জলাধারে নৌকাডুবে মৃত্যু হল এক যুবকের। নিখোঁজ তাঁর তিন সঙ্গী। মঙ্গলবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গঙ্গাজলঘাটির গাংদোয়া জলাধারে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম সৌভিক সিংহ মজুমদার (২৬)। দুর্গাপুরের বি ১ কলোনির বাসিন্দা। নিঁখোজ তিনজনও দুর্গাপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত পুলিশ তাঁদের নাম-ঠিকানা জানাতে পারেনি। পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার রাতে গঙ্গাজলঘাটি থানায় যান। তিনি ওই পিকনিক দলের বাকি সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্গাপুর থেকে আট যুবক এ দিন পিকনিক করতে আসেন গাংদোয়ায়। বিকেলে জলাধারের পাড়ে বেঁধে রাখা একটি পানসি নৌকা নিয়ে চার যুবক জলাধারে ঘুরতে থাকেন বলে স্থানীয়দের দাবি। কিছুটা গিয়েই হঠাৎ টলমল করতে করতে নৌকাটি উল্টে যায়। চারজনই তলিয়ে যান জলাধারের জলে। কিছুক্ষণ পরে জলাধারের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু স্থানীয় বাসিন্দা এক যুবককে হাবুডুবু খেতে খেতে ভেসে আসতে দেখেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁরা ওই যুবককে উদ্ধার করে গঙ্গাজলঘাটি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সখানে যান গঙ্গাজলঘাটির বিডিও রাজর্ষি মিত্র, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি জীতেন গরাই প্রমুখ। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করলেও অন্ধকার নেমে আসায় বেশিক্ষণ তা চালানো যায়নি।
দুর্গাপুরের বেনাচিতি থেকে বেড়াতে আসা ওই দলের এক সদস্য পাপন চৌধুরী বলেন, “আমরা আট জন পিকনিক করতে এসেছিলাম। বিকেলে বাড়ি ফেরার তোড়জোড় চলছিল। কখন যে ওই চারজন নৌকা নিয়ে জলাধারে ঘুরতে বেড়িয়ে গিয়েছিল, বুঝতেই পারিনি। স্থানীয় লোকেরাই আমাদের দুর্ঘটনার খবর দেন।”
বাঁকুড়ার জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, “ওই জলাধারে পর্যটকদের নৌকা চালানোর অনুমতি দেওয়া নেই। তা সত্ত্বেও ওঁরা কেন নৌকা নিয়ে ঘুরতে গেলেন বুঝতে পারছি না।” বিডিও বলেন, “রাতের অন্ধকারে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। তাই আপাতত উদ্ধার কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে।” তিনি জানান, আজ বুধবার সকাল থেকে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দফতর জলাধারে নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি চালাবে। |