বর্ষশেষের সকালে বাড়িতেই বুকে ব্যথা। নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পরে মৃত্যু। প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা শৈলেন সরকার (৭০)। বিদায় নিলেন সিপিএমে ‘বৃদ্ধতন্ত্র’ নিয়ে চালু থাকা প্রশ্ন জিইয়ে রেখেই।
বয়সের বিচারে একেবারে বৃদ্ধ অবশ্য ছিলেন না শৈলেনবাবু। তবে অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘ দিন। বারে বারে নার্সিং হোমে ভর্তি হতে হয়েছে তাঁকে। কমেছে স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা। তবু তা-ই নিয়েই বাম জমানায় মন্ত্রিত্বের আসনে থেকে গিয়েছেন। শারীরিক সমস্যা সঙ্গে নিয়েই মালদহে শৈলেনবাবু লড়তে গিয়েছেন লোকসভা ভোটেও। সফল হননি। শেষ পর্যন্ত ২০১২-র ফেব্রুয়ারিতে অসুস্থতার জন্য সিপিএমের রাজ্য কমিটির পদ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। |
|
|
মঙ্গলবার মালদহে প্রয়াত হন রাজ্যের
প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা শৈলেন সরকার। |
নার্সিংহোমে শ্রদ্ধা জানাতে যান সাংসদ
মৌসম বেনজির নূর ও মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। |
|
মালদহের জেলা রাজনীতিতে শৈলেনবাবুর প্রভাব ছিল যথেষ্ট। তাঁর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার নার্সিং হোমে হাজির হয়েছিলেন সব দলের নেতারাই। মরদেহ নিয়ে বুধবার শোক মিছিল করে মালদহের সাদুল্লাপুর শ্মশানে প্রাক্তন মন্ত্রীর শেষকৃত্য হবে। উপস্থিত থাকার কথা সিপিএমের একাধিক রাজ্য নেতার। কিন্তু এ মুহূর্তেও অস্বস্তিকর প্রশ্ন পিছু ছাড়ছে না তাঁদের। শরীর দিচ্ছে না জেনেও কেন মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি শৈলেনবাবুকে?
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, “জেলা রাজনীতিতে শৈলেনবাবু খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। উন্নয়নমূলক কাজে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় স্থানীয় স্তরের সব প্রশ্নই মাথায় রাখতে হয়।” দলের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “শৈলেনদা’র হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছি। দলের ক্ষতি হল। এই ক্ষতি কী ভাবে সামাল দিতে হবে, বুঝতে পারছি না!” |