৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা লরি ভাঙচুরের পাশাপাশি চালক ও খালাসিদের মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। রঘুনাথগঞ্জের উমরপুরে মঙ্গলবার সকালের ওই ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় তিন ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন ওই গাড়ির কর্মী ও মালিকরা। পরে পুলিশ লরি মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। বছরের শেষ দিনে ব্যস্ত সময়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় আটকে পড়ে উত্তরবঙ্গে যাতায়াতকারী কয়েকশো গাড়ি। সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি সরাতে জেলার সর্বত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ওই গাড়িগুলো রাখার ফলে রাস্তা সঙ্কুচিত হয়ে দুর্ঘটনা বাড়ছে জাতীয় সড়কে। কিন্তু গাড়ি সরাতে গিয়ে পুলিশের মারধর বা ভাঙচুর করার কথা নয়। ঠিক কী ঘটেছে খোঁজ নিয়ে দেখব।”
উমরপুর লরি মালিক সমিতির সম্পাদক গফুর শেখ বলেন, ‘‘সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ জনা দশেক পুলিশকর্মী গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। তাদের বাধা দিতে গেলে এবং গাড়ি সরিয়ে নিয়ে পালাতে গেলে চালক ও খালাসিদের মারধরও করা হয়।” তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ আগে থেকে সতর্ক করলে গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যেত। তা না করে পুলিশ এসে যা করল তাতে ক্ষুব্ধ হয়েই জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়।”
তবে স্থানীয় পুলিশকর্মীরা অবশ্য গাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ মানতে চাননি। |