সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর-২ ব্লকের নন্দকুমারপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সিপিএম প্রধান-সহ তিন কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে বিডিও ত্রিদিব সর প্রাক্তন প্রধান পালানচন্দ্র পাইক, সহকারী বাস্তুকার নির্মল পাইক, সুপারভাইজার মণিশঙ্কর জানা এবং সচিব সুকুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে রায়দিঘি থানায় এফআইআর করেন। অভিযুক্তদের সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। সকলেরই মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। সিপিএম অভিযোগ মানেনি।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে ওই পঞ্চায়েতে ক্ষমতা ধরে রাখে সিপিএম। পালানবাবুকে অবশ্য দলের পক্ষ থেকে এ বার টিকিট দেওয়া হয়নি। ভোটের আগেই ওই পঞ্চায়েত এলাকায় বিভিন্ন সময়ে মণি নদীর বাঁধ সংস্কার, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে শ্রমিকদের মজুরি, রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি করা এবং ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা প্রধান-সহ ওই চার কর্মী আত্মসাৎ করেন, এই অভিযোগ তুলে মাস কয়েক আগে এলাকা থেকে গণস্বাক্ষর সংবলিত স্মারকলিপি বিডিও-কে দেন গ্রামবাসীরা।
সেই মতো স্থানীয় বিডিও ত্রিদিব সরকার গোটা বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানান। মাস খানেক আগে জেলা প্রশাসন ওই পঞ্চায়েতের দুর্নীতির বিষয়ে বিডিওকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। বিডিও দফায় দফায় তদন্ত চালিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার এফআইআর করলেন।
বিডিও বলেন, “বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতোই ওই তিন জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।” মথুরাপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা সিপিএম নেতা পীযূষ বৈরাগীর অভিযোগ, “তৃণমূলের চক্রান্তেই ওই চার জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনল প্রশাসন। তদন্ত হোক। তা হলেই সত্য প্রকাশ পাবে।” তৃণমূল চক্রান্তের অৎভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। |