|
|
|
|
বছরের প্রথম দিন উৎসব ঝাড়খণ্ডে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি ১ জানুয়ারি |
ছুটির আমেজেই বছরের প্রথম দিন কাটালো ঝাড়খণ্ড।
চড়ুইভাতি করার জন্য ভিড় জমে উঠল রাঁচি, জামশেদপুর, ধানবাদের নানা জায়গায়।
বড়দিনের শুরু থেকেই উৎসবে মেতে উঠেছিলেন রাজ্যবাসী। নতুন বছরের ‘সূচনা-লগ্ন’ গতকাল মধ্যরাতে ফুটপাথবাসীদের কম্বল বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সকাল থেকেই রাঁচির জোনহা, দশম, হুণ্ড্রু জলপ্রপাতের পাশে তিলধারণের জায়গা ছিল না। রাজধানীর রক গার্ডেন্স, টেগোর হিল, কাঁকে বাঁধ-সহ বিভিন্ন জায়গায় ঢল নেমেছিল দর্শনার্থীদের। ভিড় জমেছিল বিরসা মুণ্ডা চিড়িয়াখানাতেও। পুলিশ জানিয়েছে, দশম জলপ্রপাতে ডুবে একজনের মৃত্যু ছাড়া রাজ্যের কোথাও বড় দুর্ঘটনার খবর নেই। সপ্তাহখানেক আগেও দশমেই হাজারিবাগের বাসিন্দা এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল।
|
পর্যটকের ভিড়। বুধবার জামশেদপুরের ডিমনা লেকে। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী। |
জামশেদপুরের জুবিলি পার্ক, চাণ্ডিল বাঁধ, সীতারামপুর বাঁধ, বুরুডি লেকেও জনসমাগম দেখা গিয়েছে। পড়শি রাজ্যের ঘাটশিলায় চড়ুইভাতি করতে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের অনেকেই। খড়্গপুর থেকে গালুডিহি-ঘাটশিলা সফরে এসেছিলেন কয়েক জন। সুবর্ণরেখার তীরে ঘুরতে ঘুরতে তেমনই একটি পর্যটক-দলের সদস্য স্বপন দত্ত বললেন,“আজ গালুডিহিতে থাকব। বৃহস্পতিবার ফিরব।”
ধানবাদেও বর্ষবরণ উৎসবে মেতেছেন সাধারণ মানুষ। হীরাপুরের কয়েকজন বাসিন্দা স্থানীয় একটি অনাথ আশ্রমে বাচ্চাদের সঙ্গে নতুন বছরের উৎসব পালন করেন। উদ্যোক্তা সাহানা রায় বলেন,“এ সব বাচ্চারা বছরের প্রথম দিন এ ভাবে কাটাতে পারত না। ওদের খুশি করতেই এই পরিকল্পনা” ধানবাদের তোপচাঁচি লেকে চড়ুইভাতি করতে যান কয়েক’শো মানুষ।
চাইবাসার হিরনি ফল্স, লাপুংগুট্টা ঝরনা, পানসুয়ান বাঁধ, জগন্নাথপুরের বৈতরণী নদীর ধারেও চড়ুইভাতি করেন উৎসব-প্রেমীরা।
দেওঘরের বাবাধাম মন্দিরে ভক্তদের ভিড় জমেছিল। নতুন বছরের বিপত্তি দূর করতে প্রার্থনা করেন তাঁরা। মন্দিরের পাণ্ডা বিনোদ দাদ্দোয়ারি জানান, ঝাড়খণ্ডের পাশাপাশি বিহার, পশ্চিমবঙ্গ থেকেও পুজো দিতে এসেছেন অগণিত মানুষ। |
|
|
|
|
|