প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করার হুমকি দিলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা এসজেডিএ সদস্য চন্দন ভৌমিক। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি অভিযোগ করেন, “প্রাক্তন পুরমন্ত্রী মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করেছেন। আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ পাঠিয়ে ওঁকে নিঃশর্তে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছি। প্রাক্তন পুরমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলে আড়াই কোটি টাকার মানহানির মামলা করব।” চন্দনবাবর দাবি, “২৬ ডিসেম্বর অশোকবাবুকে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ পাঠিয়েছি। ১৫ দিন অপেক্ষা করব।”
প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোকবাবু বলেন, “আইনজীবীর চিঠি পেয়েছি। নির্দিষ্ট সময়ে আইনজীবীর মাধ্যমেই উত্তর দেব।” সম্প্রতি প্রাক্তন পুরমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মলেন করে প্রশ্ন তোলেন, এসজেডিএ-র বোর্ড সদস্য হয়েও চন্দনবাবু ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে কীভাবে জড়িত থাকতে পারেন? বিষয়টি জানতে চেয়ে তিনি তথ্য জানার অধিকার আইনে এসজেডিএ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেবেন বলে জানান।
চন্দনবাবু এ দিন দাবি করেন, তিনি ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে জড়িত নন। তাঁর দাবি, “পারিবারিক ঠিকাদারি ব্যবসা রয়েছে। এসজেডিএ সদস্য হওয়ার পরে সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। প্রাক্তন পুরমন্ত্রী ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে এসজেডিএ থেকে কাজের বরাত নেওয়ার যে অভিযোগ তুলেছেন, সেটা শুধু ভিত্তিহীন নয়। এতে আমার পরিবারের সম্মান নষ্ট হয়েছে।”
প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোকবাবুর দাবি, “তথ্য জানার অধিকার আইনে জেনেছি, চন্দনবাবু এখনও পূর্ত দফতরের অধীণে ঠিকাদার সংস্থার অংশীদার। আর আমি তো অন্য কিছু বলিনি। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার পরেও চন্দনবাবু কেমন করে এসজেডিএ-তে আছেন। তথ্য জানার অধিকার আইনে এসজেডিএ কর্তাদের কাছে সেটা জানতে চাইব।” অশোকবাবু জানান, গত ২৮ নভেম্বর তথ্য জানার অধিকার আইনে পাঠানো চিঠির উত্তর থেকে জেনেছেন চন্দনবাবু পূর্ত দফতরের (বিদ্যুৎ বিভাগ) এক ঠিকাদার সংস্থার অংশীদার। এসজেডিএ কর্তাদের কাছে ওই বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। উত্তর পেলেই সবকিছু পরিস্কার হয়ে যাবে। |