প্রধান-সহ সিপিএমের ৪ পঞ্চায়েত সদস্য দলে যোগ দেওয়ায় বনগাঁর ঘাটবাওর পঞ্চায়েত এল তৃণমূলের দখলে।
গত জুলাইয়ের পঞ্চায়েত ভোটে ঘাটবাওর পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল সিপিএম। ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পায় চারটি, বামেরা ১২টি। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই বদলে গেল সমীকরণ। মঙ্গলবার ব্লক অফিসে এসে বিডিও সুশান্তকুমার বসুর সামনে প্রধান জেসমিন আরা খাতুন এবং পঞ্চায়েত সদস্য আনজুরা মণ্ডল, বাবর আলি মণ্ডল দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন। সিপিএমের আর এক পঞ্চায়েত সদস্য হাবিবুল্লা মণ্ডল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় সেখান থেকেই দলত্যাগের নির্দিষ্ট ফর্মে সই করে পাঠিয়ে দেন। এর ফলে, ওই পঞ্চায়েতে বর্তমানে তৃণমূল ও সিপিএমের আসনসংখ্যা সমান হয়ে দাঁড়াল ৮টি করে।
দুই দলের আসনসংখ্যা সমান হলেও কী ভাবে পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে গেল, সে প্রসঙ্গে ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “বোর্ড গঠনের পরে যদি কোনও দলের সদস্যেরা অন্য দলে যোগ দেন এবং তাতে যদি দুই দলের আসনসংখ্যা সমান হয়, তা হলে প্রধান যে দলের হবেন, বোর্ডটিও তাদের হয়ে যাবে। এটাই সরকারি নিয়ম। এই নিয়ম অনুযায়ীই ঘাটবাওর পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে এল।”
নতুন দলে যোগ দেওয়ার পরে জেসমিন আরা খাতুন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততা, নিষ্টা ও উন্নয়নের কাজে অনুপ্রাণিত হয়েই আমরা স্বেচ্ছায় ও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।” বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “ওই পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়নের কাজ থমকে ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধান-সহ চার সিপিএম সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের দলে নেওয়া হল। এর ফলে, ওই এলাকায় উন্নয়নের কাজ ত্বরান্বিত হবে। প্রধান তাঁর পদেই বহাল থাকবেন।” দলীয় সদস্যদের দলত্যাগ এবং পঞ্চায়েতটি হাতছাড়া হওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সিপিএমের বনগাঁ-বাগদা জোনাল কমিটির সম্পাদক পঙ্কজ ঘোষ। তিনি বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে কোনও মন্তব্য করব না।”
এ দিনই ওই পঞ্চায়েত থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সিপিএমের ছালেহার সর্দার মহকুমাশাসকের দফতরে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। বনগাঁ ব্লকেরই গঙ্গানন্দপুর পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য ইয়াসিন মণ্ডলও ব্লক অফিসে গিয়ে শাসক দলে যোগ দিয়েছেন। |