মহাকরণ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে খালি করে দেওয়া হবে বলে অনেক আগেই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার, বছরের শেষ দিনেও সেই কাজ পুরোপুরি সেরে ফেলা সম্ভব হল না। এ দিন পর্যটনমন্ত্রী ও পর্যটনসচিবের ঘর খালি করা হয়। শ্রমমন্ত্রীর জিনিসপত্রও সরানো শুরু হয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু দফতর মহাকরণেই থেকে যাচ্ছে।
সরকারি নির্দেশ জারি সত্ত্বেও দফতরগুলি সরানো গেল না কেন?
পূর্তসচিব ইন্দিবর পাণ্ডে বলেন, “কয়েকটি দফতরের অফিস তৈরিতে একটু সময় লাগছে। তাই আরও দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হচ্ছে। তার পরেই মহাকরণ খালি হয়ে যাবে।”
সরকারি সূত্রের খবর, ২ জানুয়ারির পরেও মহাকরণে থেকে যাচ্ছে পুর, সমাজকল্যাণ, নারী ও শিশু কল্যাণ, সমবায়, ত্রাণ ও উদ্বাস্তু পুনর্বাসন, অসামরিক প্রতিরক্ষা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর; স্বরাষ্ট্র-অভিবাসন; জলসম্পদ, পূর্ত ও তথ্য-সংস্কৃতি প্রভৃতি দফতরের একাংশ এবং পুলিশ ডিরেক্টরেট। সল্টলেকে কারিগরি শিক্ষা দফতরে অফিস তৈরি হলে নারী ও শিশু কল্যাণ, সমাজকল্যাণ দফতর সেখানে উঠে যাবে। আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নিউ সেক্রেটারিয়েটে চলে যাওয়ার কথা থাকলেও এখনই তিনি যাচ্ছেন না। কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়ও মহাকরণে বসছেন। সব মিলিয়ে হাজারখানেক কর্মী আপাতত থেকে যাচ্ছেন লাল বাড়িতেই।
আজ, বুধবার ইংরেজি নববর্ষেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মহাকরণের তিন নম্বর গেট। এত দিন ওই গেট দিয়েই মহাকরণের পিছনে লায়ন্স রেঞ্জের দিকে যাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। মঙ্গলবার ওই গেটে নোটিস লটকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে-সব কর্মী তিন নম্বর গেট দিয়ে যাতায়াত করতেন, ১ জানুয়ারি থেকে তাঁদের এক ও ছ’নম্বর গেট ব্যবহার করতে হবে। মহাকরণ পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে গেলেই সংস্কারের কাজ পুরোদমে শুরু হবে।
মঙ্গলবার, ২০১৩-র শেষ দিনে মহাকরণে গিয়ে দেখা যায়, শ্রম-সহ বেশ কয়েকটি দফতরের ফাইলপত্র বাঁধার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর ঘর থেকে নথিপত্র বস্তাবন্দি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাঁর সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধনের ঘর থেকেও ফাইলপত্র বেঁধে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। পর্যটনমন্ত্রী এবং তাঁর সচিব ২ জানুয়ারি থেকে বসবেন নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে। শ্রম দফতর চলে যাবে রাজভবনের সামনে। যে-সব দফতর ইতিমধ্যে নবান্ন এবং অন্যান্য জায়গায় চলে গিয়েছে, সেগুলির কোনও কোনও অফিস এখনও রয়েছে মহাকরণে। থেকে যাওয়া বেশির ভাগ অফিসই মহাকরণের পাঁচ নম্বর ব্লকে নিয়ে আসা হবে বলে পূর্ত দফতরের খবর। |