জানুয়ারির শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির গোড়ায় ব্রিগেড সরগরম। তৃণমূল, বিজেপি এবং বামেরা লোকসভার ঢাকে কাঠি দেবে পরপর ব্রিগেড সমাবেশ থেকেই। অথচ এ রাজ্যের অন্যতম বিরোধী দল কংগ্রেসের হাত এখনও ফাঁকা। বড় কর্মসূচি নিতে না পারলে রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতায় পিছিয়ে পড়তে হতে পারে, এই আশঙ্কা নিয়েই তাই দিল্লির দ্বারস্থ হল প্রদেশ কংগ্রেস।
প্রদেশ কংগ্রেস চাইছে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ব্রিগেড সমাবেশ অথবা শহর জুড়ে বড় মিছিল করে অন্য তিন দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আসরে সামিল থাকতে। না হলে যে রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই আরও প্রশ্ন উঠবে, তা বুঝে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য চাইছেন মাঝ ফেব্রুয়ারিতে দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী বা সহ-সভাপতি রাহুলকে এনে সমাবেশ করতে। অন্য দলের সঙ্গে এঁটে উঠতে তাঁদের কিছু করতে হবে, এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক সি পি জোশীর কাছে মঙ্গলবার সে কথা জানিয়েছেন প্রদীপবাবু। আগামী শুক্রবার দিল্লি গিয়ে হাইকম্যান্ডের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে চান তিনি।
৩০ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের দলের লোকসভা ভোটের প্রস্তুতির দিক নির্দেশ করতে পারেন বলে দলীয় সূত্রের ইঙ্গিত। বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর আসার কথা ৫ ফেব্রুয়ারি। তার পরেই ৯ ফেব্রুয়ারি নিজেদের সংগঠন গোছাতে ব্রিগেডে জমায়েত বামেদেরও। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে ব্রিগেডের সমাবেশ থেকে এই তিন দলই নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। এর সঙ্গে পাল্লা দিতেই যে সনিয়া-রাহুলকে আনার ভাবনা। প্রদীপবাবু বলেন, “লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করতে চাই ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড অথবা মিছিল থেকে। অন্য দলগুলিও শীর্ষ নেতৃত্বকে আনছে। আমরাও সনিয়া বা রাহুলকে এনে মানুষের কাছে পৌঁছতে চাই।” লোকসভায় জোটে নয়, একলা চলে মানুষের দরবারে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণের লড়াই চালাতে চায় কংগ্রেস। |