প্রবন্ধ ১...
আলোকযানে আঁধারপানে গান গাহিয়া
নতন্ত্রের অন্তিমতা নিয়ে মার্ক্সের ভবিষ্যদ্বাণী অর্ধশতক জুড়ে অনেক অবিশ্বাস-ব্যঙ্গবিদ্রুপের শিকার হয়েছে, ইদানীং কিন্তু মনে হয় বিদ্রুপকারীরাই সম্ভবত পরাজয় বরণে বাধ্য হবেন। বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দা চার-পাঁচ বছর ধরে অব্যাহত। শুধু উত্তর আমেরিকা নয়, ইওরোপও সমান বিপর্যস্ত, জাপান তথৈবচ, চিনে পর্যন্ত তড়িৎগতি আর্থিক উন্নয়ন একটু স্তিমিত হওয়ার আভাস। প্রথাগত সংস্কার নীতি প্রয়োগ করে সুরাহা হচ্ছে না, প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঢালাও ঋণের ব্যবস্থা হচ্ছে, একটু কম রক্ষণশীল দেশে সরকারি বাজেটে ঘাটতি দেখিয়ে নোট ছাপিয়ে বাজার চাঙ্গা করার চেষ্টা চলছে। তবে সব মিলিয়ে খুব লাভ হয়নি, প্রায় সর্বত্রই জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী, অনেক ক্ষেত্রে শূন্যের কাছাকাছি স্তম্ভিত, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হারও হতাশাব্যঞ্জক। বিনিয়োগ বাড়িয়ে কোথাও যেন কোনও লাভ নেই, যেহেতু উৎপাদিত পণ্যের তেমন চাহিদা নেই, পুঁজি খাটিয়ে কেন ব্যর্থমনোরথ হতে যাবেন শিল্পোদ্যোক্তারা! দেশে দেশে অর্থব্যবস্থা একটি শ্বাসরোধকারী বৃত্তের মধ্যে বাঁধা পড়ে গেছে: চাহিদা নেই বলে উৎপাদন বাড়ে না, উৎপাদন বাড়ে না বলে কর্মসংস্থান বাড়ে না, উপার্জন বাড়ে না, কর্মসংস্থান ও উপার্জন বাড়ে না বলে চাহিদা বাড়ে না, চাহিদা মুখ থুবড়ে পড়ায়...
মার্ক্স তো কাছাকাছি কথাই বলেছিলেন, শুধু তাঁর বিশ্লেষণে যুক্ত হয়েছিল শ্রেণিবিন্যাসের প্রসঙ্গ। ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পুঁজিপতিরা শ্রমিকদের যথাসম্ভব শোষণ করে লাভের অঙ্ক বাড়িয়ে তোলেন, সেই লাভ থেকে ফের পুঁজির বিনিয়োগ, পুঁজির পাহাড় বেড়ে চলে। ক্রমশ বেড়ে চলা পুঁজির জন্য খেসারত দিতে হয় শ্রমজীবী মানুষদের। তাঁরা যত বেশি শোষিত হন, পুঁজির কলেবর তত বাড়ে। পুঁজিবাদীদের স্বার্থের দিক থেকে বিবেচনা করলে অতি চমৎকার, স্বচ্ছন্দ এই প্রণালী, অন্য দিকটা নিয়ে তাঁদের মাথা ঘামানো নেই। শ্রমিকরা ক্রমশ আরও শোষিত হচ্ছেন, তাঁদের সার্বিক উপার্জন তুলনাগত ভাবে ক্ষীয়মাণ, বাজারে গিয়ে উৎপাদিত দ্রব্যের চাহিদার উপর তাঁরা তেমন প্রভাব ফেলতে পারেন না, অথচ তাঁরাই দেশের জনসংখ্যার প্রধান অংশ। ধনতন্ত্র যতই পরিণতির দিকে এগোয়, এক দিকে পুঁজির স্তূপ স্ফীত থেকে স্ফীততর হতে থাকে, অন্য দিকে চাহিদা স্তিমিত থেকে স্তিমিততর। ফলে, কী সর্বনাশ, পুঁজিবাদীদের লাভের হারে টান পড়ে। সংকট ঘনায়মান। ইতিমধ্যে প্রযুক্তিরও নিবিড় উন্নতিসাধন ঘটে, সুতরাং বিনিয়োগের অনুপাতে উৎপাদনের হার বেড়ে যায়। অথচ চাহিদা বাড়ে না, তুলনাগত ভাবে কমে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক দশক ধরে আমরা কি এই প্রক্রিয়াটি লক্ষ করে আসছি না? প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে, একশো শ্রমিক পাঁচ দিনে যে পরিমাণ উৎপাদন করতে পারতেন আজ থেকে পঁচিশ-তিরিশ বছর আগে, সেই পরিমাণ উৎপাদন এখন হয়তো দু’দিনে সম্পন্ন হয়। ঠিক, সর্বত্র মজুরি-মাইনেপত্তর অনেক বেড়েছে, কিন্তু পুঁজির প্রসার ও প্রযুক্তির মাথা-ঘোরানো বিপ্লব এমন অবস্থা সৃষ্টি করেছে যে, বাজারে সামগ্রিক চাহিদা সামগ্রিক উৎপাদন ক্ষমতার একটি ভগ্নাংশ মাত্র। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ ঢিলে হতে বাধ্য, উৎপাদন ও কর্মসংস্থানও। অনুরূপ সমস্যা ইওরোপের অনেক দেশে সংক্রামিত হচ্ছে।
মাঝে মাঝে নানা টোটকা উদ্ভাবন করে মার্কিন বাজার চাঙা করার চেষ্টা চলেছে। বছর পাঁচেক আগে একটি প্রায় অলীক গৃহ প্রকল্পের মরীচিকা ধাওয়া করে বহু নামী-দামি ব্যাঙ্ক তথা শিল্প-বাণিজ্যিক সংস্থা অজস্র টাকা অপব্যয় করেছিল, যার ধাক্কায় মন্দা আরও ভয়ংকর রূপ নিল। পরিণামে দেশজোড়া আর্থিক সংকট গভীরতর হওয়ায় মার্কিন সরকারকে এগিয়ে এসে অঢেল অর্থ-সাহায্যের ব্যবস্থা করতে হয়।
মুশকিল হল, পৃথিবীর সবচেয়ে ঐশ্বর্যশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তার উৎপাদন ব্যবস্থা ও বাজারের ওপর অনেক রাষ্ট্রের অর্থব্যবস্থা একান্ত নির্ভরশীল। বিশেষত সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প ঘিরে একটি অভিনব ব্যবস্থা বলবৎ হয়েছে। অনেক মার্কিন সংস্থা তথ্য-প্রযুক্তির কিছু জরুরি কাজ এশিয়ার কয়েকটি গরিব দেশে অতি সস্তায় করিয়ে নিচ্ছে। যে কাজ সম্পন্ন করতে মার্কিন দেশে একশো ডলার খরচ পড়ত, তা চিন বা ভারত বা সিংহলে হয়তো দশ ডলারেই করিয়ে নেওয়া সম্ভব। মন্দার বাজারে খরচ কমাবার প্রকৃষ্টতর পন্থা আর কী হতে পারে? ভারতের ছেলেমেয়েরা অঙ্কে খুব মাথাওলা, ওদের হাতে সামান্য কিছু টাকাকড়ি ওদের কাছে যা অনেক, মার্কিনদের কাছে নস্যি ধরিয়ে দিলে অনেক অর্থের সাশ্রয় হবে মার্কিন শিল্পপতিদের। আবার বাংলাদেশের মতো হতদরিদ্র দেশে মার্কিন মালিকরা শস্তায়, অতি-শস্তায় শৌখিন জামাকাপড় সেলাই করিয়ে ধনী বিদেশি বাজারে চড়া দামে বিক্রির ব্যবস্থা করেন।
কেউ কেউ বলবেন, আমি একটু বেশি নৈরাশ্যবাদী, অন্য কারও মতে কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য সম্ভবত উপেক্ষা করেছি। দু’টি অভিযোগেরই হয়তো খানিকটা যাথার্থ্য আছে। তা হলেও সব মিলিয়ে মনে হয় মার্ক্স যা বলেছিলেন, চোখের সামনে তা-ই যেন উন্মোচিত হতে দেখছি। যে সব সম্ভ্রান্ত বিদ্বজ্জন ‘শোষণ’ প্রসঙ্গের উল্লেখে অস্বস্তি বোধ করেন তাঁদের বলব, বেশ তো, বিকল্প হিসেবে ‘অতিরিক্ত লাভ’ কথাটি ব্যবহার করুন, মার্ক্সীয় তত্ত্বের তাতে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হবে না, মার্ক্স নিজে হয়তো মৃদু হাসতেন।
এতক্ষণ যা বলা হল, তা কিন্তু এই রচনার একটু লম্বাটে গৌরচন্দ্রিকা মাত্র। আমি আসলে নিজের দেশ নিয়েই আপাতত গভীর ভাবিত। মার্কিন সংকটের প্রত্যক্ষ ছাপ আমাদের অর্থ-ব্যবস্থার ওপর বেশ কয়েক বছর ধরেই পড়ছে। বাইশ-তেইশ বছর আগে পরম ঢক্কানিনাদ সহকারে দিল্লির সরকার আর্থিক স্বনির্ভরতার পুরনো অঙ্গীকার পরিত্যাগ করে বিশ্বায়নকে আলিঙ্গন করে নিয়েছিলেন। উন্নয়নের অভিলক্ষ তথা প্রণালী পাল্টে দেওয়া হল: সাম্য ও স্বনির্ভরতা-ভিত্তিক উন্নয়নের বুলি আর নয়, প্রধানত রফতানি-নির্ভর জাতীয় আয় বৃদ্ধিমূলক উন্নয়ন। ওই সময় থেকে ভারত অবাধ প্রতিযোগিতা ও অবাধ বাণিজ্যে আস্থা পোষণ করে আসছে। বর্তমান সামাজিক-আর্থিক ব্যবস্থায় অবাধ প্রতিযোগিতা যে অচিরে অসম প্রতিযোগিতায় পর্যবসিত হয়, সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। যেমন এ কথাও উহ্য রইল যে, তথাকথিত অবাধ বাণিজ্য দরিদ্র দেশগুলির পক্ষে মারাত্মক বাড়তি সংকট সৃষ্টি করতে পারে। সামগ্রিক আর্থিক নীতির খোলনলচে পাল্টে যাওয়ায় গত দুই দশকে দেশের চেহারা অনেকটাই অন্য রকম। বেয়াড়া শ্রমিকরা বেশি ট্যাঁ-ফোঁ করলে ছাঁটাই করে দিলেই হয়, উন্নততর প্রযুক্তি বসিয়ে শ্রমসংকোচনেও বাধা নেই, অসন্তুষ্ট শ্রমিকরা আর সংঘবদ্ধ হওয়ার মতো মানসিক বল পাচ্ছেন না, তাঁরা ছত্রভঙ্গ, যার প্রভাব দেশের বামপন্থী আন্দোলনের উপর পড়েছে। নব্য অর্থনীতি যেহেতু রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ অপছন্দ করে, কৃষিতে সরকারি বিনিয়োগ প্রায় স্তব্ধ, পুঁজিপতিরা গ্রামাঞ্চলে টাকা ঢালতে উৎসাহী নন, কৃষিকর্ম তাই পুনরায় প্রকৃতি-নির্ভর, বৃষ্টি ভাল হলে ফসল ভাল হবে, নইলে আকাল, সরকারও তা মেনে নিচ্ছেন। এখনও দেশের প্রায় তিন-পঞ্চমাংশ মানুষ কৃষির উপর জীবিকার জন্য নির্ভরশীল, অথচ সরকার হাত গুটিয়ে আছেন।
সরকার হাত গুটিয়ে, কারণ তাঁরা যে উন্নয়নের ছক কষেছেন, তা প্রধানত রফতানি-ভিত্তিক ও একটি বিশেষ শ্রেণি-দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবিত। অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ে তেমন মাথা ঘামাবার দরকার নেই, বিদেশে, বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, বিবিধ খনিজ, ছোট যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, বস্ত্র বা পাদুকা গোছের ভোগ্যপণ্য, তামাক, চা, পাট, তুলো জাতীয় কিছু কাঁচামাল, বাসমতী চালের মতো কিছু নির্দিষ্ট খাদ্যশস্য রফতানি হবে, সেই সঙ্গে আউটসোর্সিং, দুনিয়া হবে কত মজাদার। একবিংশ শতকের প্রথম কয়েকটি বছর এমনটাই ঘটেছিল, ফলে দেশের শিল্পপতি-রফতানিকার-ধনী কৃষকদের উপার্জন উপচে পড়ে, যার ভিত্তিতে সম্ভোগশিল্প ও পরিষেবার বিপুল বিস্তার। দশ-পনেরো কোটি দেশবাসী সাচ্ছল্যের মুখ দেখলেন, আরাম-ব্যসনে অভ্যস্ত হলেন, ক্রিকেট খেলায় মাতলেন। অন্য পক্ষে বেশির ভাগ মানুষের আয় অতি-ক্ষীণ হারে বেড়েছে। অথচ প্রতিবাদী আন্দোলন বলতে গেলে নেই, সরকার নিরাসক্ত। সরকারকে ঘিরে যে পণ্ডিতবর্গ বিরাজ করেন তাঁদের মুখ্য আলোচনার বিষয়বস্তু, জাতীয় উপার্জনের বার্ষিক হার কোন স্তরে থাকবে, কত দশমিক কত হবে, তা নিয়ে। নতুন অর্থনীতির পরিণামে লক্ষ্মীছাড়া গরিবদের সংখ্যা কয়েক কোটি কমেছে, তা প্রমাণ করা নিয়েও নানা বিজ্ঞ গবেষণা। তবে তার্কিকে ভরা দেশ সরকার পক্ষ যে ঠিক কথা বলছেন না, তেমনটা জানিয়ে দেওয়ার মতো গবেষকেরও অভাব নেই।
এ রকমই চলছিল, কিন্তু মার্কিন তথা বিশ্বজোড়া মন্দা সব হিসেব তছনছ করে দিল। রফতানি গত চার-পাঁচ বছর নিরবচ্ছিন্ন হারে কমেছে, যার প্রভাবে দেশের সম্ভোগশিল্প ও পরিষেবাও দ্রুত গুটোচ্ছে। গোটা শিল্পব্যবস্থা সংকীর্ণতর হচ্ছে। কর্মসংস্থান সেই তিমিরেই। মার্কিন রাষ্ট্রপতি স্বয়ং আউটসোর্সিংয়ের বিরুদ্ধে ক্রমান্বয়ে কামান দাগছেন দেশে কর্মসংস্থান সংকট, বিদেশে কেন কাজ ফিরি করা হবে। আমরা যা নিয়ে মস্ত গর্ব করে আসছিলাম, সেই তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পও মস্ত অনিশ্চয়তার সম্মুখীন।
এখানেই হতভম্ব হয়ে যেতে হয়। জাতীয় অর্থনীতির প্রধান চালক কেন্দ্রীয় সরকারের পরম নির্লিপ্ত ভাব, অর্থমন্ত্রী ও মুদ্রা ব্যবস্থার সর্বেসর্বা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর, উভয়েরই একমাত্র ভাবনা কী করে সুদের হার যথাসম্ভব কম রেখে বাজারে বাড়তি টাকা জোগানো যায়, যা বাজারকে তেজী রাখবে। ওঁরা ভুলে থাকছেন যে, যেখানে কৃষিতে এত ব্যাপক সংকট, সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান নামমাত্র, পণ্যাদির বাজার সংকুচিতই থাকবে, সুদের হার কম হলে সুযোগসন্ধানী মানুষেরা বরঞ্চ টাকা ধার করে শেয়ার বাজারে ফাটকা খেলবেন, নয়তো ব্যবসাদার-মজুতদাররা ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আটকে রেখে মূল্যমান আরও বাড়াবেন, সেই সঙ্গে মুনাফার বহর।
আরও সমস্যা, নতুন অর্থনীতি প্রয়োগের পর শাস্ত্র মেনে প্রত্যক্ষ কর নিগড়ে বেঁধে রাখা হয়েছে, তাই শিল্পবাণিজ্যিক সংস্থার উপার্জনের ওপর করের হার নাকি বাড়ানো চলবে না, তাতে বিনিয়োগে উৎসাহ ব্যাহত হবে। অথচ সরকারকে শ্রেণিস্বার্থ ও গোষ্ঠীস্বার্থ পূরণ করার জন্য নানা খাতে ও ছুতোয় অর্থব্যয়ের ব্যবস্থা করতে হয়, খরচ তাই বেড়েই চলে। যেহেতু প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো চলবে না, পরোক্ষ কর বাড়ে, মূল্যবৃদ্ধি হয়, গণ-অসন্তোষ, সরকার পাশ ফিরে ঘুমোন।
রফতানি কমছে, কমছেই। আর্থিক উন্নয়নের হার মুহ্যমান, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে দেশব্যাপী বিরক্তি ও ক্রোধ জমা হচ্ছে, কিন্তু বিদেশ থেকে বড় বড় মোটরগাড়ি, শৌখিন বস্ত্রাদি, খাদ্য, পানীয়, অতিশৌখিন বিলাসপণ্য আসছে, সোনা ও স্বর্ণালঙ্কারও। এটা স্পষ্ট যে, কেন্দ্রীয় সরকার দুর্বল থেকে দুর্বলতর, এবং দেশ জুড়ে এক বিশেষ ধরনের বিশৃঙ্খলা, রাজ্য সরকারগুলি অতএব যে-যার মতো চলছে। বিদেশিরা কিন্তু সতর্ক হচ্ছেন। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ দূরস্থান, সুদের হার থেকে বাড়তি লাভের আশায় যে ফাটকাবাজরা ভারতে এত দিন টাকা খাটাচ্ছিলেন, তাঁরাও অন্যত্র সরে যাচ্ছেন। অভূতপূর্ব, ভীতিপ্রদ পরিস্থিতি, কিন্তু সরকার ধ্যানমগ্ন, ধনীরা সম্ভোগে ব্যস্ত, ঝলমল করছে নগর-বন্দর রাজপথ-জনপথ পার্ক-রেস্তোরাঁ, আনন্দ-হুল্লোড়, যেন কোনও ব্যথা নেই পৃথিবীতে। রবীন্দ্রনাথের একটি গানের দু’টি চরণআপাতত আমাকে প্রহার করে ফিরছে: ‘চলেছ পথিক আলোকযানে আঁধারপানে/ মন-ভুলানো মোহন তানে গান গাহিয়া।’


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.