|
|
|
|
গৃহহীনদের রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করল আপ সরকার
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি ১ জানুয়ারি |
জল-বিদ্যুতের পর এ বার বাসস্থান। দিল্লিতে আপ সরকারের চমক অব্যাহত রইল তৃতীয় দিনও। আগামিকাল দিল্লি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে নামবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার ঠিক আগে দিল্লির নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও বিশেষ করে গৃহহীনদের জন্য শীতের রাতে মাথা গোঁজার ঠাঁই (রাত্রিবাস) বানানোর সিদ্ধান্ত নিল আপ সরকার। যদিও ওই বাসস্থান অস্থায়ী। তবুও এর মাধ্যমে নাগরিকদের প্রতি সদ্য ক্ষমতা হাতে পাওয়া সরকারের দায়বদ্ধতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে দাবি আপ-এর।
ক্ষমতায় এসেই দু’দিনে বিনামূল্যে জল ও বিদ্যুতের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অরবিন্দ। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, দু’টি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তেই ফায়দা পাবে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণি। বিশেষ করে যাদের বাড়িতে জল ও বিদ্যুতের মিটার রয়েছে, সরকারের ভর্তুকির সুবিধা পাবেন তাঁরাই। কেজরিওয়ালের প্রতিশ্রুতির ছত্রচ্ছায়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছিলেন নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষেরা। আস্থা ভোটের ঠিক আগে এ বার তাঁদের কথা মাথায় রেখে শহরে আরও বেশি সংখ্যায় আশ্রয়-শিবির বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন অরবিন্দ। অনেকেই ভাবছেন, আপ প্রধানের ওই সিদ্ধান্তে বিরোধীদের মুখ বন্ধ হবে। আপ নেতৃত্বের দাবি, সরকার আস্থা ভোটে জিতবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে আম আদমি পার্টি (আপ) যে দিল্লির সব শ্রেণির মানুষের জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর সেই প্রমাণ কিন্তু দল মাত্র তিন দিনেই দিতে সক্ষম হয়েছে।
দিল্লিতে গত কয়েক দিন ধরেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির কাছাকাছি। আগামী এক সপ্তাহে চিত্রটি খুব একটা বদলাবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। দিল্লিতে ভিন্ রাজ্য থেকে কাজ করতে আসা শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের বড় অংশ খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাতে বাধ্য হন। তাঁদের কথা মাথায় রেখে শীতের সময়ে ফি বছরই রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করে থাকে দিল্লি প্রশাসন। এ বছরও তা করা হয়েছিল। কিন্তু তা সংখ্যায় যথেষ্ট কম বলে অভিযোগ। অভাব রয়েছে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোরও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত দু’দিন ধরে দিল্লির বিভিন্ন রাত্রিবাসের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মন্ত্রিসভার সদস্য মণীশ সিসৌদিয়া, রাখি বিড়লারা। আজ কেজরিওয়াল বলেন, “মণীশ ও রাখি দিল্লির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছেন বহু মানুষ এই ঠান্ডাতেও খোলা আকাশের নীচে শুয়ে রয়েছেন। কিছু মানুষের জায়গা হয়েছে উড়ালপুলের তলায়। যাঁরা সরকারি রাত্রিবাসে রয়েছেন, সেখানেও পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। বিষয়গুলি সামনে আসার পরে ঠিক হয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে শহরের ৪৫টি জায়গায় আরও রাত্রিবাস খোলা হবে।”
একই সঙ্গে দিল্লির সমস্ত সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটকে রাতে নিজের এলাকায় পরিদর্শন করতে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার। একই অনুরোধ করা হয়েছে দিল্লির সব বিধায়ককেও। |
|
|
|
|
|