মিউটেশন বাবদ ফি কমালো বর্ধমান পুরসভা। নতুন বছরের গোড়া থেকেই সংশোধিত ফি চালু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরপিতা পরিষদ (মিউটেশন অ্যাসেসমেন্ট) সদস্যা রত্না রায়। বুধবার তিনি বলেন, “বিগত বাম বোর্ড মিউটেশনের নাম করে সাধারণ মানুষের থেকে জিজিয়া কর আদায় করত।”
রত্নাদেবীর দাবি, এতদিন ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত সম্পত্তির মিউটেশনের জন্য লাগত ১৫০ টাকা, ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাগত ৩০০ টাকা, ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৮০০ ও ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগত ২৮০০ টাকা। আর দু’লক্ষ টাকার বেশি দামের সম্পত্তি হলে মিউটেশনের জন্য লাগত শতকরা ৩ ভাগ। কিন্তু নতুন নিয়মে ২ লক্ষ টাকা পর্যম্ত সম্পত্তির জন্য দিতে হবে মাত্র ১০০ টাকা। দুই থেকে দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে শতকরা ১ ভাগ। দশলক্ষ টাকার উপর দলিল মূল্য হলে দিতে হবে শতকরা ২ ভাগ। কিন্তু উপহার দলিল বা গিফট্ ডিড ও পার্টিশন ডিডের ক্ষেত্রে লাগবে মাত্র দলিলমূল্যের শতকরা ০.৫ ভাগ।
পুরসভা সূত্রে খবর, গত ১৭ ডিসেম্বরের বোর্ড মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে মিউটেশন ফি কমানোর প্রস্তাব দেন কাউন্সিলর সমীর রায়। তা সর্বসম্মতিক্রমে পাশও হয়। এর পরেই পুরপ্রধান স্বরূপ দত্তের সাক্ষরিত আদেশ জারি করা হয় গত ২৩ ডিসেম্বর।
তবে এই মিউটেশন কর কমানো বাবদ পুরসভার কত টাকা আয় কমবে, তা বলতে পারেননি পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত। আর কীভাবে ক্ষতিপূরণ করা হবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অনেক পথ রয়েছে।” তবে সেই পথগুলি কী কী, তার বিস্তারিত তিনি জানাতে পারেননি। বর্ধমান পুরসভার বিগত বামফ্রন্ট বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আইনূল হক বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম পুরসভা নিজের সম্পদ সৃষ্টি করুক। তাই যাদের ক্ষমতা ছিল তাদের কাছে থেকে মিউটেশন বাবদ কর আদায় করা হত। ওরা চটকদার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এতে আর যাই হোক বর্ধমানের ভাল হবে না।” |