|
|
|
|
রাজনাথের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি ১ জানুয়ারি |
এত দিন ছিল সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে তর্কের লড়াই। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি-কংগ্রেসের সেই দ্বৈরথ এখন ক্রমশই ময়দানের লড়াইয়ে পরিণত হতে চলেছে। একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের অপসারণের দাবিতে গতকাল রাহুল গাঁধীর বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি যুব নেতৃত্ব। আজ তার পাল্টা হিসেবে বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাল যুব কংগ্রেস। অভিযোগ, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে বিজেপি। কংগ্রেসের দাবি, এর সব থেকে বড় দৃষ্টান্ত কর্নাটকের দুর্নীতিপরায়ণ নেতা ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে ফের হাত মেলাতে চলেছে বিজেপি।
গতকাল দলের যুব সভাপতি অনুরাগ ঠাকুরের নেতৃত্বে যখন রাহুল গাঁধীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যান বিজেপি কর্মীরা, তখন জল কামান চালিয়েছিল পুলিশ। আজ কংগ্রেস যুব সভাপতি রাজীব সাতাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালাতে হয় পুলিশকে। |
রাজনাথ সিংহের বাড়ির বাইরের এক বিক্ষোভকারীকে সরিয়ে নিয়ে
যাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। নয়াদিল্লিতে বুধবার। ছবি: পিটিআই। |
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, আগামী দিনে এই দ্বৈরথ তীব্রতর হবে। কেননা দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের কারণেই দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা পায়ের তলায় শক্ত মাটি পেয়েছেন। বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়েই সেই ক্ষেত্রটি দখল করতে চায়। তাই হিমাচলের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এখন প্রবল সরব বিজেপি। গত পাঁচ বছর ধরে দুর্নীতির প্রসঙ্গে আক্রমণে মনমোহনকে নিশানা করেছেন জেটলি-সুষমারা। কিন্তু কংগ্রেস যখন রাহুল গাঁধীকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরতে চলেছে, তখন রাতারাতি কৌশল বদলে এখন তাঁকেই নিশানা করছেন জেটলিরা। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, রাহুল যদি স্বচ্ছ প্রশাসন কায়েম করতে এতটাই আগ্রহী, তা হলে বীরভদ্রকে অপসারণ করুন। তা ছাড়া বীরভদ্রের বিরুদ্ধে আজ নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, নির্বাচনের সময় বীরভদ্র হলফনামায় বহু তথ্য জানাননি।
কংগ্রেস নেতৃত্বও বুঝতে পারছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে রাহুল যে ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে চাইছেন সেটাতে কালি মাখানোই বিজেপি-র উদ্দেশ্য। বীরভদ্র উপলক্ষ মাত্র। তাই পাল্টা কৌশল নিয়ে আজ কংগ্রেসের যুব নেতৃত্বকে নামিয়েছেন রাহুল। যাতে বিজেপি শাসিত রাজ্যের দুর্নীতি নিয়েও হইচই হয়। কংগ্রেসের এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, এ ভাবে আগ্রাসী আন্দোলনে নামা দলের অনেক আগেই উচিত ছিল। |
|
|
|
|
|