়েছে।”
গত তিন দিন ধরে হাতির দলটি গোদাপিয়াশাল রেঞ্জের চন্দনকাঠ, পাথরচাটি ও তার আশপাশের এলাকায় ছিল। বুধবার থেকে দলটি আড়াবাড়ি রেঞ্জ এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে। এই সময়ে হাতি নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের বন কর্তাদের উদ্বেগ থাকেই। সাধারণত, ওড়িশা থেকে নয়াগ্রামে ঢোকার পর সাঁকরাইল, খড়্গপুর গ্রামীণ, মেদিনীপুর সদর ব্লক হয়ে শালবনিতে ঢুকে পড়ে দলমার দলটি। যাতায়াতের পথে প্রচুর ফসলের ক্ষয়ক্ষতি করে। এ বারও তাই হচ্ছে। সপ্তাহ খানেক আগে ১৩০টি হাতির দল ওড়িশা থেকে নয়াগ্রামে ঢুকে পড়ে। নয়াগ্রাম থেকে কলাইকুণ্ডা হয়ে মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদরায় আসে। সেখান থেকে শালবনিতে ঢুকে পড়ে। বন দফতর সূত্রে খবর, হাতির দাপটে অন্তত ৮০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে ৪০০ হেক্টর জমির ফসল। অনেক গবাদি পশুও মারা গিয়েছে।
অন্য দিকে, হাতির দলটির গতিবিধি দেখে বন কর্তাদের উদ্বেগ আরও বাড়ছে। কারণ, দলটির অভিমুখ গোয়ালতোড়ের দিকে। বন দফতরের কর্মীরা দলটিকে লালগড়ের দিকে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে, তা সম্ভব হয়নি। মনে করা হচ্ছে, দলটি গোয়ালতোড় হয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে পৌঁছবে। কেন দলটিকে লালগড়ের দিকে পাঠানোর চেষ্টা হয়েছিল?
দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “বাঁকুড়ার দিকে যাওয়া মানেই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি। প্রাণহানির সম্ভাবনাও থাকে।” তাঁর কথায়, “দলটিকে লালগড়ের দিকে পাঠানোর চেষ্টা হলেও তা সম্ভব হয়নি। এখন ওদের গতিবিধি দেখে মনে হচ্ছে, দলটি গোয়ালতোড়ের দিকেই যাবে।”
জানা গিয়েছে, এক সময়ে হাতির দলটি আনন্দপুরে দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে বন দফতরের কর্মীরা বাধা দেন। দলটি যাতে আনন্দপুরের জঙ্গলে না যেতে পারে, সেজন্য পদক্ষেপ করা হয়। কারণ, আনন্দপুরের দিকে গেলে হাতির দলটিকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরোতে হত। সে ক্ষেত্রে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকত।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.